পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
‘আমরা দানাদার ফসলে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছি। দেশে এখন কেউ না খেয়ে থাকে না। এখন দেশের কোথাও ছনের ঘর নেই। সব টিনের ও পাকা ঘর হয়ে গেছে। আমরা এখন দেশকে পুষ্টিসম্মত নিরাপদ খাদ্য দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছি। এজন্য দরকার কৃষির বহুমুখীকরণ, বাণিজ্যিকীকরণ, যান্ত্রিকীকরণ ও আধুনিকায়ন। এতে লাভজনক হবে কৃষি।’-রোববার (১৩ অক্টোবর) রাজধানীর দিলকুশার কৃষি ভবনে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) ৫৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এসব কথা বলেন।
আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, কৃষি কোনো দিনই সম্মানজনক পেশা ছিল না। অভিজাতরা কৃষককে চাষা বলে গালি দিতো। দিন বদলেছে। কৃষি এখন অভিজাতদের পেশায় পরিণত হয়েছে। অনেক মেধাবী তরুণ পশ্চিমা দেশের উচ্চ ডিগ্রী নিয়ে কৃষি কাজ করছেন।
মন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা এবং টেকসই কৃষির লক্ষ্য পূরণে মেধাবী তরুণদের এগিয়ে আসতে হবে। কৃষির গুরুত্ব অপরিসীম। অন্য যেকোনো ক্ষেত্র থেকে দেশে কৃষির সম্ভাবনা অনেক বেশি।
মন্ত্রী বলেন, মানুষের কর্মসংস্থান হবে, আয় বাড়বে। সে আয় দিয়ে মানুষ পুষ্টিসম্মত খাবার কিনে খেতে পারবে। জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন স্বৈরাচারী সরকারগুলো মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী চেতনায় কৃষিকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যায়। বিএডিসিকে ভেঙ্গে বেসরকারিকরণের প্রচেষ্টা চালায়। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না আসলে এবং শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী না হলে হয়তো বিএডিসি ভবনও থাকতো না।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কৃষি সচিব মো. নাসিরুজ্জামান বলেন, আমি বিএডিসির চেয়ারম্যান থাকা অবস্থায় একটি ডায়েরি মেনটেইন করতাম। তার নাম ছিল স্বপ্ন লিপিবদ্ধকরণ ডায়েরি। সেখানে অনেক স্বপ্ন লিপিবদ্ধ করা আছে। যার অনেক কিছু এখন বাস্তবায়িত হচ্ছে।
বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের চেয়ারম্যান মো. সায়েদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য কৃষিবিদ আব্দুল মান্নান, সাবেক কৃষি সচিব ড. এস এম নাজমুল ইসলাম, মো. আজহারুল ইসলাম ও জাকির হোসেন চৌধুরী বক্তব্য রাখেন।
এর আগে কৃষিমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল, বঙ্গবন্ধু কর্নার ও ইলেকট্রনিক গেট উদ্বোধন করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।