Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আহমেদুর রশিদ টুটুলের মাথায় একাই তিনবার আঘাত করে শিহাব

অপারেশনে অংশ নেয় ৫ জন

প্রকাশের সময় : ১৭ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : শুদ্ধস্বর প্রকাশনীর প্রকাশক আহমেদুর রশিদ টুটুল হত্যা প্রচেষ্টায় পাঁচজন অংশ নেয়। ঘটনার সময় তাদের প্রত্যেকের কাছে চাপাতি ছিল। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটি) অতিরিক্ত কমিশনার মো. মনিরুল ইসলাম এ কথা বলেছেন।
তিনি গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন।
টুটুলকে হত্যাচেষ্টার পর আনসারউল্লাহ বাংলাটিমের সদস্য পুলিশের পুরস্কার ঘোষিত মো. সুমন পাটোয়ারী ওরফে সাকিব ওরফে শিহাব ওরফে সাইফুলকে (২০) গ্রেফতারের পর সে  ডিবির কাছে স্বীকার করেছে টুটুলের মাথায় তিনবার আঘাত করে শিহাব।
বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে রাজধানীর বিমানবন্দর থানার ওভারব্রিজের পাশের বাসস্ট্যান্ড থেকে শিহাবকে গ্রেফতার করে ডিএমপির গোয়েন্দা ও অপরাধ তথ্য বিভাগ (ডিবি, দক্ষিণ)।
মনিরুল ইসলাম বলেন, টুটুলের উপর হামলার ঘটনার পরে উত্তর বাড্ডার সাতারকুলের ৫৭৭ নম্বর বাড়িতে আনসারউল্লাহর প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ও মোহাম্মদপুরের নবোদয় হাউজিংয়ের ছয় নম্বর রোডের আট নম্বর বাড়িতে একটি বোমা তৈরির কারখানায় অভিযান চালানো হয়। সাতারকুলের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে অভিযান পরিচালনাকালে আনসারউল্লাহর সদস্যদের সঙ্গে ডিবির গুলি বিনিময় হয়। এতে গোয়েন্দা বিভাগের এক সদস্য গুলিবিদ্ধ হন এবং আনসারউল্লাহর দুইজন সদস্য গ্রেফতার হয়। পরে তাদের দেয়া তথ্যমতে দক্ষিণখানে সদরদার পাড়ার ২৪২ নম্বর বাড়ির চতুর্থ তলার একটি ফ্লাট থেকে বিপুল পরিমাণ বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় গ্রেফতার আসামিদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যমতে বিভিন্ন সময়ে তাদের আরও পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়।
মনিরুল আরও বলেন, গত ১৩ জুন চট্টগ্রাম অঞ্চলের আনসারউল্লাহর আরো দুই শীর্ষ নেতাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই দুই শীর্ষ নেতাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে গতরাতে শিহাবকে গ্রেফতার করা হয়। টুটুলের মাথায় শিহাব তিনবার আঘাত করে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গোয়েন্দা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন। শিহাব চট্টগ্রামে একটি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করতেন। গত বছর ২০১৫ সালে আনসারউল্লাহ তাকে রিক্রুট করে। ঘটনার আগে মহাখালীর একটি বাসা ভাড়া করে তাকে দেড়মাস ধরে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।
অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, আনসারউল্লাহ তাদের মূল পরিকল্পনাকারী মোহাম্মদ সেলিম ও প্রধান সমন্বয়কারী মোহাম্মদ শরীফ। মূলত এটাই শিহাবের কোনো প্রথম অপারেশন ছিল। টুটুলের উপর হামলার পর তিনি ফের চট্টগ্রামে গিয়ে চাকরিতে যোগ দেন। তাকে মূলত প্রশিক্ষণ দিয়েছেন সেলিম ও শরীফ। টুটুলের ওপর হামলার নেতৃত্ব দেন শরীফ ও দীপন হত্যাকা-ের নেতৃত্ব দেন সেলিম।
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের ৩১ অক্টোবরে মোহাম্মদপুরের লালমাটিয়ার শুদ্ধস্বর প্রকাশনার অফিসে প্রকাশক আহমেদুর রশিদ টুটুল ও শাহবাগের আজিজ সুপার মার্কেটের জাগৃতি প্রকাশনীর প্রকাশক ফয়সল আরেফিন দীপনের উপর হামলা চালায় নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলাটিম।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আহমেদুর রশিদ টুটুলের মাথায় একাই তিনবার আঘাত করে শিহাব
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ