পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
এক বছর আগে পরীক্ষা শেষ হলেও নার্স হিসেবে স্বীকৃতি পাচ্ছেন না আট হাজারেরও অধিক শিক্ষার্থী। কারণ গত এক বছর ধরে বন্ধ রয়েছে নার্সদের কম্প্রেহেন্সিভ/লাইসেন্স পরীক্ষা। এই পরীক্ষা বন্ধ থাকার প্রতিবাদে এবং দ্রুত নিবন্ধন প্রদানের দাবিতে রাস্তায় নেমেছেন নার্সিং শিক্ষার্থীরা।
শনিবার (১২ অক্টোবর) তারা জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেছেন। লাইসেন্সিং পরীক্ষা বাস্তবায়ন সংগ্রাম পরিষদ এ মানববন্ধনের আয়োজন করে। তাদের দাবি দ্রুত বাস্তবায়ন না হলে আরো বড় কর্মসূচি দেবেন বলে জানান। তারা জানান, কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের এক মামলার কারণে তাদের নিবন্ধন পরীক্ষা স্থগিত রয়েছে।
নিবন্ধন পরীক্ষার অপেক্ষায় থাকা আকলিমা শাহনাজ বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের রুলস অব বিজনেস অ্যালোকেশন অনুসরণ না করে এবং বি এন এম সির আইন-বিধান ভঙ্গ করে বিভিন্ন কোর্স, নাম, শিক্ষাগত যোগ্যতা, কারিকুলাম, বিভাগ, নীতিমালা স্বত্বেও কারিগরি বোর্ডের পেশেন্ট কেয়ার টেকনোলজিস্টদের ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স এন্ড মিডওয়াইফারি কোর্সের নিবন্ধনের দাবি অযৌক্তিক। তাদের এই দাবি মানি না এবং কখনোই মানবো না।
তিনি বলেন, তাদের যদি নিবন্ধন প্রদান করা হয় নার্সিং শিক্ষা নীতিমালা বাস্তবায়নে প্রকট সংকট সৃষ্টি হবে। সেবা গ্রহণে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি হবে। হাসপাতালে সেবার মান ধ্বংস হবে ও বহির্বিশ্বে নার্সদের মান-মর্যাদা প্রশ্নবিদ্ধ হবে। নার্সিং শিক্ষা ও সার্ভিস প্রশাসনের সকল ক্ষেত্রে নানাবিধ জটিলতার সৃষ্টি হবে এবং উন্নয়নমুখী ও এ পেশাটি হবে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত।
মানববন্ধনে লাইসেন্স পরীক্ষা বাস্তবায়ন সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. মামুন হোসেন বলেন, জরুরি ভিত্তিতে এ বিষয়ে সৃষ্ট জটিলতা নিরসন পূর্বক নিবন্ধন প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণে আমরা নার্স বান্ধব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি আবিদা সুলতানা বলেন, নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিলে ডিপ্লোমা স্টুডেন্ট ভর্তির ক্ষেত্রে এইচএসসি ব্যাকগ্রাউন্ড, জিপিএ, বয়স, সেশন, জেলা ও পুরুষ-মহিলা কোটা বিবেচনা করলেও কারিগরি শিক্ষা বোর্ড এর ক্ষেত্রে এর কোনটাই মানা হয়না। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে নার্সিং স্টুডেন্ট ভর্তির ব্যবস্থা থাকলেও কারিগরিতে তা নেই। নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিলের অধিভুক্ত সকল নার্সিং প্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদের প্রথম বর্ষ থেকে হাসপাতলে ক্লিনিক্যাল প্রাকটিস বাধ্যতামূলক হলেও কারিগরি বোর্ডের ক্ষেত্রে তা নেই। এছাড়া আরো বিভিন্ন বিষয়ে নার্সদের কারিকুলামের সাথে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের কারিকুলাম কোনোভাবেই যায় না। তিনি বলেন, তারা নিবন্ধন দাবি করার ফলে ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স অ্যান্ড মিডওয়াইফারি, ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারি, বেসিক বিএসসি ইন নার্সিং কোর্স সম্পন্ন করে আট হাজারেরও অধিক শিক্ষার্থীর নিবন্ধন পরীক্ষার দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। তাই আমরা দ্রুত নিবন্ধন পরীক্ষার দাবি জানাচ্ছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।