Inqilab Logo

শক্রবার ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বছরে ১৫ হাজার টন এলপিজি যাবে ভারতে

পঞ্চায়েত হাবিব | প্রকাশের সময় : ১২ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:০১ এএম

দেশে সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে ১০ লাখ টন এলপিজি সরবরাহের ক্ষমতা রয়েছে। এর বিপরীতে দেশে চাহিদা রয়েছে মাত্র ৭ লাখ টনের। তার পরও প্রতি বছরে ১৫ হাজার টন লিকুইড পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) ভারতে রফতানি করা হবে। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে এলপিজি রফতানির ব্যাপারে সই হওয়া সমঝোতা স্মারকের (এমওইউ) ভিত্তিতে এই বৃহৎ পরিসরে এলপিজি রফতানি শুরু হবে। যদিও উদ্যোক্তারা বলছেন, বেশকিছু দিন আগে থেকেই ত্রিপুরায় এলপিজি রফতানি করছেন তারা। ইন্ডিয়ান অয়েল করপোরেশন লিমিটেডের (আইওসিএল) সঙ্গে দেশের বেক্সিমকো পেট্রোলিয়াম লিমিটেড এবং ও মেরা পেট্রোলিয়াম লিমিটেড যৌথ উদ্যোগে এলপিজি বাণিজ্য করবে।

ওমেরা পেট্রোলিয়ামের পরিচালক আজম জে চৌধুরী ইনকিলাবকে বলেন, ভারতের একটি অংশে গ্যাস একবারেই ছিল না। রান্নার জন্য তারা কাঠ ব্যবহার করতো। ভারত সরকার তাই গ্যাসের ব্যবস্থা করতে চাইছিল। বাংলাদেশ থেকে গ্যাস নিয়ে তারা ভর্তুকি দিয়ে সেখানকার গ্যাসের চাহিদা পূরণ করতে চাইছে। এজন্য এলপিজি বাংলাদেশের দুই কোম্পানি বেক্সিমকো ও ওমেরার সঙ্গে ইন্ডিয়ান অয়েল করপোরেশনের মধ্যে চুক্তি হয়েছে। প্রাথমিকভাবে এলপিজি এখনই রফতানি করছে ওমেরা। বেক্সিমকো খুব শিগগিরই শুরু করবে। তিনি বলেন, মোংলা বন্দর দিয়ে এলপিজির কাঁচামাল আমদানি করা হচ্ছে। এর মধ্যে একটি অংশ ঘোড়াশালে নিয়ে গিয়ে প্রক্রিয়াজাত করে বোতলজাত করে দেশের মধ্যেই সরবরাহ করি। আর অন্য অংশটি রোড ট্যাংকারে করে ত্রিপুরা পাঠাই। সেখানে যে প্ল্যান্ট আছে সেখানেই বোতলজাত করা হয়। তিনি বলেন, এখন ৪০ থেকে ৫০ টনের মতো এলপিজি রফতানি করা হচ্ছে। প্রথম বছরে তারা ৫ থেকে ১৫ হাজার টন গ্যাস রফতানি হবে।

আজম চৌধুরী বলেন, ভারতের এখন যে ফিলিং সেন্টার রয়েছে তার সক্ষমতা কম। ওরা বাড়ালে আমরাও বাড়াতে পারবো। এখন ওদের সর্বোচ্চ ক্যাপাসিটি ১০ থেকে ১৫ হাজার টনের মতো। কুমিল্লা হয়ে ভারতে গ্যাস যাওয়ার পথটি অনেক দীর্ঘ। তাই চাহিদা বাড়ালে আমরা সীমান্তের কাছে একটি স্টোরেজ করতে পারি। কিন্তু সেটি পুরো নির্ভর করছে তাদের চাহিদার ওপর।

জ্বালানি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ইন্ডিয়ান অয়েল করপোরেশন লিমিটেডের (আইওসিএল) সঙ্গে দেশের বেক্সিমকো পেট্রোলিয়াম লিমিটেড এবং ও মেরা পেট্রোলিয়াম লিমিটেড যৌথ উদ্যোগে এলপিজি বাণিজ্য করবে। আইওসিএল ত্রিপুরায় এলপিজি বোতলজাত করার পাশাপাশি বিতরণ করবে। বেক্সিমকো ও ওমেরা ছাড়াও আরও কিছু কোম্পানি দেশের বাইরে এলপিজি ব্যবসা স¤প্রসারণের আবেদন করেছে। তবে প্রাথমিকভাবে দুটি কোম্পানিকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। জ্বালানি বিভাগের একজন কর্মকর্তা বলেন, অন্য কোম্পানিগুলোর সক্ষমতা পর্যায়ক্রমে বিবেচনা করা হবে। তিনি বলেন, সব মিলিয়ে সরকার ৫৬টি এলপিজি প্ল্যান্ট নির্মাণের অনুমোদন দিয়েছে। এর মধ্যে ১৮টি বেসরকারি উদ্যোক্তা এলপিজি সরবরাহ করছে। এদের অনেকেই বিপুল বিনিয়োগ নিয়ে এসেছে। কিন্তু চাহিদা না থাকায় সক্ষমতার পুরো উৎপাদন করতে পারছেন না। তাই তাদের রফতানির সুযোগ দেওয়া হয়েছে। তবে শর্ত হচ্ছে দেশের চাহিদা পূরণের পর রফতানি করবে তারা।

জ্বালানি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ভারতে এলপিজি রফতানি হলে আমরা বিভিন্ন ধরনের কর আদায় করতে পারবো। এছাড়া আমাদের এখানে কিছু কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। নিয়ম অনুযায়ী যেকোনও উদ্যোক্তা যেকোনও পণ্য আমদানি করে পুনঃরফতানি করতে পারেন। তিনি বলেন, আমরা বিদেশ থেকে কাপড় এনে সেলাই করে আবার বিদেশে পাঠাই। এক্ষেত্রেও তাই আমাদের বেসরকারি কোম্পানি এলপিজির কাঁচামাল আনবে, এরপর তারা প্রক্রিয়া করে ত্রিপুরায় বিক্রি করবে। এখানে সরকারের কোনও বিষয় নেই।

বেসরকারি উদ্যোক্তারা বিদেশ থেকে এলপিজির কাঁচামাল প্রপেন ও বিউটেন আমদানি করে। এরপর দেশেই সেগুলো প্ল্যান্টে মিশ্রণ করে এলপিজি তৈরি করে। বর্তমানে দেশের একটি বড় অংশের মানুষ এলপিজি রান্নার জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করছে। এর বাইরে দেশে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান এবং মোটর গাড়ির জ্বালানি হিসেবে এলপিজির (অটোগ্যাস) ব্যবহার শুরু হয়েছে। সিএনজির চেয়ে কিছুটা দাম বেশি হলেও পেট্রোলের তুলনায় এলপিজি কিছুটা সাশ্রয়ী।



 

Show all comments
  • মোঃসাদ্দাম হোসেন সাইফ ১২ অক্টোবর, ২০১৯, ১:১৫ এএম says : 0
    নিজ দেশে যেখানে গ্যাস নেই!,সেখান থেকে ভারতে যাবে গ্যাস! পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলে বিদেশ থেকে আমদানি কৃত গ্যাস ভারতে রপ্তানি করবে!ভারতের মানুষ কি আমদানি করতে পারে না?অধিক খরচ করে তারা কেন আমাদের এখান থেকে গ্যাস নিবে!আর কত কাল আমাদের বোকা বানাই রাখবেন মন্ত্রী মশাই!
    Total Reply(0) Reply
  • তুষার ১২ অক্টোবর, ২০১৯, ১:১৫ এএম says : 0
    সব কিছু উজাড় করে ঢেলে দে,
    Total Reply(0) Reply
  • Jahed Hassan ১২ অক্টোবর, ২০১৯, ১:১৫ এএম says : 0
    যদি তাই হয় তবে কেন বারা বারর গ্যাসের দাম বৃদ্ধি করা হলো ?
    Total Reply(0) Reply
  • MD Nazmul Islam ১২ অক্টোবর, ২০১৯, ১:১৫ এএম says : 0
    ক্ষমতার পাগল সব
    Total Reply(0) Reply
  • M D Khan ১২ অক্টোবর, ২০১৯, ১:১৬ এএম says : 0
    বাংলাদেশের মানুষের এক বোতল গ্যাস কিনতে হয় ১২০০-১৫০০ টাকায়। কেনো????? আগে ভালো ভাবে দেশের মানুষের চাহিদা পূরন করেন। মনে রাখবেন দেশ বাচলে আপনারা আমরা সবাই বাচবো। এভাবে নিজের লাভের আসায় দেশকে ডুবাবেন না
    Total Reply(0) Reply
  • Arif Hosen Roton ১২ অক্টোবর, ২০১৯, ১:১৬ এএম says : 0
    মালয়েশিয়া এক বোতল গ্যাসের দাম 25 রিঙ্গিত 30, তাতে বাংলাদেশ 600 টাকা পড়ে, এরা তো বাহির থেকে গ্যাস নিয়ে আসে আর আমাদের বাংলাদেশের নিজস্ব গ্যাস তাও আবার কত বেশি দাম দিয়ে নিতে হয় গ্রাহকদের আগে নিজের দেশের চাহিদা মিটানো তারপরে বন্ধুকে দিয়েন
    Total Reply(0) Reply
  • Monta Monsor ১২ অক্টোবর, ২০১৯, ১:১৬ এএম says : 0
    আমাদের দেশে চাহিদা পূরণ হয়েছে তাহলে বতোল এর দাম বেশি কেন সাধারণ পরিবারের ত কষ্টকর দিন কাটাচ্ছে ।
    Total Reply(0) Reply
  • শুধু মনে রেখো ১২ অক্টোবর, ২০১৯, ১:১৭ এএম says : 0
    যে খানে গ্যাসের দাম বাংলাদেশে বেসি এনিয়া সাধারন জনোগন অনেক ভোগান্তি সেখানে আবার ভারত কেমনে গ্যাস দিতেছে এটা মেনে নিতে পারছিনা।
    Total Reply(0) Reply
  • Rs Sumon ১২ অক্টোবর, ২০১৯, ১:১৭ এএম says : 0
    ভারত কি নিজেরা পারে না গ্যাস বাইরের দেশ থেকে আন্তে। বাংলা দেশ থেকে বেশি টাকা দিয়ে তারা কিনবে ।।।
    Total Reply(0) Reply
  • Nurul Bari ১২ অক্টোবর, ২০১৯, ১:১৮ এএম says : 0
    নিজের দেশে পায়না,, আবার অন্যদেশে রপ্তানি,, হাস্যকর,, আবার বৈদেশিক মুদ্রা আসবে সেগোলা কি নেতাদের জন্য আসবে আর কি
    Total Reply(0) Reply
  • জাহিদ ১২ অক্টোবর, ২০১৯, ১:৩৯ এএম says : 0
    বাংলাদেশের রাজনৈতিক দল গুলো বাংলাদেশ ডেভলপ করেনি এবং কখনো করবেনা. গ্যাস খাওয়ার পরে বাকি থাকবে বিশাল গরিব জনগোষ্ঠীর কিডনি, সরকার হাসপাতালে ডাকার আগে কিডনি খুলে দিয়ে দিন, কষ্ট কম হবে.
    Total Reply(0) Reply
  • ahammad ১২ অক্টোবর, ২০১৯, ২:১৯ এএম says : 0
    রাজ নৈতিক খমতাশীল নেতারাই সব জানেন, আর দেশের সাধারণ জনগন বোকা। ওমান প্রবসীরা অবশ্যই জানেন এখানে সাড়ে ১৮ লিটার থেকে সাড়ে ২১ লিটার এক বোতল গ্যাসের ওমানি তিন রিয়াল যাহা বংলা টাকায় ছয়শত চুয়ান্ন টাকা। এই দেশে নিজেদের গ্যাস নাই, আমদানী করা হয়। অথছ বাংলাদেশে নিজেদের গ্যাস আছে তার পরও ১২ থেকে ১৫ শ টাকায় ১২ লিটার গ্যাস কিনতে হয়। আমাদের জাতির আনেক সৌভাগ্যই বলতে, সরকার আমাদের জনগনের জন্য অনেক কিছুই করতেছে। বাশ,গাছ,রট আর ও কতকি দেওয়ার বাকী আছে ??????
    Total Reply(0) Reply
  • পানি ১২ অক্টোবর, ২০১৯, ২:৫৯ এএম says : 0
    তিস্তার পানি প্রতি লিটার ২ টাকা রেট এক দাম হলে রপ্তানি হউক, বাকি সব চুক্তি বাতিল করুন. মরে যাবো কিন্তু ভারতের স্কাই হেল্প আমাদের লাগবেনা.
    Total Reply(0) Reply
  • পানি ১২ অক্টোবর, ২০১৯, ৩:০৩ এএম says : 0
    তিস্তার পানি প্রতি লিটার ২ টাকা রেট এক দাম হলে রপ্তানি হউক, বাকি সব চুক্তি বাতিল করুন. মরে যাবো কিন্তু ভারতের হেল্প আমাদের লাগবেনা.
    Total Reply(0) Reply
  • Zee vee ১২ অক্টোবর, ২০১৯, ১০:২০ এএম says : 0
    শুকনো মওসুমে আমাদের পানি নেই তাও আমরা দাদাদের ফেনী নদীর পানি দিয়ে এলাম, আমাদের দেশে উচ্চমুল্যে এলপি গ্যাস কিনতে হয় এবং সব জায়গায় পাওয়া যায় না,কিন্তু বেএক্সিমকো কে মোটা তাজা করার জন্য ইন্ডিয়াতে গ্যাস পাঠাব, দেশ বিক্রি হয়নি পানি ও গ্যাস দিয়েছি, পোর্ট দিয়েছি, সাগর পাড়ে রাডার বসাতে দিয়েছি চীনের উপরে নজরদারি করার জন্য, এতে অনেক লাভ হবে লীগেরা আরও মোটা হবে
    Total Reply(0) Reply
  • Nur Muhammad ১৩ অক্টোবর, ২০১৯, ১১:৫০ পিএম says : 0
    ভারতে কত টাকা দরে গ্যাস রপ্তানি হবে ?
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: এলপিজি

২ নভেম্বর, ২০২২
৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ