পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন না ডাক দিলে পুলিশ ভেতরে ঢোকে না, আপনারা সেটা জানেন। এ জায়গাটিতে বুয়েট কর্তৃপক্ষের আরেকটু সতর্ক থাকার দরকার ছিল। আরেকটু সতর্ক থাকলে হয়তো এ ধরনের ঘটনা নাও ঘটতে পারতো। ভবিষ্যতে প্রশাসন ছাত্রদের প্রতি আরও নজর দেবে, দায়িত্ববান হবে বলে মনে করি।
আজ শুক্রবার দুপুরে তেজগাঁওয়ে বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনির্মিত প্রধান ফটক উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, আবরার হত্যাকাণ্ড যারা সংঘটিত করেছিল এদের প্রায় সবাইকে আমরা ধরে ফেলেছি। এ পর্যন্ত ১৭ জনকে আটক করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ১ জন ১৬৪ করেছে (স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন)। আমি আগেও বলেছি আজও বলছি, অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে এ মামলার চার্জশিট দেয়া হবে, আশা করছি তদন্ত সংশ্লিষ্ট সংস্থা দ্রততম সময়ের মধ্যে মামলা তদন্ত সম্পন্ন করবে।
সাথে সাথে আমি আহ্বান রাখবো, এ ধরনের হত্যাকাণ্ড, এ ধরনের মেধাবী ছাত্র যারা কি না আমাদের ভবিষ্যত, যে প্রজন্মকে নিয়ে আমরা অহঙ্কার করি, এ ধরনের ঘটনায় যাতে তারা হারিয়ে না যায়, যারা এ কাজটি করেছেন, এর মতো খারাপ কাজ, এর মতো গর্হিত কাজ এর আগে আর ঘটেনি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ে আরও অনেক ঘটনাই ঘটেছে, আমরা সানি হত্যাও দেখেছি। কিন্তু এ হত্যাকাণ্ডটি সবার হৃদয়ে দাগ কেটেছে। আমি আশা করবো আমাদের ছাত্র সমাজ এ ধরনের ঘটনা আর দেখবে না। যাতে না ঘটে সেজন্য তারাও সজাগ থাকবে।
আবরার হত্যার পেছনে মূল কারণ কী জানতে চাইলে বলেন, এ খুনের পেছনে কারণটা কী এটা আমাদের দেখতে হচ্ছে। যারা ধরা পড়ছে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে, তদন্ত চলছে, এর পেছনে মোটিভটা কী জানার চেষ্টা চলছে। এমনি এমনি একজন আরেকজনকে হত্যা করবে এটা যেমন বিশ্বাসযোগ্য নয়, এর পেছনে নিশ্চয়ই কোনো কারণ আছে, আরও কিছু উদ্দেশ্য আছে। এর সবই আমরা খতিয়ে দেখছি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা মনে করি, বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা পড়াশোনা করতে এসেছে, তারা সবাই মেধাবী। এ ধরনের মেধাবীরাই এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে। তার ভেতরে নিশ্চয়ই কোনো কারণ রয়েছে। সে কারণগুলো উদঘাটন করে নিখুঁত ও তথ্যসমৃদ্ধ চার্জশিট দিতে চাই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।