পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
বরিশাল ব্যুরো : বরিশাল মহানগরীসহ দক্ষিণাঞ্চলজুড়েই টিসিবি পণ্যের চাহিদা থাকলেও সরবরাহের লাগাম ক্রমশ টেনে ধরা হচ্ছে। নতুন করে বরিশাল বিভাগীয় সদরের বাইরে কোনো ডিলারকে আর পণ্য বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে না।
বরিশাল মহানগরীর ৫টি পয়েন্টে টিসিবির পণ্যবাহী ট্রাকের কাছে ক্রেতাদের দীর্ঘ লাইন লেগে থাকছে নিয়মিত। তবে বরাদ্দ কিছুটা বৃদ্ধি করার কথা জানিয়েছে টিসিবি কর্তৃপক্ষ। পণ্য সরবরাহ নিয়ে ডিলার ও টিসিবির স্থানীয় কর্মকর্তাদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি অভিযোগও রয়েছে।
ডিলারদের অভিযোগ, চাহিদা অনুযায়ী তাদের পণ্য সরবরাহ করছে না টিসিবি কর্তৃপক্ষ। ডিলারদের যে পরিমাণ পণ্য দেয়া হয় তা দিনের প্রথমভাগেই বিক্রি হয়ে যায়। ফলে অনেক ক্রেতাই পণ্য না পেয়ে তাদের ওপর দোষারোপ করে ফিরে যাচ্ছেন। দিনের প্রথমভাগে পণ্য বিক্রি শেষ হলেও সারাদিনের ট্রাক ভাড়া ও শ্রমিকের মজুরি গুনতে হচ্ছে ডিলারদের। এর ফলে তারা লোকসানের মুখে পড়ছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
ডিলারদের এ অভিযোগের ব্যাপারে ভিন্নমত পোষণ করেছেন টিসিবির বরিশাল অফিসপ্রধান। তিনি বলেন, গত ৩০ মে থেকে নগরীতে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু হয়। প্রথমে নগরীর জন্য নির্ধারিত ৫ ডিলারকে প্রতিদিন মোট ১৫শ’ কেজি পণ্য দেয়া হতো। এখন দেয়া হয় ১১শ’ কেজি। ৪শ’ কেজি কম দেয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ১৫শ’ কেজি পণ্য অনেক ডিলার একদিনের মধ্যে বিক্রি করতে পারেন না। অবিক্রীত পণ্য তারা পরে কালোবাজারে ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করেন। তাই এখন প্রত্যেক ডিলারকে প্রতিদিন ২শ’ কেজি সয়াবিন, ৩শ’ কেজি চিনি, ৪শ’ কেজি ছোলা বুট এবং ২শ’ কেজি মসুর ডাল মোট ১১শ’ কেজি পণ্য দিচ্ছেন। এ পণ্য বিক্রি করতে ডিলারদের বেলা ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত সময় ব্যয় হয় বলে প্রতাপ কুমার দাবি করেন।
তার এ বক্তব্যের বিরোধিতা করে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ডিলার বলেন, ৫ জন ডিলারকে ২শ’ কেজি করে দেয়া হলে মোট ১ হাজার কেজি সয়াবিন সরবরাহ করা হয়। সয়াবিনের ৫ কেজি করে বোতল হওয়ায় একজন ডিলার পান ৪০টি বোতল। সেক্ষেত্রে ৭ লক্ষাধিক নগরবাসীর জন্য টিসিবি প্রতিদিন ২শ’ বোতল সয়াবিন সরবরাহ করছে, যা প্রয়োজনের বিপরীতে যথেষ্ট কি না, এ পাল্টা প্রশ্ন তোলেন ওই ডিলাররা।
তবে সরেজমিন খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, টিসিবির ছোলা বুট ও সয়াবিন তেলের দামের সাখে খোলা বাজারের ওসব পণ্যের দরের খুব একটা ফারাক না থাকায় তা নিয়ে ক্রেতাদের খুব আগ্রহ নেই। ক্রেতাদের মূল চাহিদা চিনি ও মসুর ডালের। টিসিবে ৪৮ টাকা করে চিনি বিক্রি হলেও বরিশালের খোলা বাজারে এখনো প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে প্রায় ৬০ টাকা দরে। মসুর ডালও ১৩৫-১৪০ টাকা কেজি। আর টিসিবি বিক্রি করছে ৮৯.৯০ টাকা দরে। টিসিবির দায়িত্বশীল মহলের মতে, ১৩৮ জন ডিলারের মধ্যে এবারই দক্ষিণাঞ্চলে সর্বোচ্চ ৫৯ জন টিসিবির পণ্য তুলেছে। তবে নতুন করে আর কোনো বরাদ্দ না দেয়ায় ডিলাররা যথেষ্ট হতাশ ও ক্ষুব্ধ।a
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।