পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশেষ সংবাদদাতা : জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলকে (জাসদ) নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের বক্তব্যের জবাবে তথ্যমন্ত্রী ও জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেছেন, এই সময়ে ১৪ দলের অভ্যন্তরে কাদা ছোড়াছুড়ি করা উচিত নয়; এটা ইতিহাস চর্চারও সময় নয়। এটা জঙ্গিবাদ সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করার সময়, জনগণের নিরাপত্তা বিধান করার সময়।
পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধু হত্যাকা-ের ক্ষেত্র তৈরির জন্য জাসদকে দায়ী করে সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের বক্তব্য ‘অনভিপ্রেত, দুঃখজনক ও অপ্রাসঙ্গিক’ বলেও মন্তব্য করেছেন দলটির সভাপতি হাসানুল হক ইন্।ু ছাত্রলীগের এক অনুষ্ঠানে ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফের ওই বক্তব্যের দু’দিন পর বুধবার তথ্যমন্ত্রী ইনুর এই প্রতিক্রিয়া এল। সচিবালয়ে গতকাল বুধবার এক অনুষ্ঠানের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নে ইনু এসব কথা বলেন।
হাসানুল হক ইনু বলেছেন, সৈয়দ আশরাফের মন্তব্যে ১৪ দলের ঐক্যে কোনো প্রভাব পড়বে না বলেই তিনি মনে করেন। জাসদ ও আওয়ামী লীগের ঐক্য রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। বারবারই বলেছি যে, গভীর বিশ্লেষণ করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সুতরাং এ ধরনের মন্তব্যে এ ঐক্য ও চলার পথ ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। ওই ‘ঐক্য ইতোমধ্যে দেশের জন্য মঙ্গলজনক’ প্রমাণিত হয়েছে মন্তব্য করে ১৪ দলের শরিক নেতাকর্মীদের উদ্দেশে জাসদ সভাপতি ইনু বলেন, এই মুহূর্তে কোনো উস্কানিতে পা দেবেন না, উত্তেজিত হবেন না, ধৈর্য্য রাখুন, ঐক্য রাখুন। তা-ই দেশকে নিরাপত্তা দেবে।
ইনু সাংবাদিকদের বলেন, মনে রাখতে হবে, বাহাত্তর থেকে পঁচাত্তরের প্রতিটি ঘটনা এখনও ইতিহাসের পাতায় লিপিবদ্ধ করা আছে, ইতিহাস ইতিহাসের মতোই বিশ্লেষণ করবে। বঙ্গবন্ধুর সমর্থনে যে তল্পিবাহক-তোষামোদকারী গোষ্ঠী ছিল তারা বা প্রকাশ্য বিরোধিতাকারী জাসদ- কার কতটুকু ভুল, বা কে কতটুকু ক্ষতি করেছে, বা ক্ষতি করেনি- তার মূল্যায়নটা ইতিহাসই করবে।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, জঙ্গিরা যেভাবে সাধারণ জনগণকে হত্যা করছে- সেটাই এখন গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা। সাধারণ জনগণ এবং দেশের নিরাপত্তা বিধানের জন্য দরকার ‘সর্বাত্মক ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা’। আর সেজন্য শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১৪ দল-মহাজোট ‘একসঙ্গে’ কাজ করে যাচ্ছে। মনে রাখবেন, বাহাত্তর থেকে পঁচাত্তর পর্যন্ত আওয়ামী লীগ কতটুকু ভুল করেছে, জাসদ কতটুকু ভুল করেছে- তা বিচার-বিশ্লেষণ করার সময় এটা নয়। তবে, এটা ইতিহাস বিচার করবে। ইতিহাসের নিরিখে সবকিছু মূল্যায়িত হবে। মনে রাখতে হবে, খোদ শেখ হাসিনা বার বার বলেছেন, প্রতিক্রিয়াশীল, দেশবিরোধী, সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী কর্তৃক নিহত হয়েছেন বঙ্গবন্ধু। সুতরাং বঙ্গবন্ধুর হত্যার জন্য কোনো নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলকে দায়ী করাটা ইতিহাস সম্মত কোনো বক্তব্য নয়। বঙ্গবন্ধু হত্যাকা-ের ঘটনাপ্রবাহ বিশ্লেষণ করেই আওয়ামী লীগের সঙ্গে জাসদের ঐক্য হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তথ্যমন্ত্রী। আমরা মনে করি, পঁচাত্তরের বিয়োগান্তক ঘটনার পূর্বাপর সকল ঘটনার গভীর বিশ্লেষণ করে আওয়ামী লীগ, জাসদ এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই ঐক্যের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আমরা জাসদও সেই ঐক্যের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশকে সাম্প্রদায়িকতা ও সামরিক শাসনের জঞ্জাল থেকে উদ্ধার করে অসাম্প্রদায়িকতার পথে, গণতান্ত্রিকতার পথে, সংবিধানের পথে পরিচালিত করা সম্ভব হচ্ছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
জাসদ থেকে মন্ত্রিত্ব দিয়ে আওয়ামী লীগকে তার প্রায়শ্চিত্ত করতে হবে- সৈয়দ আশরাফের এমন বক্তব্যের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ইনু বলেন, ওগুলো আমাদের মাথাব্যথা না। কে মন্ত্রী হবেন আর কে মন্ত্রী হবেন না- ওটা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন। আমার মনে হয়, তার এ এখতিয়ারে হস্তক্ষেপ করা উচিত না।
বাংলাদেশকে রক্ষা করতে হলে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে মন্তব্য করে ইনু বলেন, আমরা সেই ঐক্যের নীতিতে বিশ্বাস করি এবং আমরা মনে করি, জাসদ শতভাগ আন্তরিক ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের দল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।