পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অবশেষে প্রশাসনের টনক নড়েছে। গুঁড়িয়ে দেয়া হচ্ছে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক দখলে রাখা সেলিম প্রধানের সেই প্রিন্টিংপ্রেস। সড়ক ও জনপথ বিভাগের জমিতে গড়ে তোলা সেই প্রেসের কারণে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে যানবাহন চলাচলে ব্যাঘাত ঘটতো। সওজের জমিতে গড়ে তোলা সেই ভবনটি এতোদিন ভাঙতে সাহস করেনি প্রশাসন। ভাঙতে গেলেই উপর মহল থেকে ফোন পেতেন সংশ্লিষ্ট ম্যাজিস্ট্রেট। এরপরই তিনি ফিরে যেতেন। গতকাল শুক্রবার এ নিয়ে দৈনিক ইনকিলাবে একটি সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর আজ শনিবার সকাল থেকে সেলিমের সেই ভবনটি ভাঙতে শুরু করে সওজ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্নের চার তলা বিশিষ্ট ফ্লাইওভারটি কাজ সম্পন্ন হলেও সড়ক ও জনপদ বিভাগের একোয়ারভুক্ত মাত্র ১৫ শতাংশ জমি ক্যাসিনো ডন সেলিম মিয়া ওরফে সেলিম প্রধানের জবরদখলে থাকায় কাজটি অসমাপ্তই ছিল। নিজের এবং বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতার ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে সেলিম প্রধান দখলে থাকা সড়ক ও জনপথ বিভাগের জমি টুকু ছাড়েননি। ফ্লাইওভার কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় প্রশাসন বার বার ওই জমিতে থাকা পাকা স্থাপনা উচ্ছেদ করতে গেলেও বিশেষ ফোনের কারনে উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ হয়ে যায়। এমন ক্ষমতা কার, যিনির ফোনে প্রশাসন উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ করে দিতো। এলাকাবাসীর দাবি, সেলিম প্রধানের সঙ্গে জড়িত ওই প্রভাবশালী বিশেষ নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হোক।
জানা গেছে, ভুলতা-গোলাকান্দাইল এলাকা ক্রস করেছে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ও এশিয়ান হাইয়ে বাইপাস সড়কটি। এ এলাকায় শিল্প প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে হাটবাজার ও ব্যস্ততম থাকায় প্রতিদিন শত শত যানবাহন এবং হাজার হাজার মানুষের চলাফেরা। প্রতিদিনই এ এলাকায় দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হতো। নিত্যদিনের যানজটের কারনে ভোগান্তির যেন শেষ ছিলোনা। বিষয়টি স্থানীয় সংসদ সদস্য পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর বীর প্রতিকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নজরে আসে। পরে তিনি ভুলতা-গোলাকান্দাইল এলাকায় একটি ফ্লাওভার নির্মাণের উদ্যেগ নেন এবং দ্রুত এর কাজ হাতে নেন। জনগনের ভোগান্তি কমাতে ফ্লাইভারটি দ্রুত কাজ শুরু করে সমাপ্তও করেন।
এলাকাবাসী অভিযোগ করে জানান, ফ্লাইভারের গোলাকান্দাইল সাওঘাট এলাকার অংশে জাপান-বাংলাদেশ সিকিউরিটি প্রিন্টিংয়ের মালিক সেলিম প্রধানের দখলে রয়েছে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অংশের সাওঘাট এলাকায় সড়ক ও জনপদ বিভাগের প্রায় ১৫ শতাংশ জমি। ওই জমিতে একটি মসজিদসহ পাকা স্থাপনা রয়েছে। জমি টুকু দখলে থাকায় সড়কের ওই অংশে মাত্র ১০ থেকে ১২ ফুট প্রশস্ত ছিল। সড়কের ওই অংশটুকু দিয়ে বড় ধরনের যানবাহন চলাফেলা করতে পারতো না। এতে করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্নের ফ্লাইভারটি অসামপ্তই রয়ে গেছে। এতে সরকারের ভাবমুর্তি নষ্ট হয়েছে, তেমনি স্থানীয়দের মাঝেও ক্ষোভ দানা বেঁধেছে। ওই জমি দখলমুক্ত হলে ৫০ থেকে ৬০ ফুট প্রশস্ত হবে রাস্তা। যানবাহন চলাচলে আর সমস্যা হবেনা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।