পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
ইলিশের ছড়াছড়ি। তবুও দাম চড়া। পেঁয়াজের দাম কমছে। তবে এখনও তা সাধারণের নাগালের বাইরে। ডিমের দামও বাড়তি। সবজির সরবরাহ আছে। দাম অস্থিতিশীল। গত সপ্তাহের তুলনায় মাছ, মুরগির দামও বেড়েছে। চট্টগ্রামের কাঁচাবাজারের এমন চিত্র দেখা গেল গতকাল শুক্রবার। নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে দিশেহারা সাধারণ মানুষ। স্বল্প আয়ের মানুষের নাভিশ্বাস।
কারসাজিতে পেঁয়াজের দামে সেঞ্চুরি পার হয়ে যায়। প্রশাসনের চোখ রাঙানি আর অভিযানের মুখে দাম পড়তি। তবে এখনও পেঁয়াজের কেজি ৭৫-৮৫ টাকায় উঠানামা করছে। মিয়ানমার থেকে প্রতিদিনই ট্রাকে ট্রাকে পেঁয়াজ ঢুকছে খাতুনগঞ্জের আড়তে। জাহাজে তুরস্ক, মিসর, চীন থেকে পেঁয়াজ আসছে চট্টগ্রাম বন্দরে। ব্যবসায়ীদের প্রত্যাশা, কমে আসবে পেঁয়াজের দাম। পেঁয়াজের দাম নিয়ে যখন হৈচৈ তখনই বাজারে হঠাৎ করে রসুন আর আদার ঝাঁঝ বেড়ে গেছে। প্রতিকেজি রসুন ১৪০-১৬০ টাকা, আদা ১৫০-১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতিডজন ফার্মের মুরগির ডিম ১১৫ টাকা। বাজারভেদে ডিমসহ সব ধরনের শাকসবজির মূল্যের তারতম্যও রয়েছে।
বাজারে সবজির অভাব নেই। গ্রীষ্মকালীন সবজির সাথে শীতকালীন সবজির সরবরাহও বেড়েছে। এরপরও ৫০ টাকার নিচে ভালমানের কোন সবজি মিলছে না। কাকরোল প্রতিকেজি ৭০ টাকা, মুলা ৫০-৭০ টাকা, ঝিঙে ৫০-৬০ টাকা, বরবটি ৬০-৭০ টাকা, বাঁধাকপি ৫০-৬০ টাকা, ফুলকপি ১১০-১২০ টাকা, শিম ১১০-১১৫ টাকা, চিচিঙা ৫৫-৬০ টাকা, তিতা করলা ৬০-৭০ টাকা, কচুর লতি ৫০-৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৫৫-৬০ টাকা, বেগুন ৬০-৭০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, চাল কুমড়া ২৫-৩০ টাকা, পেঁপে ২৫-৩০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০-৪০ টাকা, লাউ ৪০-৫০ টাকা, আলু ১৮-২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। টমেটো ১০০-১২০ টাকা, শসা ২৫-৩০ টাকা, গাজর ৬০-৮০ টাকা এবং কাঁচামরিচ প্রতিকেজি ৮০-১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে প্রচুর ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে। বিশেষ করে পতেঙ্গা কাট্টলি ও সীতাকু-ে জাটকা সাইজের ইলিশ ধরা পড়ছে প্রচুর। এসব ইলিশের দামও কিছুটা কম। বাজারে ছোট সাইজের ইলিশ ৩০০-৫০০ টাকা, বড় সাইজ ৭০০-১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। লইট্টা মাছ ১০০-১২০ টাকা, তেলাপিয়া ১৩০ টাকা, কার্প ১৮০ টাকা, কোরাল ৫০০-৬০০ টাকা, মৃগেল ২৫০-২৮০ টাকা, রুই ২৮০-৩০০ টাকা, শিং ৭০০-১০০০ টাকা, কৈ মাছ ৬০০-৮০০ টাকা, টেংরা ৩৫০-৫০০ টাকা, বাটা ৪০০-৫০০ টাকা, চিংড়ি আকারভেদে ৫০০-৭০০ টাকা, রূপচাঁদা ৮০০-১০০০ টাকা। মুরগির দাম গত সপ্তাহের তুলনায় বেড়েছে। ব্রয়লার ১২০-১৩০ টাকা, সোনালিকা ২৪০-২৭০ টাকা এবং দেশি মুরগি ৩৯০-৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গরুর গোশত হাড়সহ ৫৫০ টাকা, হাড় ছাড়া ৬০০ টাকা এবং খাসির গোশত প্রতিকেজি ৭০০-৭৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।