Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হরণের কালো দিন আজ

প্রকাশের সময় : ১৬ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : আজ ১৬ জুন। সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হরণের কালো দিন। ১৯৭৫ সালের এই দিনে তৎকালীন সরকার সমর্থিত ৪টি পত্রিকা ছাড়া দেশের সবকটি পত্রিকা প্রকাশনা বাতিল করে দেয়। এতে কর্মহীন হয়ে পড়েন দেশের শত শত সংবাদকর্মী।
প্রতিবন্ধকতা ও সীমাবদ্ধতা সৃষ্টি হয় সংবাদ শিল্পে। সেই থেকে বাংলাদেশের সংবাদকর্মীরা এই দিনটিকে সংবাদপত্রের কালো দিবস হিসেবে পালন করে আসছেন।
সেই সময় প্রকাশনার অনুমোদন থাকা চারটি পত্রিকা হলো-দৈনিক ইত্তেফাক, বাংলাদেশ অবজারভার, বাংলাদেশ টাইমস ও দৈনিক বাংলা। প্রথম পর্যায়ে তৎকালীন সরকার অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে দৈনিক বাংলা ও বাংলাদেশ অবজারভারের ডিক্লারেশন বহাল রেখে সব পত্রিকার ডিক্লারেশন বাতিল করে। পরে দৈনিক ইত্তেফাক ও বাংলাদেশ টাইমসকে নতুনভাবে ডিক্লারেশন দিয়ে সরকারি ব্যবস্থাপনায় মোট চারটি পত্রিকার প্রকাশনা সাময়িকভাবে অব্যাহত রাখা হয়।
অন্যান্য বছরের মতো এবারো দিবসটি উপলক্ষে কয়েকটি সাংবাদিক সংগঠনের পক্ষ থেকে কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবে আলোচনা সভার আয়োজন করেছে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)।
দিবসটি উপলক্ষে বিএনপির চেয়ারপার্সন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া তার দেয়া বিবৃতিতে বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৬ জুন বাক-স্বাধীনতা হরণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ইতিহাসে এক কালো দিন। এদিনে তৎকালীন একদলীয় বাকশাল সরকার তাদের অনুগত ৪টি সংবাদপত্র রেখে বাকিগুলো বন্ধ করে মুক্তচিন্তা মত প্রকাশে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়েছিল। পরে মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সংবিধানে এ দেশের কাক্সিক্ষত বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রবর্তন করে বাকশাল সরকারের সকল প্রকার অগণতান্ত্রিক কালো ধারা বাতিল করে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করেন।
তিনি আন্তরিকভাবে বিশ্বাস করেন সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পূর্বশর্ত। পরিতাপের বিষয় বর্তমান আওয়ামী সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ভূলুণ্ঠিত করে তাদের পুরনো পথেই আবার যাত্রা শুরু করেছে। সাংবাদিক ও সংবাদপত্রের উপর অব্যাহত জুলুম, নিয়ন্ত্রণ ও খবরদারির খড়গ চাপিয়ে। প্রিন্ট-মিডিয়া ও ইলেকট্রনিক সংবাদকর্মীদের ওপর নির্যাতন ও হত্যা অব্যাহত রেখেছে এবং অনেক ক্ষেত্রে বিচারও হচ্ছে না। সাগর-রুনির হত্যাকা-ের বিচার না হওয়াও এর অন্যতম উদাহরণ।
বিবৃতিতে বেগম খালেদা জিয়া রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক চরিত্রের বিকাশের জন্য গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে সাংবাদিক ভাই ও বোনদের সদা সতর্ক ও ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।
অপর এক বিবৃতিতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এই দিনটি দেশের ইতিহাসে কালো দিন হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হরণের কালো দিন আজ
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ