Inqilab Logo

সোমবার ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দুই চিকিৎসককে আইনের আওতায় আনার দাবি

প্রকাশের সময় : ১৬ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

সাদিক মামুন, কুমিল্লা থেকে : কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের ইতিহাস বিভাগের ¯œাতক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ও ভিক্টোরিয়া কলেজ থিয়েটারের সদস্য সোহাগী জাহান তনুর ঘাতকদের শনাক্ত ও উপযুক্ত বিচারের দাবিতে আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠছে কুমিল্লার রাজপথ। কেবল তাই নয়, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন নিয়ে চিকিৎসকদের যে মনোভাব প্রকাশ পেয়েছে তা অসৎ উদ্দেশ্যের অংশ বলে মন্তব্য করেছেন তনুর পরিবারের সদস্যরা। প্রথম ও দ্বিতীয় ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকদের বানোয়াট, মনগড়া প্রতিবেদন দেয়ার কারণে তাদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি ও তনু হত্যার বিচারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। অন্যদিকে ডিএনএ প্রতিবেদনে শুক্রাণু পাওয়া তিন পুরুষসহ সন্দেহভাজন কয়েকজনকে গ্রেফতারের আলামত, প্রমাণ সিআইডির হাতে রয়েছে। কিন্তু কিছু সীমাবদ্ধতার কারণে তা হচ্ছে না। তবে ডিএনএ প্রতিবেদনকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে সিআইডি তাদের মতো করে এগুচ্ছে।
দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন ঘিরে দেশজুড়ে আবারও আন্দোলনে রূপ নিচ্ছে তনু হত্যা মামলা। বেশ কিছুদিন রাজপথের আন্দোলন থেমে থাকার পর দুইটি ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনকে কেন্দ্র করে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি ও বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীরা আবারও রাজপথে নেমেছে। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের শুরু থেকে একটাই দাবি ছিলÑতনুর হত্যাকারীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে তাদের উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত করা। ইতোমধ্যে ওই এক দাবির সাথে যুক্ত হয়েছে ময়নাতদন্ত চিকিৎসক দলের প্রধান ডা. কামদা প্রসাদ সাহা (কেপি সাহা) ও তার সহযোগীদের এবং প্রথম ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক শারমিন সুলতানাকে আইনের আওতায় আনার আরেকটি দাবি। কেননা ওই চিকিৎসকরা শুরু থেকেই তনুর বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে দুইবারই ময়নাতদন্তের একতরফা মনগড়া প্রতিবেদন দিয়েছেন।
এদিকে গতকাল বুধবার সকালে কুমিল্লা প্রেসক্লাবের সামনে তনু হত্যার বিচারের দাবিতে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও নিহত তনুর ভাই রুবেল হোসেন জানান, হত্যাকা-ের ৮৬ দিন অতিবাহিত হলেও ঘাতকরা শনাক্ত না হওয়ায় আবারও রাজপথের আন্দোলন শুরু হয়েছে। ঘাতকরা আটক না হওয়ায় দেশের মানুষ হতাশ। সিআইডির ডিএনএ প্রতিবেদন ছাড়া চিকিৎসকদের দুইটি ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনই মিথ্যা। কোনো বিশেষ মহলকে খুশি করার জন্য চিকিৎসকরা আগে থেকেই ওই মহলের টোপ গিলে রেখেছেন। তাই অবান্তর ময়নাতদন্ত দিয়ে মামলাটিকে দুর্বল করার গভীর ষড়যন্ত্রই হচ্ছে বানোয়াট, মনগড়া ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন। আর এষড়যন্ত্রের অন্যতম আরেকটি অংশ হলো ময়নাতদন্তকারি চিকিৎসকরা। তাদেরকে আইনের আওতায় আনা উচিত। কুমিল্লা গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র খাইরুল আলম রায়হান বলেন, তনু খুনিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে। ২০ জুনের মধ্যে তনুর হত্যাকারীদের শনাক্ত করে বিচারের আওতায় না আনলে কুমিল্লা পূবালী চত্বরে সভাবেশ অনুষ্ঠিত হবে এবং ঈদের পর কঠোর কর্মসূচির মাধ্যমে আবারও তনুর হত্যার বিচারের দাবি ঘিরে রাজপথের আন্দোলন বেগবান করে তোলা হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: দুই চিকিৎসককে আইনের আওতায় আনার দাবি
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ