পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) প্রবাসীরা দেশে ৪৫৪ কোটি ৮৯ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩৮ হাজার ৬৬৫ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। এর মধ্যে গত জুলাইয়ে দেশে রেমিট্যান্স আসে ১৫৯ কোটি ৭৭ লাখ মার্কিন ডলার, আগস্টে ১৪৮ কোটি ২৮ লাখ মার্কিন ডলার এবং সেপ্টেম্বরে আসে ১৪৬ কোটি ৮৪ লাখ মার্কিন ডলার। এছাড়া চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে রেমিট্যান্স প্রবাহ আগের অর্থবছরের (২০১৮-১৯) একই সময়ের তুলনায় ১৫ দশমিক ২৪ শতাংশ বা ৬৯ কোটি ৩৬ লাখ টাকা বেশি। বুধবার (২ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, গত সেপ্টম্বরে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ১৪৬ কোটি ৮৪ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার। রেমিট্যান্সের এই প্রবাহ গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ১৫ শতাংশ বেশি। বাংলাদেশ ব্যাংকের ইতিবাচক নানা পদক্ষেপের কারণে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে।
সূত্র জানায়, ২০১৮ সালের জুলাইয়ে দেশে রেমিট্যান্স আসে ১৩১ কোটি ৭০ লাখ ডলার। ওই বছরের আগস্টে ১৪১ কোটি ১০ লাখ ডলার এবং সেপ্টেম্বরে আসে ১১২ কোটি ৭৩ লাখ ডলার। গত অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) দেশে রেমিট্যান্সের পরিমাণ ছিল ৩৮৫ কোটি ৫৩ লাখ ডলার। যা চলতি অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৬৯ কোটি ৩৬ লাখ ডলার কম। সূত্র আরও জানায়, গত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে প্রবাসীরা দেশে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ১ হাজার ৬৪১ কোটি ৯৬ লাখ মার্কিন ডলার। যা বাংলাদেশের ইতিহাসে এক বছরে সর্বোচ্চ। এর আগে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে প্রবাসীরা ১ হাজার ৫৩১ কোটি ৬৯ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিল।
২০১৯ সালের প্রথম থেকেই বাড়ছে রেমিট্যান্স প্রবাহ। এর আগে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে প্রবাসীরা রেকর্ড ১৫৯ কোটি মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠায়। এরপর ফেব্রæয়ারিতে আসে ১৩১ কোটি ৭৭ লাখ ডলার, মার্চে ১৪৫ কোটি ৮০ লাখ ডলার, এপ্রিলে ১৪৩ কোটি ৪০ লাখ ডলার, মে মাসে ১৭৪ কোটি ৫০ লাখ ডলার এবং জুনে আসে ১৩৮ কোটি ডলার।
বছর ভিত্তিক রেমিট্যান্স
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, পঞ্জিকা বছর হিসেবে ২০১৮ সালে রেমিট্যান্স আসে ১ হাজার ৫৫৩ কোটি ৭৮ লাখ ডলার। ২০১৭ সালে ১ হাজার ৩৫৩ কোটি ডলার, ২০১৬ সালে ১ হাজার ৩৬১ কোটি ডলার এবং ২০১৫ সালে ১ হাজার ৫৩১ কোটি ডলার। অন্যদিকে অর্থবছর হিসাবে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে দেশে রেমিট্যান্স আসে ১ হাজার ৫৩১ কোটি ৬৯ লাখ ডলার, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ১ হাজার ৪৯৩ কোটি ডলার, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ১ হাজার ২৭৬ কোটি ৯৪ লাখ ডলার, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ১ হাজার ৪৯৮ কোটি ডলার। সর্বশেষ ২০১৮-১৯ অর্থবছরের রেমিট্যান্স আসে ১ হাজার ৬৩১ কোটি মার্কিন ডলার।
উল্লেখ্য, বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ১ কোটির বেশি প্রবাসী বাংলাদেশি রয়েছেন। প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স জিডিপিতে অবদান রেখেছে ১২ শতাংশের বেশি। বাংলাদেশে রেমিট্যান্স পাঠানোর শীর্ষ ১০টি দেশ হলো- যথাক্রমে সউদী আরব, আরব আমিরাত, যুক্তরাষ্ট্র, মালয়েশিয়া, কুয়েত, ওমান, যুক্তরাজ্য, কাতার, ইতালি ও বাহরাইন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।