পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া জামিনে মুক্তি পেলে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাবেন বলে জানিয়েছেন দলটির যুগ্ম মহাসচিব হারুনুর রশীদ এমপি। তিনি বলেন, উনার যে সমস্ত অসুখ-বিসুখ রয়েছে, অবিলম্বে উন্নত ও বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসার দরকার।
ওনার যে অসুস্থতা তার উন্নত চিকিৎসা দরকার, সেটার জন্য বৈদেশিক চিকিৎসা দরকার। উনি চিকিৎসার সুযোগ পেলে তো অবশ্যই বিদেশ যাবেন। আজ উনি জামিন পেলে, কাল বিদেশ যাবেন এবং আজই যদি উনি জামিন পান, ওনার প্রথম প্রায়রিটি হবে চিকিৎসা এবং দেখা যাবে উনি কালই চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাবেন। গতকাল (মঙ্গলবার) বিকেলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে কারাবন্দি অবস্থায় চিকিৎসাধীন থাকা বেগম খালেদা জিয়ার সাথে সাক্ষাৎ করে এসে তিনি এসব কথা বলেন।
বিকেল ৪টার সময় হারুনুর রশীদ বিএনপির আরও দুই এমপি উকিল আবদুস সাত্তার ও আমিনুল ইসলামকে নিয়ে বিএসএমএমইউর কেবিন ব্লকে খালেদা জিয়াকে দেখতে যান। প্রায় এক ঘণ্টা দলীয় প্রধানের সঙ্গে থাকার পর বেরিয়ে হারুন সাংবাদিকদের বলেন, উনার (খালেদা জিয়া) যে সমস্ত অসুখ-বিসুখ রয়েছে, এগুলোর জন্য উনার অবিলম্বে বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসার দরকার। এটার জন্যে বিদেশে তার চিকিৎসার দরকার। ওবায়দুল কাদের (আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক) চিকিৎসার জন্য বিদেশ গিয়েছেন। আজ সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী, তাকে কেন চিকিৎসার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে? তিনি বলেন, আমি সরকারের প্রতি আহ্বান জানাব, বাস্তবিকই উনার জামিন পাওয়ার যে নৈতিক অধিকার, এই জামিনের অধিকার থেকে তাকে যেন বঞ্চিত করা না হয়।
খালেদা জিয়া সাংগঠনিক বিষয়ে বা নেতাকর্মীদের কোনো বার্তা দিয়েছেন কি-না, এমন প্রশ্নের জবাবে বিএনপি সংসদীয় দলের এ মুখপাত্র বলেন, ‘সাংগঠনিক বিষয়ে উনি খোঁজখবর নিয়েছেন। উনাকে আমরা বলেছি, ম্যাডাম গত এক মাসে সারা বাংলাদেশে বিভিন্ন বিভাগে সভা-সমাবেশ হয়েছে। সরকারের অনেক বাধাবিপত্তির পরও, লাখ লাখ মানুষ এ সমাবেশে যোগদান করেছে। সাংগঠনিক অবস্থা যেভাবে আমরা চালিয়ে যাচ্ছি, আল্লাহর রহমতে। উনি বলেন, তোমরা সবাইকে নিয়ে, একসাথে কাজ করো। দেশে গণতান্ত্রিক অবস্থা ফিরে আসলে মানুষ যেন মুক্তভাবে চলাফেরা করতে পারে, ভোটাধিকার ফিরে পায় তার জন্য তোমরা কাজ করো।
সরকারের সঙ্গে এ ব্যাপার কথা হয়েছে কি-না এবং এর অংশ হিসেবে আপনারা কোনো বার্তা নিয়ে দেখা করেছেন কি-না’, এমন প্রশ্নে হারুন বলেন, না। আমরা সংসদে যোগদানের পর পার্লামেন্টে যে কজন কথা বলার চেষ্টা করেছি, তার মধ্যে আমাদের নেত্রীর মুক্তির বিষয়টি অন্যতম ছিল এবং আমি দলনেতা হিসেবে সরকারের শীর্ষপর্যায়ের দু-এক জায়গায়ও কথা বলেছি, তার মুক্তির দাবিও জানিয়েছি। এ ব্যাপারে ওনারা বলেছেন, দেখা যাক, এটা আইনের ব্যাপার। ওনারা এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন।
তিনি বলেন, আমি বারবার বলছি, আজও দেশবাসীর উদ্দেশ্যে জানাচ্ছি যে, উনার জামিনের যে অধিকার সে অধিকার থেকে ওনাকে বঞ্চিত করা হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে প্যারোলে মুক্তির বিষয়ে কোনো প্রস্তাবনা আছে কি-না, জবাবে হারুন বলেন, ‘না, এ ব্যাপারে কোনো প্রস্তাবনা নেই।’
প্যারোল ইস্যুতে কোনো আলোচনা হয়েছে কি-না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘না, প্যারোলের ব্যাপার আসবে কেন? উনি তো জামিন পাওয়ার যোগ্য। সুতরাং প্যারোলের বিষয় আসবে কেন?
হারুনুর রশীদ বলেন, এমপি হিসেবে আমাদের আরও আগে দেখা করা উচিত ছিল। আমরা সরকারের অনুমতি নিয়ে আজ দেখা করতে পেরেছি।
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা বর্ণনা করতে গিয়ে অশ্রুসিক্ত নয়নে তিনি বলেন, উনি হাত সোজা করতে পারেন না, হাত কাঁপে। খাবার নিজে খেতে পারেন না, এমন একটি অবস্থায় উনি। এটা তার প্রতি চরম জুলুম। আমি সরকারের প্রতি আহ্বান জানাব, ওনার যে জামিনের অধিকার এটা থেকে যেন তাকে বঞ্চিত না করা হয়।
হারুন আরও বলেন, আমরা তিনজন হাসপাতালে ম্যাডামকে দেখতে এসেছিলাম, এটা খুব বেদনাদায়ক, পীড়াদায়ক, এটা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। এ বয়সে সরকারের চরম জুলুমের বহিঃপ্রকাশ তার ওপর, এটা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। উনি চরম অসুস্থ এবং ওনার নিজের খাওয়াটাও খেতে পারেন না। নিজের কাপড়টাও উনি নিজে পরতে পারেন না, এ অবস্থায় ওনাকে বন্দি রাখা কত বড় অমানবিক! উনি দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন, আমরা আমাদের চোখে পানি ধরে রাখতে পারিনি।#
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।