পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
স্টাফ রিপোর্টার ঃ অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি), সাবেক চেয়ারম্যান ও পরিচালনা পর্ষদের ১৪ সদস্যসহ ১৮ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মুন গ্রুপের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে ২৭০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ অনুসন্ধানে তাদের তলব করা হয়েছে। গতকাল বুধবার দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে তলবকৃতদের পৃথক পৃথক নোটিস পাঠানো হয়েছে বলে দুদকের জনসংযোগ সূত্র নিশ্চিত করেছে।
অনুসন্ধান কর্মকর্তা ও দুদক উপপরিচালক বেনজীর আহম্মদ স্বাক্ষরিত নোটিসে তাদের আগামী ২০, ২১ ও ২২ জুন প্রধান কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়েছে। এর আগে গত ১৮ মে অগ্রণী ব্যাংকের মতিঝিল শাখা থেকে ২৭০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক।
যাদের তলব করা হয়েছে তারা হলেনÑঅগ্রণী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. খন্দকার বজলুল হক, এই ব্যাংকের সাবেক ১৪ পরিচালক আরাস্তু খান, ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর, মঞ্জুরুল হক লাভলু, এ কে গোলাম কিবরিয়া, অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার, অধ্যাপক ডা. আব্দুর রউফ সরদার, আলতাফ হোসেন মোল্লা, রণজিৎ কুমার চক্রবর্তী, এ বি এম কামরুল ইসলাম, নাগীবুল ইসলাম দীপু, শেখর দত্ত, ব্যারিস্টার জাকির হোসেন, শাহজাদা মহিউদ্দিন ও আব্দুস জহির সুফিয়ান। এ ছাড়া অগ্রণী ব্যাংকের বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ড. সৈয়দ আব্দুল হামিদ, ব্যাংকের ডিএমডি মিজানুর রহমান খান ও সৈয়দ বজলুল করিমকে (বিপিএম) তলব করা হয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে দুদক সূত্র জানান, মিজানুর রহমান তার মালিকানাধীন তিনটি প্রতিষ্ঠান মেসার্স মুন ইন্টারন্যাশনাল প্রেন্টিং প্রেস, মেসার্স মুন বাংলাদেশ লিমিটেড ও মেসার্স এম আর ট্রেডিংয়ের নামে ভুয়া জামানত বন্ধক রেখে ২৭০ কোটি টাকা ঋণ গ্রহণ করেন। যদিও কাগজপত্রে তিনি ৮১০ কোটি টাকার জামানত দেখিয়েছেন। অভিযোগ রয়েছে, যে নথিপত্র জামানত হিসেবে রেখেছেন তা সবই জাল। মেসার্স মুন ইন্টারন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেসের অনুকূলে ৪৯ কোটি টাকা, মেসার্স মুন বাংলাদেশ লিমিটেডের অনুকূলে ১৪১ কোটি টাকা ও মেসার্স এম আর ট্রেডিংয়ের অনুকূলে ৮০ কোটি টাকাসহ মোট ২৭০ কোটি টাকা অগ্রণী ব্যাংকের মতিঝিল প্রিন্সিপাল শাখা থেকে ঋণ হিসেবে নেওয়া হয়েছে। এই তিনটিই ভুয়া কোম্পানি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।