পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
অর্থনৈতিক রিপোর্টার ঃ ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে জনস্বাস্থ্যকে প্রাধান্য না দিয়ে বরং বহুজাতিক তামাক কোম্পানিগুলোকে সুবিধা প্রদান করা হয়েছে। তাই চূড়ান্ত বাজেটে সিগারেট, বিড়ি, জর্দা, গুলসহ সকল তামাকজাত দ্রব্যের উপর উচ্চহারে সুনির্দিষ্ট কর আরোপের দাবি জানিয়েছেন তামাকবিরোধী সংগঠনগুলো।
গতকাল (বুধবার) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে একটি মানববন্ধন কর্মসূচি আয়োজন করে তামাকবিরোধী বিভিন্ন সংগঠন। এই সব সংগঠনের মধ্যে রয়েছে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন, অধীর ফাউন্ডেশন, ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন, এসিডি, ইপসা, সীমান্তিক, উবিনীগ, ইসি বাংলাদেশ, ডব্লিউবিবি ট্রাস্ট, নাটাব, প্রত্যাশা, এইড ফাউন্ডেশন, একলাব ও টিসিআরসি।
মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তারা জানান, ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেটে সিগারেটের মূল্যস্তর প্রথা তুলে দিয়ে সুনির্দিষ্ট শুল্ক আরোপ করার দাবি করা হলেও প্রস্তাবিত বাজেটে এর কোনো প্রতিফলন নেই। মূল্যস্তর প্রথা রাজস্ব ফাঁকি উৎসাহিত করে। ফলে অতীতের মতই এই জটিল কর কাঠামোর সুবিধা পাবে তামাক কোম্পানিগুলো, আর বঞ্চিত হবে সরকার। একইসাথে ভোক্তাদেরও স্তর পরিবর্তনের সুযোগ অব্যাহত থাকবে। ফলে তামাকপণ্যের ব্যবহার আশানুরুপ হারে কমবে না।
তারা বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে সিগারেটের উপরের দুই স্তরে সম্পূরক শুল্ক মাত্র ১% বৃদ্ধি করায় ভোক্তা পর্যায়ে এই দুই স্তরের সিগারেটের মূল্যবৃদ্ধির সম্ভাবনা কার্যত নেই বললেই চলে। ফলে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা নয় বরং তামাক কোম্পানিগুলোই এতে লাভবান হবে। আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, এসব পণ্যের রাজস্ব আদায় খুবই দুর্বল। দেশে রেজিস্ট্রেশনবিহীন উল্লেখযোগ্য সংখ্যক জর্দা ও গুল কারখানা থাকায় ঐসব কারখানা থেকে কর সংগ্রহ করা কঠিন। এ বিষয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের পক্ষ থেকে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি।
২০ কোম্পানিকে ওষুধ উৎপাদন বন্ধের নির্দেশ বহাল
স্টাফ রিপোর্টার ঃ মানসম্পন্ন ওষুধ উৎপাদনে ব্যর্থ ২০টি কোম্পানিকে সব ধরনের ওষুধ উৎপাদন বন্ধে হাইকোর্টের দেয়া রায় বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। গতকাল বুধবার হাইকোর্টের আদেশের কার্যকারিতা স্থগিত চেয়ে করা দু’টি আবেদন নিষ্পত্তি প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের বেঞ্চ এ রায় বহাল রাখেন। গত ৭ জুন ২০ ওষুধ কোম্পানির সব ধরনের উৎপাদন বন্ধে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের এ রায় স্থগিত চেয়ে চেম্বার বিচারপতির আদালতে আবেদন করেন দুইটি ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেড। চেম্বার বিচারপতি আদালত কোনো আদেশ না দিয়ে পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠিয়ে দেন। আপিল বিভাগ এ বিষয়ে শুনানি শেষে হাইকোর্টের রায় বহাল রাখেন। পরে রিটকারীর আইনজীবী মনজিল মোরশেদ সাংবাদিকদের বলেন, মানসম্পন্ন ওষুধ উৎপাদনে ব্যর্থ ২০টি কোম্পানিকে ৭ জুন সব ধরনের ওষুধ উৎপাদন বন্ধের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। ওই আদেশ স্থগিত চেয়ে করা আপিলের শুনানি শেষে হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে আগামী ১৮ আগস্টের মধ্যে হাইকোর্টকে রুল নিষ্পত্তি করতে বলেছেন আদালত।
যেসব কোম্পানির উৎপাদন বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয় সেগুলো হলো : এক্সিম ফার্মাসিউটিক্যাল, এভার্ট ফার্মা, বিকল্প ফার্মাসিউটিক্যাল, ডলফিন ফার্মাসিউটিক্যাল, ড্রাগল্যান্ড, গ্লোব ল্যাবরেটরিজ, জলপা ল্যাবরেটরিজ, কাফমা ফার্মাসিউটিক্যাল, মেডিকো ফার্মাসিউটিক্যাল, ন্যাশনাল ড্রাগ, নর্থ বেঙ্গল ফার্মাসিউটিক্যাল, রিমো কেমিক্যাল, রিদ ফার্মাসিউটিক্যাল, স্কাইল্যাব ফার্মাসিউটিক্যাল, স্পার্ক ফার্মাসিউটিক্যাল, স্টার ফার্মাসিউটিক্যাল, সুনিপুণ ফার্মাসিউটিক্যাল, টুডে ফার্মাসিউটিক্যাল, ট্রপিক্যাল ফার্মাসিউটিক্যাল ও ইউনিভার্সেল ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেড। এছাড়াও ১৪টি ওষুধ কোম্পানির অ্যান্টিবায়োটিক উৎপাদন বন্ধেরও নির্দেশ দেয়া হয়। গত ৫ মে মানসম্পন্ন ওষুধ উৎপাদনে ব্যর্থ প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিলের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে হাইকোর্টে আবেদন দায়ের করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।