বাংলাদেশে খাদ্যে দুর্ভিক্ষ হবে না
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, বাংলাদেশে যথেষ্ট খাদ্য মজুদ রয়েছে, আজকে যে বৃষ্টি হচ্ছে এই বৃষ্টির কারণেই বাংলাদেশে সোনালী
১৪৪১ হিজরিতে বাংলাদেশ থেকে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৫০% হজযাত্রীকে হজে পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট শেখ মো. আব্দুল্লাহ। গতকাল সোমবার দুপুরে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ২০১৯ সালের সফল হজ ব্যবস্থাপনার সমাপ্তি উপলক্ষে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী এ ঘোষণা দেন। ধর্ম প্রতিমন্ত্রী সরকারি ব্যবস্থাপনায় জামাই আদরেও হজ করানোর প্রতিশ্রুতি দেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকনির্দেশনায় গত হজে সুষ্ঠ হজ ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন সাফল্যের বিষয়াদি তুলে ধরেন। প্রেস ব্রিফিংয়ে আরো উপস্থিত ছিলেন, ধর্ম সচিব মো. আনিছুর রহমান, যুগ্ম-সচিব এ বিএম আমিন উল্লাহ নূরী, যুগ্ম-সচিব জমাদ্দার, হাবের সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম।
আগামী হজে (২০২০ সনে) ৫০% হজযাত্রী প্রেরণের লক্ষ্যে কর্মপরিকল্পনাও নেয়া হচ্ছে বলে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী উল্লেখ করেন। ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইনশাআল্লাহ আগামী বছর মোট হজযাত্রীর ৫০ শতাংশ সরকারি ব্যবস্থাপনায় পাঠানোর সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাবো। সউদী সরকারও এ ব্যাপারে সহায়তা করবে। ২০১৯ সনে (১৪৪০ হিজরিতে) সর্বমোট ১ লাখ ২৭ হাজার ১৫২জন হজযাত্রী পবিত্র হজ পালন করেছে। গত হজে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৭ হাজার কোটার মধ্যে ৬ হাজার ৯২৩ জন পবিত্র হজ পালন করেছে। ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, হজ ব্যবস্থাপনাকে অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে আরো উন্নত করতে ধর্ম মন্ত্রণালয় দৃঢভাবে সংকল্পবদ্ধ। সুন্দর ও সফল হজ ব্যবস্থাপনার কার্যক্রম সম্পন্ন হওয়ায় রাজকীয় সউদী সরকারকে আন্তরিক মোবারকবাদ জানিয়ে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, মক্কা রুট ইনেশিয়েটিভ বাস্তবায়নের সাথে সংশ্লিষ্ট সকরের সহযোগিতায় এবার বাংলাদেশি হজযাত্রীদের সউদী আরবের অংশের ইমিগ্রেশন জেদ্দার পরিবর্তে ঢাকায় করা সম্ভব হয়েছে। এতে হজযাত্রীরা জেদ্দা বিমান বন্দরে ৬/৭ ঘন্টা ভোগান্তি থেকে রেহাই পেয়েছেন।
তিনি বলেন, সকলের আন্তরিক সহযোগিতায় এবার হজ নিয়ে কোনো কেলেংকারির ঘটনা ঘটেনি। অধিকাংশ হজ এজেন্সি সুনামের সাথে তাদের দায়িত্ব পালন করেছে। নিবিড় মনিটরিং করায় সকল হজযাত্রীর হজযাত্রা সুনিশ্চিত হয়েছে। বিমান ও সাউদিয়ার একটি হজ ফ্লাইটও বাতিল করতে হয়নি। ২০১৯ সনে হজ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশের কার্যক্রম ছিল সবচেয়ে সফল ও সন্তোষজনক। ফলে সউদী সরকার বাংলাদেশকে প্রশংসা করেছে।
এদিকে, প্রেস ব্রিফিং শেষে হাব সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৫০% হজযাত্রী নেয়ার সাথে দ্বিমত পোষণ করেছেন। হাব সভাপতি বলেন, সরকারি ৭ হাজার হজযাত্রীর কোটাই পূরণ করতে পারছে না। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সক্ষমতা না বাড়িয়ে সরকারি হজযাত্রীর সংখ্যা বাড়ানো সম্ভব নয় বলেও হাব সভাপতি উল্লেখ করেন। এক প্রশ্নের জবাবে হাব সভাপতি বলেন, বেসরকারি হজ এজেন্সির মালিক প্রতিনিধিরা মক্কা-মদিনায় সার্বক্ষণিক হাজীদের খেদমতে নিয়োজিত থাকেন। সেবার ওপরই নির্ভর করছে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রীর সংখ্যা বেশি হওয়া। তিনি বলেন, সরকারি হজযাত্রীদের দেখভার করার গাইড সরকারি কোনো লোক নয়। এ জন্যও সরকারি হাজীর কোটা এক সময়ে দশ হাজার করা হলেও তা’ পূরণ করা সম্ভব হয়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।