পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, ভবিষ্যতে স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, মুক্তিযুদ্ধের সময়ে গণহত্যায় শহীদদের সংখ্যা ও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বিতর্ক করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। মীমাংসিত বিষয়কে বিতর্কিত করার চেষ্টা করা হলে সবাইকে আইনের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হবে। মূর্খ, অর্বাচীন, রাজাকার এবং রাজাকারের সন্তান ছাড়া কেউ এমন বিষয় নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করতে পারে না বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
গতকাল শনিবার দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে আওয়ামী লীগ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে হানিফ এসব কথা বলেন।
মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা হঠাৎ করে আসেনি। কোনো গোল টেবিল বৈঠকের ফলাফলও এটি নয়। এটি দীর্ঘ আন্দোলনের ফসল এবং একটি মীমাংসিত বিষয়। দেশকে অস্থিতিশীল করতে একটি দুরভিসন্ধিমূলক পরিকল্পনা নিয়ে বিএনপি এ বিতর্ক সৃষ্টি করছে। বিএনপিকে উদ্দেশ করে হানিফ বলেন, স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের মতো মীমাংসিত বিষয় নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি কারও জন্যই সুফল বয়ে আনবে না। এ ধরনের অপচেষ্টা বন্ধ করার জন্য আমরা আহ্বান জানাচ্ছি। ভবিষ্যতে যদি এ ধরনের অপচেষ্টা করা হয়, তাহলে যারা এধরনের অপকর্ম করবে তাদের দেশ ও স্বাধীনতাবিরোধী অপকর্মের জন্য আইনের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে। দেশবাসী কখনও এটাকে বরদাশত করবে না।
বিএনপি ও দলটির নেত্রী খালেদা জিয়া ‘ভুল’ রাজনীতির কারণে রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে গেছে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হানিফ বলেন, সরকারের উন্নয়নমূলক অগ্রযাত্রা দেখেই আজকে বিএনপির মাথা খারাপ হয়ে গেছে। বেগম খালেদা জিয়া বা বিএনপির রাজনীতি বলতে কিছু নেই। আজ তারা জনগণ থেকে বহুদূরে ছিঁটকে পড়েছে। নিজেদের দেউলিয়াত্ব কাটিয়ে ওঠার জন্য দেশের ভেতরে একটা অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করার গভীর ষড়যন্ত্রে আজকে এই ধরনের নতুন করে বিতর্ক সৃষ্টির চেষ্টা চলছে। সে কারণেই দেশকে অস্থিতিশীল করার গভীর ষড়যন্ত্র থেকে আজকে মুক্তিযুদ্ধেও শহীদদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্কিত করা হচ্ছে। যারাই স্বাধীনতার চেতনা বিরোধী অবস্থান নেবে তাদের রুখে দিতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া কখনই বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে ছিলেন না। তিনি দেশে থেকেও পাকিস্তানি চেতনা-ধ্যান-ধারণায় বিশ্বাস করেন। তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার অবশিষ্ট আছে বলে আওয়ামী লীঅগ মনে করে না। তার ও তার দু’ছেলে সম্পর্কে দেশের জনগণ ভালো করেই জানে। জিয়া পরিবার বা খালেদা জিয়াকে হয়রানি বা নির্মূল করতে আওয়ামী লীগের কোনো প্রয়োজন নেই। তারা ইতিমধ্যেই ধ্বংস হয়ে গেছে। এসময় তিনি বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা শহীদ জিয়াউর রহমানকে একজন বিশ্বাস ঘাতক হিসেবেও অভিহিত করেন।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা প্রসঙ্গে হানিফ বলেন, দেশের মানুষ ক্ষুব্ধ হয়ে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করতেই পারেন। কিন্তু এ মামলাকে কেন্দ্র করে বিএনপি নেতারা বলেছেন, জিয়া পরিবারকে ধ্বংস করতে হয়রানিমূলক মামলা করা হয়েছে। খুব পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, আওয়ামী লীগ হয়রানির রাজনীতিতে বিশ্বাসী নয়। গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। কিন্তু আওয়ামী লীগ এটাও বিশ্বাস করে, দেশের সব নাগরিকের জন্য আইন সমান। আইনের ঊর্ধেŸ কেউ নয়। আইন অমান্য করলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এটাই স্বাভাবিক। আর যারা স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না, স্বাধীনতাকে আঘাত করে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে হুমকির মুখে ফেলে দিতে চায়; তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিলে এটা কোনোভাবেই হয়রানি বলা যাবে না।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে বাস করতে হলে এদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে মেনে চলতে হবে। বাংলাদেশে বাস করতে হলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে অস্বীকার করে স্বাধীন বাংলাদেশে বাস করার কোনো সুযোগ নেই।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের গণহত্যার উদাহরণ টেনে আওয়ামী লীগ নেতা হানিফ আবারও বলেন, দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধসহ বিভিন্ন যুদ্ধের গণহত্যার শিকার ইতিহাস এখনও সুনির্দিষ্টভাবে এক এক করে গুণে সংখ্যা নির্ধারণ করা হয়নি। সব দেশেই গণহত্যার সংখ্যা অনুমান ভিত্তিকই নিরূপণ করা হয়েছে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের সংখ্যাও একটি মীমাংসিত বিষয়। সেই মীমাংসিত বিষয়কে আজকে হঠাৎ করেই বিতর্কিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। বিএনপি-জামায়াত স্বাধীনতা-মুক্তিযুদ্ধের মীমাংসিত বিষয়গুলো নিয়ে জাতির মধ্যে বিভক্তি করে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করার অশুভ চক্রান্ত করছে। ভবিষ্যতে এসব মীমাংসিত বিষয়ে প্রশ্ন তুললে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা-বিষয়ক সম্পাদক এ বি তাজুল ইসলাম, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আফজাল হোসেন, কেন্দ্রীয় সদস্য এসএম কামাল হোসেন, বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম, মমতাজ উদ্দিন মেহেদি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।