পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঢাকা, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৯: মঙ্গলবার থেকে শুরু হচ্ছে সাইবার সচেতনতা মাস (ক্যাম) অক্টোবর-২০১৯। এ বছর মাসব্যাপী ক্যাম্পেইনের থিম নির্ধারণ করা হয়েছে ÔOwn IT. Secure IT. Protect IT.’ অর্থাৎ তথ্যপ্রযুক্তিকে নিয়ন্ত্রণ করো, নিরাপদ করো, সুরক্ষিত করো। হ্যাশট্যাগ #BeCyberSmart
যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ও ন্যাশনাল সাইবার সিকিউরিটি অ্যালায়েন্স (এনসিএসএ)-এর যৌথ নেতৃত্বে সচেতনতা তৈরির এই উদ্যোগে অংশীদার হয়ে ২০১৬ থেকে বাংলাদেশে সাইবার সচেতনতা মাস-অক্টোবর পালন করে আসছে সিসিএ ফাউন্ডেশন। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, সরকারি-বেসরকারি সংস্থা, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, সমিতি, অলাভজনক সংগঠন ও ব্যক্তি পর্যায়ে সাইবার নিরাপত্তা সচেতনতা তৈরিতে সম্মিলিত প্রচেষ্টা হিসেবে আন্তর্জাতিক এই ক্যাম্পেইন পরিচালিত হয়। এই ক্যাম্পেইনের নেতৃত্বে সহযোগী হিসেবে আরো আছে আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান সাইবারসিকিউরিটি অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার সিকিউরিটি এজেন্সি (সিআইএসএ)।
এ উপলক্ষে গতকাল রোববার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে একটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করে সিসিএ ফাউন্ডেশন। সেখানে জাতীয় সাইবার সুরক্ষার জন্য সরকারি-বেসরকারি অংশীজনদের প্রতি ১০ দফা সুপারিশ তুলে ধরা হয়। এগুলোর মধ্যে রয়েছে- নিয়মিত সচেতনতামূলক কার্যক্রম, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সাইবার পাঠ অন্তর্ভুক্তকরণ, অফিস-আদালতে দায়িত্বশীল পদে সৎ ও নৈতিক জনবল নিয়োগ নিশ্চিতকরণ, দক্ষ জনশক্তি তৈরি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে প্রশিক্ষিত জনবল বাড়ানো, সাইবার নিরাপত্তার কাজে দেশি প্রতিষ্ঠানকে গুরুত্ব দেয়া, সাইবার নিরাপত্তা কাজে অংশীজনদের সম্পৃক্ততা বাড়ানো, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ সব সেবায় দেশীয় প্রযুক্তিকে জনপ্রিয়করণ, প্রবাসী জনশক্তিকে কাজে লাগানো এবং বেসরকারি উদ্যোগে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সিসিএ ফাউন্ডেশন জানায়, একজন ইন্টারনেট ব্যবহারকারী সাইবার নিরাপত্তার সর্বোৎকৃষ্ট অনুশীলনের মধ্য দিয়ে কিভাবে নিজেকে সাইবার স্মার্ট হিসেবে গড়ে তুলতে পারে সে বিষয়ে এবারের থিমে উৎসাহিত করা হয়েছে। ২০১৯ সালের অক্টোবরকে আন্তর্জাতিকভাবে ১৬তম সাইবার নিরাপত্তা সচেতনতা মাস হিসেবে উদযাপন করা হবে।
এখন আমাদের অনলাইন এবং অফলাইন জীবনযাপনের মধ্যকার সম্পর্ক অবিচ্ছেদ্য। প্রযুক্তির এই যুগে আমাদের ঘর-বাড়ি, সামাজিক কল্যাণ, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি এবং সর্বোপরি দেশের জাতীয় সুরক্ষার বিষয়গুলো ইন্টারনেট দ্বারা প্রভাবিত হয়। তাই এ বছর সাইবার সচেতনতা মাস (ক্যাম) অক্টোবরের সচেতনতামূলক কর্মসূচিতে যেসব বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে তা হলো: প্রযুক্তি ব্যবহারে ব্যক্তিগত জবাবদিহিতা, উৎকৃষ্ট নিরাপত্তার চর্চায় প্রযুক্তির নিয়ন্ত্রিত ব্যবহার ও ডিজিটাল তথ্য সুরক্ষায় (প্রাইভেসি) উৎসাহিত করা এবং সাইবার নিরাপত্তায় ক্যারিয়ার গঠনের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা।
মাসব্যাপী এই ক্যাম্পেইনের চূড়ান্ত লক্ষ্য হলো- সকল নাগরিকের কাছে ইন্টারনেটে কিভাবে নিরাপদ থাকতে হয় এবং অনলাইনকে কিভাবে অধিকতর নিরাপদ করা যায় সেসব প্রয়োজনীয় তথ্য পৌঁছে দেওয়া। প্রতি বছরের মতো এবারও বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে ব্যক্তি পর্যায়ে সেসব তথ্য পৌঁছে দিতে সিসিএ ফাউন্ডেশন বেশ কিছু কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে অনলাইনে ক্যাম্পেইন, আলোচনা ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোর বিভিন্ন আয়োজনে সহযোগিতা করা উল্লেখযোগ্য।
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা কিভাবে সাইবার সচেতনতার বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করবেন সেসব কনটেন্ট (টুলকিট) ইতোমধ্যেই সিসিএ ফাউন্ডেশনের ওয়েবসাইটে (ccabd.org) প্রকাশ করা হয়েছে। সেসব তথ্য সাইবার সচেতনতার বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে সহায়ক হবে। এছাড়াও কোনো প্রতিষ্ঠান সাইবার সচেতনতা বিষয়ক কোনো অনুষ্ঠান আয়োজন করলে এবং সেখানে আলোচকের প্রয়োজন হলে সংগঠনটির সহযোগিতা পাবেন। এজন্য অনলাইনে আবেদন করা যাবে।
সিসিএ ফাউন্ডেশন মনে করে, ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্প এখন স্বপ্ন নয় বাস্তবতা। যতোই আমরা প্রযুক্তির বহুমুখী ব্যবহারের দিকে অগ্রসর হচ্ছি ততোই সচেতনতার বিষয়গুলো বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। অনলাইনে আমরা ব্যক্তি পর্যায়ে যাই করি তার প্রভাব সমষ্টিগত। তাই নিরাপদ ইন্টারনেট নিশ্চিত করতে আমাদের প্রত্যেকের নিজ নিজ জায়গা থেকে ইতিবাচক ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। এটা আমাদের সবার সম্মিলিত দায়িত্ব।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।