পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ক্যাসিনো কান্ডের মধ্যেই দেশের কয়েকটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের অনৈতিকতা, অনিয়ম, ঘুষ, দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন চলছে। এর মধ্যেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইলাল হয়ে গেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান। মূলত দিল্লির লাড্ডু প্রেমী এই ভিসি ভারতীয়দের জাতীয় শ্লোগান ‘জয় হিন্দ’ দেয়ায় এই ভাইরাল। রাষ্ট্রদ্রোহিতা দাবি করে তাকে ক্ষমা চাইতে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছে তিনটি সংগঠন। গতকাল রেবিবার যৌথ প্রতিবাদলিপির মাধ্যমে এই আল্টিমেটাম দেয় বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ, রাকসু আন্দোলন মঞ্চ ও বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন। তাদের দাবি ‘জয় হিন্দ’ শ্লোগানের মাধ্যমে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দেশের স্বাধীনতা-স্বার্বভৌমত্বকে অসম্মান ও অস্বীকার করেছেন।
জানা যায়, গত ২৬ সেপ্টেম্বর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগ ও জন-ইতিহাস চর্চাকেন্দ্র যৌথভাবে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ শ্লোগানের পর উপাচার্য ‘জয় হিন্দ’ শ্লোগান দেন। এটা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন স্থানে সমালোচনার ঝড় উঠে। ভিসিকে মুসলিম বিদ্বেষী এবং ভারতের দালাল অবিহিত করে ফেসবুক, বøগ, টুইটারে নানান মন্তব্য, পোস্ট, লাইক দেয়া হয়। মূলত ভারত থেকে মুসলিমদের বিতারিত করে হিন্দু রাষ্ট্র করার চেস্টায় দেশটির হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলো এবং বিজেপির নেতারা ‘জয় হিন্দ’ শ্লোগান দিয়ে থাকেন।
ভিসির ‘জয় হিন্দ’ শ্লোগানের জন্য ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানিয়ে প্রতিবাদকারী তিন সংগঠন তাদের প্রতিবাদলিপিতে উল্লেখ করেন, স্বাধীন থেকে উপাচার্যের শ্লোগানের বিষয়টি বিভিন্ন গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় দেশব্যাপী নিন্দার ঝড় উঠেছে। এই বক্তব্যটি আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। বিষয়টি অত্যন্ত স্পর্শকাতর। একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে এ বক্তব্য খুবই উদ্বেগজনক। আমরা মনে করি এই বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি ’৭১ এ মুক্তিযুদ্ধে লক্ষ লক্ষ শহীদের আত্মত্যাগ ও লড়াই সংগ্রামের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীন স্বার্বভৌম বাংলাদেশকে অসম্মান ও অস্বীকার করেছেন। যা দেশদ্রোহিতার শামিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের মতো পদে বসে এমন গর্হিত বক্তব্য দেয়ার মাধ্যমে এই পদকে তিনি কলঙ্কিত করেছেন।
প্রতিবাদলিপিতে শিক্ষার্থী হিসেবে এ বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তারা। একই সাথে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ওই বক্তব্য প্রত্যাহার করে জাতির সামনে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনার দাবি জানান। অন্যথায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এর বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে জানান। প্রতিবাদের অনুলিপি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, প্রক্টর, ছাত্র উপদেষ্টার দপ্তরে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে শিক্ষার্থীকে যৌন নিপীড়ন ঘটনায় চার দফা দাবি জানিয়ে আবার আন্দোলনে নেমেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। গতকাল বৃষ্টি উপেক্ষা করে সকাল ১০টায় বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রশাসন সামনে এসে সমাবেশ করে শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, যৌন হয়রানি ঘটনায় বিথীকা বণিককে প্রাধ্যক্ষের পদ থেকে অব্যাহতি দেয়ায় সাধুবাদ; তবে আর যেন কোনো শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির শিকার না হতে হয় সেজন্য এ ঘটনায় অভিযুক্তদের শাস্তি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত প্রশাসনকে সহযোগিতা করতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।