বর্তমান সংসদের প্রত্যেক মন্ত্রী ও এমপির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আনা যায় বলে মন্তব্য করেছেন
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। তিনি বলেন, আমরা সকল মন্ত্রী ও এমপিদের সম্পদের হিসাব দেখতে চাই। আর এই হিসাবটা জনসম্মুখে দিতে হবে। আমরা আরো জানতে চাই, মন্ত্রী হওয়ার আগে এবং যারা আগে মন্ত্রী ছিলেন- তাদের আগে কত সম্পদ ছিল এবং এখন কত সম্পদ বেড়েছে। এটা আমাদের দেখা প্রয়োজন। তারা যদি আমাদের এই দাবি মেনে না নেয় তাহলে আমরা ধরে নেবো- এই সংসদের প্রত্যেক মন্ত্রী ও এমপির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আনা যায়। এটাই আমরা ধরে নেবো।
শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে স্বেচ্ছাসেবক দল আয়োজিত এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।
'
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নি:শর্ত মুক্তির দাবি উপলক্ষে' এ মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
বর্তমান সরকারের রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি ঢুকে গেছে মন্তব্য করে ব্যারিস্টার মওদূদ বলেন, দুর্নীতি সামাল দেওয়ার শক্তি সরকার হারিয়ে ফেলেছে। আর যতভাবেই বলুক না কেনো- তারা অভিযান চালাবে। কিন্তু এই অভিযান সফল হবে না। যতদিন না পর্যন্ত ছাত্রলীগের রাব্বানী ও শোভন এবং যুবলীগের শামীম ও সম্রাট। তবে সম্রাটকে তো এখনো ধরতে পারেনি। এদের পিছনে যেসব মন্ত্রী-এমপি ও প্রভাবশালী ব্যক্তিরা আছেন-তাদেরকে চিহ্নিত করতে হবে। তা না হলে এই দুর্নীতি মুক্ত করা সম্ভব হবে না। কারণ সরকারে সমস্ত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে দুর্নীতি ঢুকে গেছে।
মওদুদ বলেন, সরকার দুর্নীতি ডুবে গেছে। তাই তাদের উচিত হবে, অবিলম্বে পদত্যাগ করে একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধিনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করা। এটা না করলে, দুর্নীতির বোঝায় এই সরকারের পতন হতে বাধ্য। এব্যাপারে কোন সন্দেহ থাকার কথা নয়।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি শফিউল বারী বাবুর সভাপতিত্বে ও
সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের ভুঁইয়া জুয়েলের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী- খান সোহেল, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।