পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
‘উন্নয়ন ফি’র নামে শিক্ষার্থীদের কাছে ধার্য করা ৮ হাজার টাকা মওকুফ করতে বিভাগের চেয়ারম্যানের কাছে আবেদন করেও সমস্যার সমাধান হয়নি ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থীদের। এ ফি না দেয়ায় বিভাগটির মাস্টার্সে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের ভর্তি ফরম দেয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ তাদের। বিষয়টি নিয়ে জটিলতা তৈরী হওয়ায় বিভাগটিতে সেশনজট তৈরী হওয়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীরা।
বিভাগের সূত্রমতে, ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগে মাস্টার্সে ভর্তির সময় ‘উন্নয়ন ফি’ বাবদ শিক্ষার্থীদের ৮ হাজার টাকা করে দিতে হয়। গত ২৯ আগস্ট বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর দীপ্তি সাহা একটি বিজ্ঞপ্তি দেন। সেখানে তিনি উল্লেখ করেন, ভর্তির ফি বাবদ থিসিস গ্রæপের জন্য ৮ হাজার টাকা এবং নন থিসিস গ্রæপের জন্য ৬ হাজার টাকা ২৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ব্যাংকে জমা করে জমার রশিদ বিভাগীয় অফিসে জমা দিয়ে ভর্তির ফরম সংগ্রহ করতে হবে। এ টাকা জমা না দিলে ভর্তির ফরম দেয়া হবে না বলে বিভাগ থেকে জানানো হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ৪ সেপ্টেম্বর বিভাগটির মাস্টার্সের শিক্ষার্থীরা উন্নয়ন ফি কমানোর জন্য চেয়ারম্যান বরাবর আবেদন করেও কোন সাড়া পাননি।
এদিকে, আগামী ৩ অক্টোবরের মধ্যে মাস্টার্সে ভর্তি না হলে সেশনজটের মুখে পড়বে শিক্ষার্থীরা। এজন্য তারা এ সমস্যার দ্রæত সমাধান দাবি করেছেন। শিক্ষার্থীরা বলছেন, মাস্টার্সের বেশিরভাগ শিক্ষার্থী নিজেদের প্রয়োজনে থিসিস করেন। এজন্য থিসিস গ্রæপের শিক্ষার্থীর সংখ্যা মাস্টার্সের মোট শিক্ষার্থীর ৯০ শতাংশের বেশি। তাদের অভিযোগ, আমরা বিভাগ উন্নয়ন ফি এর টাকা না দেয়ায় বিভাগ থেকে আমাদের ভর্তির ফরম দেয়া হচ্ছে না। চেয়ারম্যান তার বিজ্ঞপ্তিতে বিভাগ উন্নয়ন ফি-কে কৌশল করে ভর্তি ফি উল্লেখ করেছেন বলেও অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা। তারা এ বিষয়ে বিশ^বিদ্যালয়ের ভিসিকে পদক্ষেপ গ্রহণের আহবান জানান।
এ বিষয়ে ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী খোন্দকার ফয়সাল আজম বাপ্পী বলেন, আমরা বেশ কয়েকবার বিভাগের উন্নয়ন ফি কোন খাতে ব্যয় হয় জানতে চেয়েছেলাম, কিন্তু আমাদের হিসেব দেয়া হয় নি। আমরা চাই, বিভাগের উন্নয়ন ফি পুরোপুরি মওকুফ করা হোক। তা করা সম্ভব না হলে একটি যৌক্তিক পর্যায়ে নিয়ে আসা হোক।
জানা যায়, ঢাবির রসায়ন বিভাগে উন্নয়ন ফি বাবদ জমা নেয়া হয় ২ হাজার ৬০০ টাকা। ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে উন্নয়ন ফি ১০ হাজার টাকা ছিল। পরবর্তীতে সে টাকা কমিয়ে তিন হাজার টাকা করা হয়। কিন্তু ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগে উন্নয়ন ফি নেয়া হচ্ছে অনেক বেশি।
ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর দীপ্তি সাহার বলেন, আমরা গত দশ বছরে কোনো ফি বাড়াই নি। এখন তো আমাদের ফি বাড়ানোর কথা। এ টাকা কোন খাতে ব্যয় হয় জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, এগুলো শিক্ষার্থীরা জানে। এগুলো আপনাকে হিসেব দেয়ার কথা! কেউ চাইলে তাকে এ টাকার রসিদ দেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।