Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ট্যারিফে যেন কোনো কাজ বন্ধ না থাকে

পবিস জেনারেল ম্যানেজার সম্মেলনে বিইআরসি চেয়ারম্যান

প্রকাশের সময় : ৩১ জানুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

বিশেষ সংবাদদাতা : লোকসানের মুখে পড়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিগুলো (পবিস) বিদু্যুতের মূল্য পুনঃনির্ধারণের প্রস্তাব করেছে। তবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিআরইবি) চেয়ারমান এ, আর খান আপাতত মূল্য না বাড়িয়ে তা বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছেন। একইসাথে তিনি বলেছেন, ট্যারিফের কারণে কোন কাজ যেন বন্ধ না থাকে।
উল্লেখ্য, লাইফ লাইনের (১ থেকে ৫০ ইউনিট পর্যন্ত) বিদ্যুৎ সুবিধাভোগিদের কারণে অধিকাংশ পবিস এই লোকসানের মুখে পড়েছে।
তিন দিনব্যাপী জেনারেল ম্যানেজার সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে গতকাল শনিবার পবিস এর পক্ষ থেকে বিভিন্ন কর্মকর্তা তাদের এই বক্তব্য তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন তথ্য উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মঈন উদ্দিন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরী কমিশনের সদস্য রহমান মোর্শেদ, পাওয়ার গ্রীড কোম্পানী অব বাংলাদেশ-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ মাসুম আল-বেরুনী, ওজেস্টজোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী লিঃ-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ সফিক উদ্দিন, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সদস্য আবুল বাশার খান ও বাপবিবোর্ডের সদস্য (অর্থ) মোঃ আতাউল হক মোল্লা। অনুষ্ঠানে দেশের ৭৭টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার ও সমিতি বোর্ডের সভাপতিগণসহ বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
বিইআরসির চেয়ারম্যান বলেন, পবিসসমূহের সর্বস্তরের দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, স্বেচ্ছাচারিতা ও ঠিকাদারদের দালালী এবং চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে। চাঁদাবাজি বন্ধ না হলে পল্লী বিদ্যুতায়ন কার্যক্রমের অর্জিত সাফল্য মøান হয়ে যাবে। সরকারের লক্ষ্য অর্জনে আমরা পিছিয়ে যাব। তিনি বলেন, লাইফ লাইনের (১ থেকে ৫০ ইউনিট পর্যন্ত বিদ্যুৎ ব্যবহাকারীগণ) বিদ্যুৎ সুবিধা ভোগীদের সচেতন করে বিদ্যুৎ ব্যবহারে ও অপচয় রোধে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। প্রতিটি রুমে রুমে মিটার নেয়ার প্রবণতা দ্রুত বন্ধ করা উচিত। সিস্টেম লস কমিয়ে আনতে হবে। সোলার প্যানেলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে তা ব্যবহারের উপযোগী করতে হবে।
বাপবিবো চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মঈন উদ্দিন বলেন, আগামী ১৮ ডিসেম্বরের মধ্যে ৪৩৫টি উপজেলা শতভাগ বিদ্যুতায়িত হবে। ইতোমধ্যেই গত ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের ৬টি উপজেলা সম্পূর্ন বিদ্যুতায়িত হয়েছে। আগামী জুনের মধ্যে আরো ১৬টি উপজেলা বিদ্যুতায়িত হবে। এছাড়া ২০২১ সালের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সকলের ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ সুবিধা পৌঁছে দেয়া হবে বলে তিনি জানান।
অন্যান্য আলোচকবৃন্দ প্রি-পেইড মিটারিং পদ্ধতি, এনএলডিসি আধুনিকায়ন (স্ক্যাডা) ও ১৩২ কেভি প্রান্তে শিল্প সংযোগ প্রদানের সুযোগ বাপবিবোর্ডের উপর ন্যস্ত করা, পল্লী অঞ্চলে শিল্পায়নের বিকাশে পবিস কর্তৃক বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান ও সম্প্রসারণ এবং বিদ্যমান গতানুগতিক উপকেন্দ্রের পরিবর্তে আধুনিক ও নিয়মিত উপকেন্দ্র স্থাপনে উদ্যোগ গ্রহণ সর্বোপরি টেকসই বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা সম্প্রসারণ ও অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে পল্লী বিদ্যুতায়ন কার্যক্রমে ব্যাপক গতিশীলতা আনার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
আলোচনায় বক্তারা গ্রীড ওভারলোড পরিহার করার প্রয়াস চলমান রাখার উপরও গুরুত্বারোপ করেছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ট্যারিফে যেন কোনো কাজ বন্ধ না থাকে
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ