Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সাংবাদিকরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে সঙ্কট ঘনীভ‚ত হতে পারত না

আতাউস সামাদের স্মরণসভায় অধ্যাপক ড. সিরাজুল ইসলাম

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১২:০৫ এএম

বিশিষ্ট চিন্তাবিদ ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেছেন, রোহিঙ্গা সমস্যা, টাকা পাচার, রিজার্ভ চুরি, দুর্নীতি, ক্যাসিনো, পানি-জলবায়ু সমস্যাসহ দেশ ও সমাজের ভয়াবহ সব সঙ্কট নিরসনে চাই সাংস্কৃতিক জাগরণ। সাংবাদিক সমাজ ঐক্যবদ্ধ থাকলে এসব সঙ্কট এতটা ঘনীভ‚ত হতে পারত না। তরুণদের উদ্বুদ্ধ করে ব্যাপক সাংস্কৃতিক আন্দোলনের মাধ্যমে সমাজ বদল ঘটাতে হবে। আতাউস সামাদের মতো নির্ভীক ও নিবেদিতপ্রাণ প্রত্যয়ী সাংবাদিক এমন দুঃসময়ে সাহস করে সত্য তুলে ধরতেন। বরেণ্য সাংবাদিক আতাউস সামাদের ৭ম মৃত্যুবার্ষিকীতে স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। আতাউস সামাদ স্মৃতি পরিষদের উদ্যোগে এই সভা গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত হয় ।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রবীণ সাংবাদিক, জাতীয় প্রেস ক্লাব ও বিএফইউজে’র সাবেক সভাপতি রিয়াজউদ্দিন আহমেদ। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন নয়া দিগন্ত সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিন, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও যুগান্তরের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সাইফুল আলম, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ, বিএফইউজে সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, মহাসচিব এম. আবদুল্লাহ, বিএফইউজের সহ-সভাপতি ও জিটিভি-সারাবাংলার সিইও সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল, অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, এনটিভির বার্তা প্রধান খায়রুল আনোয়ার, ডিআরইউর সাবেক সভাপতি শফিকুল করিম সাবু, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী, নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক পারভীন সুলতানা মূসা ঝুমা প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আতাউস সামাদ স্মৃতি পরিষদের আহŸায়ক কবি হাসান হাফিজ।

প্রধান অতিথি অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী আতাউস সামাদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, সাংবাদিকরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে রোহিঙ্গা সমস্যা, এনআরসি সমস্যা আরো বড় আকারে তুলে ধরতে পারতেন। এগুলো দ্বিপক্ষীয় সমস্যা নয়। এগুলো আস্তর্জাতিক পর্যায়ে গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরতে হবে। সাংবাদিকরা কখনোই নিরপেক্ষ নন। তারা সব সময়ই জনগণের কল্যাণের পক্ষে।

সভায় অন্যান্য বক্তারা বলেন, সাংবাদিক আতাউস সামাদ স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে যেমন সোচ্চার ছিলেন তেমনি বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার ব্যাপারে কখনো আপস করতেন না। তিনি ছিলেন ন্যায়নীতি, আদর্শ, আস্থা ও অবিচলের প্রতীক। বক্তারা বলেন, আতাউস সামাদ কখনোই ফ্যাসিবাদ ও স্বৈরাচারবাদ পছন্দ করতেন না। তিনি আগাগোড়া একজন সৎ মানুষ ছিলেন। তবে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারার কারণে সাংবাদিকরা সাহসী ভ‚মিকা রাখতে পারছেন না বলেও বক্তারা মন্তব্য করেন।

এর আগে সকালে আজিমপুর কবরস্থানে বরেণ্য সাংবাদিক আতাউস সামাদের কবরে বিএফইউজে, ডিইউজে এবং স্মৃতি পরিষদের তরফে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও মরহুমের রূহের মাগফিরাত কামনায় মোনাজাত করা হয়।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সাংবাদিক

১৫ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ