Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বনজসম্পদ সংগ্রহে নিষেধাজ্ঞার পর গোলপাতা আহরণের পাশ-পারমিট!

প্রকাশের সময় : ১৮ জানুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

এ.টি.এম. রফিক, খুলনা থেকে : সবধরনের বনজসম্পদ আহরণে নিষেধাজ্ঞা পরও চলতি মৌসুমে গোলপাতা আহরণের পাশ-পারমিট দিচ্ছে বনবিভাগ। স্ন্দুরবনের বিলুপ্তপ্রায় রয়েল বেঙ্গল টাইগার, হরিণসহ অন্যান্য বন্যপ্রাণী ও জীব-বৈচিত্র্য রক্ষার বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বনজসম্পদ আহরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মন্ত্রণালয়। প্রধান বন সংরক্ষকও বলেছিলেন, সুন্দরবনে জনপ্রবেশ জমাতে পদক্ষেপ নেবেন।
বনবিভাগ সূত্র জানায়, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে পশ্চিম সুন্দরবনে গোলপাতা আহরণের জন্য পরিপত্র জারি করা হয়েছে। এ বছর খুলনা ও সাতক্ষীরা রেঞ্জে লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২৯ হাজার মেট্রিক টন (২ লাখ ৪৬ হাজার ৫৬০ মন)। শিবসা, আড়–য়া ও সাতক্ষীরা গোলপাতা কূপে এ লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। গত মওসুমে পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই, শ্যালা ও শরণখোলা কূপ থেকে ৭৪ হাজার কুইন্টাল গোলপাতা আহরণে ২০ লাখ ৬৮ হাজার টাকা রাজস্ব আয় করেছিল সরকার। এসময়ে সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগ ৩০ লক্ষাধিক টাকা রাজস্ব আয় হয়েছিল। চলতি মৌসুমে বিএলসি নবায়ন ও চেকিংয়ের কাজ চলছে। এখন পযন্ত ৬০০ বিএলসি নবায়ন ও ৪৩৫ বিএলসি চেকিংয়ের কাজ শেষ হয় বলেও বনবিভাগের সূত্রটি জানায়।
বনজীবী ফেডারেশনের সভাপতি মীর কামরুজ্জামান বাচ্চু বলেন, গোলপাতা না কাটলে বনের মধ্যেই নষ্ট হয়ে যায়। পাস-পারমিট দিলে সরকারের মোটা অংকের রাজস্ব আয় হয়। তবে গোলপাতার নৌকায় গেওয়া গাছ ব্যবহারের অনুমতি না দেয়ায় সমস্যা থেকেই গেছে। গোলপাতা কাটার জন্য লাখ লাখ টাকা খরচ করে সব প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছে। এখন এধরনের নিষেধাজ্ঞায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তারা।
পশ্চিম সুন্দরবনের বিভাগীয় কর্মকর্তা মো. জহিরউদ্দিন আহমেদ বলেন, সুন্দরবন রক্ষায় সরকার নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছে। সে লক্ষ্যে সবধরনের বনজ সম্পদ আহরণ নিষিদ্ধ করা হয়। তারপরও সরকারের রাজস্ব আদায় বনজীবীদের জীবিকার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে গোলপাতার পারমিট দেওয়া হলো।
এব্যাপারে সেভ দ্যা সুন্দরবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. শেখ ফরিদুল ইসলাম বলেন, সুন্দরবনের সম্পদ আহরণের ক্ষেত্রে সরকারের সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা থাকা উচিত। অন্যথায় সুন্দরবনের উপর যে অত্যাচার শুরু হয়েছে তা অব্যাহত থাকবে।
প্রধান বন সংরক্ষক মো. ইউনুস আলী বলেন, সাতক্ষীরা ও খুলনাতে সম্প্রতি সময়ে বাঘ শিকারি ও বাঘ-হরিণের চামড়া জব্দ করা হয়েছিল। সে জন্য সুন্দরবনের কিভাবে জনপ্রবেশ জমানো যায় সে বিষয়ে প্রয়োজনী উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গোলপাতার পাস-পারমিটের অনুমতি দিয়েছি। তবে কঠোর সতর্ক অবস্থা থাকবে বনবিভাগ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বনজসম্পদ সংগ্রহে নিষেধাজ্ঞার পর গোলপাতা আহরণের পাশ-পারমিট!
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ