পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) যে কয়টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে, কমেছে তার থেকে বেশি। এরপরও বাজারটির সবকটি মূল্য সূচক বেড়েছে। মূলত দামের দিক থেকে শীর্ষে থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ার দাম বাড়ায় সূচক ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পাশাপাশি সবকটি মূল্য সূচক বেড়েছে অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। তবে সিএসইতে যে কয়টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে, বেড়েছে তার থেকে বেশি। ফলে বাজারটিতে তুলনামূলক বড় উত্থান হয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার ও বুধবার পরপর দুই কার্যদিবসে শেয়ারবাজারে দরপতন হয়। তার আগে পুঁজিবাজারে তারল্য সংকট কাটাতে রেপোর (পুনঃক্রয় চুক্তি) মাধ্যমে অর্থ সরবরাহের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করায় সপ্তাহের প্রথম দুই কার্যদিবসে বড় উত্থান হয়।
পরপর দুই কার্যদিবস দরপতনের পর বৃহস্পতিবার লেনদেনের শুরুতেই মূল্য সূচক বড় উত্থানের আভাস দেয়। লেনদেন শুরুর প্রথম আধাঘণ্টায় ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স ২৭ পয়েন্ট বেড়ে যায় এবং সাড়ে ১১টার দিকে সূচকটি ৩৩ পয়েন্ট বেড়ে যায়।
এরপর কিছুটা নিম্নমুখী হয়ে পড়ে সূচক। তবে একবারের জন্যও ঋণাত্মক হয়নি। কিন্তু প্রথম ঘণ্টার লেনদনের পর একের পর এক প্রতিষ্ঠানের দরপতন হওয়ার কারণে সূচকের বড় উত্থান হয়নি। এরপরও দামের দিক থেকে শীর্ষে থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ার দাম বাড়ার কারণে সবকটি সূচক বেড়েছে।
এদিন ডিএসইতে দামের দিক থেকে শীর্ষে থাকা ৬টি প্রতিষ্ঠানেরই শেয়ার দাম বেড়েছে। আর শেয়ার দাম ১৫০ টাকার ওপরে থাকা ৪৮টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৩৩টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৪টির।
অপরদিকে, দিনভর ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া ১৫২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার বিপরীতে দরপতন হয় ১৫৫টির। আর ৪৭টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার পরও দামি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ার কারণে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স ১৬ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ৯৬৮ পয়েন্টে উঠে এসেছে।
প্রধান মূল্য সূচকের পাশাপাশি বেড়েছে বাকি দুটি সূচক। এর মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ ২ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ১৪৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর ডিএসই-৩০ সূচক ২ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৭৬৮ পয়েন্টে উঠে এসেছে।
মূল্য সূচকের উত্থানের পাশাপাশি ডিএসইতে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৪১১ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৩১৮ কোটি ৪৪ লাখ টাকার। সে হিসাবে লেনদেন বেড়েছে ৯৩ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
বাজারটিতে টাকার পরিমাণে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে ন্যাশনাল টিউবসের শেয়ার। কোম্পানিটির ১৫ কোটি ২৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা গ্রামীণফোনের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৩ কোটি ৫২ লাখ টাকার। ১১ কোটি ৯০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ন্যাশনাল পলিমার।
এ ছাড়া লেনদেনের শীর্ষ ১০ কোম্পানির মধ্যে রয়েছে-সিঙ্গার বাংলাদেশ, ফরচুন সুজ, সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্স, বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন, মুন্নু সিরামিক, ব্যাংক এশিয়া এবং ভিএফএস থ্রেড ডাইং।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৬৫ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৮৩ পয়েন্টে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ১৫ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেয়া ২৫২ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ১১০টির, কমেছে ১০৪টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৮টির।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।