পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : রাজধানীর চারপাশে নদীগুলোতে বহমান রাখার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্য নিউ ধলেশ্বরী-পুংলী-বংশাই-তুরাগ নদী পুনর্খনন করা হবে, যেন বুড়িগঙ্গাসহ ঢাকা মহানগরীর চারপাশে বহমান নদীগুলোতে পানি প্রবাহ বজায় থাকে। এ কাজ বাস্তবায়নে ১ হাজার ১২৫ কোটি ৫৯ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘বুড়িগঙ্গা নদী পুনরুদ্ধার’ শীর্ষক একটি প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। এ প্রকল্পের মাধ্যমে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক সভায় প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এটিসহ মোট ৩ হাজার ৩২৭ কোটি টাকার ৭ প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। পরে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানান।
পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, মোট ৭টি প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পগুলোর মোট ব্যয় ৩ হাজার ৩২৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা। সাতটি প্রকল্প বাস্তবায়নে কোনো বৈদেশিক ঋণ নেওয়া হবে না, সব টাকাই সরকারি খাত থেকে ব্যয় করা হবে।
সভায় জানানো হয়, পলি পড়ার কারণে বুড়িগঙ্গা, তুরাগ ও শীতলক্ষ্যা নদীর ধারণ ক্ষমতা কমে গেছে। এর ফলে শুষ্ক মৌসুমে নদীর প্রবাহ থাকে না এবং নাব্যতা কমে যায়। উৎসমুখে পলি পড়ে নদী ভরাট হয়ে যায়। প্রকল্পটির আওতায় নদীগুলো খনন করে সারা বছর নৌ-যান চলাচলের ব্যবস্থা করা হবে। বুড়িগঙ্গায় অবৈধ জবরদখলকৃত জমিও উদ্ধার করা হবে।
২০১০ সালের এপ্রিল থেকে ২০১৩ সালের ডিসেম্বর মেয়াদে প্রকল্পটির ব্যয় ছিল ৯৪৪ কোটি টাকা। একনেক সভায় প্রকল্পের মেয়াদ ২০২০ সালের এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ প্রসঙ্গে মুস্তফা কামাল বলেন, ঢাকার চারপাশে অবস্থিত নদীগুলোর নাব্য ও পানি সরবরাহ ঠিক রাখতে মাস্টার প্ল্যান তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ জন্য তিনি এলজিআরডি মন্ত্রণালয় ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়কে যৌথভাবে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন।
সভায় ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের যানজট নিরসন, কার্যকর সড়ক যোগাযোগ নেটওয়ার্ক উন্নয়ন এবং সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে ১ হাজার ২৬ কোটি টাকার প্রকল্পেরও অনুমোদন দেওয়া হয়। ‘ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন সড়ক অবকাঠামো উন্নয়নসহ নর্দমা ও ফুটপাত নির্মাণ’ শীর্ষক এ প্রকল্পের আওতায় উত্তরে বিদ্যমান সড়কের উন্নয়ন এবং সংলগ্ন এলাকার পানিবদ্ধতা দূর করা হবে। পথচারীদের হাঁটার সুবিধাও নিশ্চিত করা হবে। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনকে আরও আধুনিক শহরে পরিণত করা এ প্রকল্পের মূল লক্ষ্য।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, চলতি অর্থবছর ৩২টি একনেক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে ২৫৮টি প্রকল্পের বিপরীতে ব্যয় ধরা হয়েছে ২ লাখ ৫৭ হাজার ৭৮০ কোটি টাকা। গত অর্থবছরে অনুমোদন হয়েছিল প্রায় অর্ধেক। তাই শুরু থেকেই আমাদের প্রস্তুতি নিয়ে কাজ করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা সচিব তারিক-উল ইসলাম, সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সিনিয়র সদস্য ড. শামসুল আলম, আইএমইডি’র সচিব ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী, শিল্প ও শক্তি বিভাগের সদস্য জুয়েনা আজিজ প্রমুখ।
অনুমোদিত প্রকল্পগুলো হলো, মিলিটারি ফার্ম আধুনিকায়ন প্রকল্প, এর ব্যয় ধরা হয়েছে ১১৩ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। ৫৮ কোটি টাকা ব্যয়ে হরিশপুর বাইপাস মোড় থেকে বনবেলঘরিয়া বাইপাস মোড় পর্যন্ত নাটোর শহরের প্রধান সড়কের মিডিয়াসহ পেভমেন্ট প্রসস্থকরণ প্রকল্প, ৫০৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ল্যান্ড একুইজিশন এন্ড ল্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ফর ইমপ্লিমেন্টেশন অব গজারিয়া ৩৫০ মেগাওয়াট কোল ফায়ার্ড থারমাল পাওয়ার প্ল্যান্ট প্রকল্প এবং ২১৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ভোলা জেলার বোরহান উদ্দিন উপজেলায় মেঘনা নদীর ভাঙন থেকে শাহবাজপুর গ্যাস ফিল্ড রক্ষা (২য় পর্যায়) প্রকল্প।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।