পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক
পরমাণু সরঞ্জাম সরবরাহকারী আন্তর্জাতিক দেশগুলোর গ্রুপ এনএসজি (নিউক্লিয়ার সাপ্লায়ার্স গ্রুপ)-তে ভারত সদস্যপদ পেলে তা চিরপ্রতিন্দ্বী প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানের পারমানবিক অস্ত্রের ক্ষুধাকে আরো বাড়িয়ে দেবে বলে মনে করছে চীন। গতকাল চীনের রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত পত্রিকা গ্লোবাল টাইমসে এমন মন্তব্য করা হয়।
এনএসজি পরমাণু ক্ষমতাধর কয়েকটি দেশের একটি বিশেষ গ্রুপ। ‘শান্তিপূর্ণ’ বিভিন্ন উদ্দেশ্যে পরমাণু প্রযুক্তির ব্যবহারের ক্ষেত্রে পরস্পরে বা গ্রুপের বাইরের বিভিন্ন দেশকে সরঞ্জামাদি সরবরাহ করে থাকে গ্রুপটি। এই বিশেষ গ্রুপের সদস্য হতে যেসব শর্ত রয়েছে সেগুলোকে পাশ কাটিয়ে ভারতকে সদস্যপদ দিতে আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু চীনসহ কয়েকটি দেশ এর বিরোধী। তাদের যুক্তি, ভারতকে বিশেষ বিবেচনায় গ্রুপের সদস্য হওয়ার সুবিধা দিলে তার চিরপ্রতিন্দ্বী পাকিস্তানও বসে থাকবে না। ঝুঁকিপূর্ণ সম্পর্কের দুটি দেশের মধ্যে এভাবে পারমানবিক প্রতিযোগিতা এ অঞ্চলের নিরাপত্তাকে বিঘিœত করবে। এতে আরেক পরমাণু ক্ষমতাধর দেশ চীনের স্বার্থও ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
গ্লোবাল টাইমসের গতকালের “ভারত নিজেকে পরমাণু-স্বপ্নে অন্ধ করতে পারে না” শিরোনামের প্রতিবেদনে এই মনোভাবটি তুলে ধরা হয়েছে। পত্রিকাটি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছে, ‘এনএসজিতে ভারতের প্রবেশ দক্ষিণ এশিয়ায় পরমাণু অস্ত্রের প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি করবে।’
পত্রিকাটি আরো ইঙ্গিত দিয়েছে যে, চীন ভারতের সদস্যপ্রাপ্তির বিরুদ্ধে নিজের অবস্থান শক্তভাবেই ধরে রাখবে। যদিও সম্প্রতি চীন সফরে ভারতের প্রেসিডেন্ট প্রণব মুখার্জি চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে সদস্যপদ প্রাপ্তির ব্যাপারে সমর্থন জানাতে অনুরোধ করেছিলেন। গ্লোবাল টাইমস লিখেছে, ‘পাকিস্তান ভারতের সাথে পরমাণু ইস্যুতে কোনো ধরনের পার্থক্য বাড়–ক তা মেনে নেবে না, যার ফল দাঁড়াবে অস্ত্রের প্রতিযোগিতা। এবং এটি চীনের স্বার্থের জন্য এটি হুমকিস্বরূপ।’
গত ১২ মে ভারত এনএসজি এর সদস্যপদ লাভের জন্য আবেদন করে। এরপর গত ৯ জুন ভিয়েনায় শুরু হওয়া সম্মেলনে আবেদনটি বিবেচনায় নেয় গ্রুপের সদস্যরা। কিন্তু সেই সম্মেলনে কোনো চীন বিরোধিতা করায় কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। চীনের যুক্তি, ভারত এনপিটি স্বাক্ষর করেনি, যা এনএসজির সদস্যপদ লাভের অন্যতম শর্ত। এনএসজির যে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে সদস্য সব দেশের সমর্থন প্রয়োজন হয়। সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর জন্য আগামী ২৩-২৪ জুন নতুন করে বসবে সদস্যরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।