Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

৩ হাজার টাকায় ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে মিলিয়নিয়ার দিনাজপুরের দোকানদার

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ৬:৩৬ পিএম

দিনাজপুরের পার্বতীপুরের মুদি দোকানদার আজাহার মন্ডল। একটি ফ্রিজ হলে দোকানে ঠাণ্ডা পানি, আইসক্রিম ইত্যাদি রেখে বিক্রি করতে পারতেন। কিন্তু ফ্রিজ কেনার মতো পর্যাপ্ত টাকা তার নাই। মাত্র ৩ হাজার টাকা নিয়ে ছুঁটে যান ওয়ালটন শোরুমে। ওই টাকা ডাউন পেমেন্ট দিয়ে কিস্তিতে ওয়ালটনের একটি ফ্রিজ কেনেন আজাহার। কী ভাগ্য তার! সেই ফ্রিজ কিনেই তিনি পেলেন ১০ লাখ টাকা। হয়ে গেলেন মিলিয়নিয়ার।

আজাহারের মতো ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে মিলিয়নিয়ার হচ্ছেন দেশের বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার অসংখ্য মানুষ। ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-৪ এর আওতায় রেফ্রিজারেটর এবং ফ্রিজার ক্রেতাদের এ সুযোগ দিচ্ছে বাংলাদেশি মাল্টিন্যাশনাল ব্র্যান্ড ওয়ালটন। ‘কে হবেন আজকের মিলিয়নিয়ার’ শীর্ষক সুবিধায় দেশের যেকোনো ওয়ালটন শোরুম থেকে ফ্রিজ কিনে রেজিস্ট্রেশন করলে ক্রেতারা পেতে পারেন ১০ লাখ টাকা। রয়েছে ১ লাখ টাকাসহ বিভিন্ন অঙ্কের নিশ্চিত ক্যাশ ভাউচার কিংবা ফ্রিজ, টিভিসহ বিভিন্ন পণ্য ফ্রি পাওয়ার সুযোগ। এসব সুবিধা থাকছে ৩০শে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।

সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) আনুষ্ঠানিকভাবে আজাহারের হাতে ১০ লাখ টাকার চেক তুলে দেয় ওয়ালটন। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটনের নির্বাহী পরিচালক আরিফুল আম্বিয়া, বেলাইচন্ডী ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য শহিদুল ইসলাম দুলাল, ওয়ালটন ডিস্ট্রিবিউটর ‘মেসার্স আদনান ট্রেডার্স’-এর স্বত্ত্বাধিকারী কামরুজ্জামান বাবুসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

আজাহার মন্ডল জানান, স্ত্রীসহ তিন মেয়ে এবং এক ছেলে নিয়ে ৬ সদস্যের পরিবার তার। ছোট দোকান। সামান্য আয়ে সংসার চালানো কষ্টকর। ব্যবসা যে বড় করবেন, সেজন্য পর্যাপ্ত টাকাও নাই। তাই আপাতত একটি ফ্রিজ কিনে ঠাÐা পানীয়, আইসক্রিম ইত্যাদি দোকানে রাখার পরিকল্পনা করেন। কিন্তু ফ্রিজ কেনার মতো টাকাও ছিল না তার। তারপরও সোনাপুকুর বাসস্ট্যান্ডে ওয়ালটনের এক্সক্লুসিভ শোরুম ‘মেসার্স আদনান ট্রেডার্স’ এ গিয়ে একটি বড় আকারের ফ্রিজ পছন্দ করেন। যার দাম ২৬ হাজার ২৫৫ টাকা। মাত্র ৩ হাজার টাকা ডাউন পেমেন্ট দিয়ে কিস্তিতে ফ্রিজটি কেনেন তিনি। এরপর ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করলে ১০ লাখ টাকা পাওয়ার মেসেজ যায় তার মোবাইলে।

তিনি বলেন, পাঁচ বছর ধরে মুদি দোকান চালাচ্ছি। তারও আগে থেকে ওয়ালটন টেলিভিশন কিনে ব্যবহার করছি। খুব ভালো সার্ভিস দিচ্ছে। জানতাম ওয়ালটন পণ্য দামে কম, কিন্তু মানে ভালো। আবার কিস্তিতে কেনারও সুযোগ আছে। সেই ভরসায় সামান্য কিছু টাকা নিয়ে ফ্রিজ কিনতে ওয়ালটন শোরুমে যাই। এরপর যা হলো, তা যেন আমার কাছে স্বপ্নের মতো।

আজহার জানান, ওয়ালটন থেকে পাওয়া ১০ লাখ টাকা তিনি ব্যবসায় খাটাবেন। তিনি বলেন, ওয়ালটনের ফ্রিজ কিনে আমার সব অভাব দূর হয়েছে। তাদেরকে অনেক ধন্যবাদ।

উল্লেখ্য, অনলাইনে দ্রুত বিক্রয়োত্তর সেবা নিশ্চিত করতে কাস্টমার ডাটাবেজ তৈরি করছে ওয়ালটন। সেজন্য তারা সারা দেশে চালাচ্ছে ডিজিটাল ক্যাম্পেইন। ওই ক্যাম্পেইনে ক্রেতাদের উদ্বুদ্ধ করতে ক্রেতাদের ১০ লাখ টাকাসহ নিশ্চিত ক্যাশ ভাউচার এবং ফ্রি পণ্য দেয়া হচ্ছে।

জানা গেছে, বর্তমানে বাজারে রয়েছে ওয়ালটনের দেড় শতাধিক মডেল ও ডিজাইনের ৫০ থেকে ৩৬৫ লিটারের ডিরেক্ট কুল বা ফ্রস্ট, ১৯৫ থেকে ৫৯২ লিটারের নন-ফ্রস্ট রেফ্রিজারেটর এবং ১৪৫ থেকে ৩০০ লিটারের ফ্রিজার। এসব রেফ্রিজারেটর এবং ফ্রিজারের দাম ১০ হাজার টাকা থেকে ৬৯,৯০০ টাকার মধ্যে। নগদ মূল্যের পাশাপাশি কিস্তিতে কেনারও সুযোগ রয়েছে। এছাড়া ঘরে বসে অনলাইনের ইপ্লাজা.ওয়ালটনবিডি.কম (বঢ়ষধুধ.ধিষঃড়হনফ.পড়স) থেকে ফ্রিজসহ সব ধরনের ওয়ালটন পণ্য কেনা যাবে।

এক বছরের রিপ্লেসমেন্ট সুবিধার পাশাপাশি কম্প্রেসরে ১২ বছরের গ্যারান্টি দিচ্ছে ওয়ালটন। দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা দিতে সারা দেশে রয়েছে ৭৫টিরও বেশি সার্ভিস পয়েন্ট।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ওয়ালটন ফ্রিজ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ