Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ইকোনমিক জোন ছাড়া ভূমি বন্দোবস্ত দেয়া যাবে না

প্রকাশের সময় : ১৫ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

চট্টগ্রাম ব্যুরো ঃ সমুদ্র উপকূলে নতুন করে জনবসতি গড়ার লক্ষ্যে ভূমি বন্দোবস্তি না দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব মো. আবুল কালাম আজাদ। গতকাল (মঙ্গলবার) জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে বিভাগীয় কমিশনারের সঙ্গে ‘ভূমি পুনরুদ্ধার এবং উন্নয়ন’ শীর্ষক ভিডিও কনফারেন্সে এ নির্দেশনা দেন তিনি।
সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকদের উদ্দেশ্যে মুখ্যসচিব বলেন, নতুন করে ভূমি বন্দোবস্তি দেওয়ার উদ্যোগ বা প্রক্রিয়া শুরুর দরকার নেই। ওই জমিতে স্পেশাল ইকোনমিক জোন- এসইজেড করা হবে। এসব জোনের জন্যে জেটি, হোটেল, মোটেল, ডরমেটরি করতে হবে। এতে করে পর্যটন শিল্পেরও উন্নয়ন হবে। উপকূলীয় জমির পরিকল্পিত ব্যবহারের মাধ্যমে দেশের সমৃদ্ধি আনতে হবে। শুধু বন্দর বা ইকোনমিক জোনের জন্যে ভূমি বন্দোবস্তি দেওয়া যাবে। তিনি ভূমি মন্ত্রণালয়, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়, বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ে উপকূলীয় এলাকার ভূমি পুনরুদ্ধার এবং উন্নয়নের জন্যে বিশেষ উইং খোলার নির্দেশনা দেন। একই সঙ্গে চট্টগ্রাম, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের উপকূলীয় জেলার জেলা প্রশাসকদের এক মাসের মধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, এসি ল্যান্ড, সার্ভেয়ারদের মাধ্যমে জরিপ করে যেসব চর জেগেছে এবং যেখানে চর জেগে উঠতে পারে তার তথ্য ভূমি মন্ত্রণালয় ও কোথায় বেড়িবাঁধ দিলে বা সংস্কার করলে ভূমি রক্ষা পাবে এবং কোথায় ক্রসড্যাম দিলে নতুন ভূমি জেগে উঠতে পারে তার তথ্য পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মো. রুহুল আমীন, জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন, কক্সবাজারের আলী হোসেন, নোয়াখালীর বদরে মুনীর ফেরদৌস, ল²ীপুরের জিল্লুর রহমান চৌধুরী প্রমুখ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মুখ্য সচিবের সঙ্গে কথা বলেন। নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক জানান, নোয়াখালী প্রতিনিয়ত ভাঙছে আর গড়ছে। নিঝুম দ্বীপে নোয়াখালীর চেয়ে দ্বিগুণ বড় চর জাগছে। কোম্পানিগঞ্জে বিপুল পরিমাণ চর জাগছে। ৩৫০ একর জমিতে ইকোনমিক জোন করার জন্যে প্রস্তাব পাঠিয়েছি। সমস্যা হচ্ছে সেখানে ১২টি মামলা রয়েছে।
ল²ীপুরের জেলা প্রশাসক বলেন, চরগজারিয়া চর আবদুল্লায় কারও নামে বন্দোবস্তি দেওয়া হয়নি। ইকোনমিক জোন করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে ইকোনমিক জোন করার প্রক্রিয়া অনেক দূর এগিয়ে গেছে।
ফেনীর জেলা প্রশাসক বলেন, চর নাসিমে ২ হাজার ৭০০ একর চর জেগেছে। উত্তরাংশে ১০০ একর বনাঞ্চল ছিল। আরও বন সৃজন করতে পারলে তিন-চার হাজার একর চর জাগবে। আগামী সাত-আট বছরের মধ্যে ভূমি হিসেবে পাবো। চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন বলেন, মিরসরাই ও স›দ্বীপে চর জাগছে। ইতিমধ্যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে মিরসরাই যে ভূমি জেগে উঠবে সবই ইকোনমিক জোনের জন্যে দেওয়া হবে। উড়িরচরে চর জাগছে আবার ভেঙেও যাচ্ছে। কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক আলী হোসেন বলেন, মহেশখালীতে স্পেশাল ইকোনমিক জোনের জন্যে পর্যাপ্ত জমি বরাদ্ধ দেওয়া হচ্ছে। টেকনাফের সাবরাংয়ে ক্রসড্যাম দিলে ভূমি উদ্ধার হবে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ইকোনমিক জোন ছাড়া ভূমি বন্দোবস্ত দেয়া যাবে না
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ