পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার ভবানীপুর দাখিল মাদরসাটি ১৮ বছরেও এমপিওভুক্ত হয়নি। শিক্ষা ক্ষেত্রে মাদরাসাটি সফলতার স্বাক্ষর রাখলেও এমপিওভুক্ত না হওয়ায় শিক্ষক-কর্মচারীরা মানবেতর জীবন যাপন করছেন।
জানা যায়, এ অঞ্চলের ঝরেপড়া শিক্ষার্থীদের আলোকিত মানুষ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে ২০০১ সালে এলাকাবাসী দেড় একর জমির উপর গড়ে তোলেন ভবানীপুর দাখিল মাদরাসা। নানা প্রতিক‚লতার মধ্যে দিয়ে চলছে মাদরাসাটির কার্যক্রম। দক্ষ শিক্ষক দ্বারা শিক্ষার্থীদের পাঠদান করায় ২০০৪ সাল থেকে টানা ১৩ বছর দাখিল পরীক্ষায় শতভাগ পাশসহ শিক্ষার্থীরা এ পর্যন্ত অর্ধশতাধিক জিপিএ-৫ অর্জন করে সাফল্যের ধারা অব্যাহত রাখে। জেডিসি ও এবতেদায়ী সমাপনী পরীক্ষায়ও শিক্ষার্থীরা কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখে আসছে। ভবানীপুর দাখিল মাদরসার এ সাফল্যের সংবাদ ছড়িয়ে পড়ায় দূর-দূরান্ত থেকে শিক্ষার্থীরা এসে ভর্তি হয়েও ভালো ফল করছে। শিক্ষকরা আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের পাঠদান অব্যাহত রেখেছে। শিক্ষা জীবন শেষ করে অনেক শিক্ষার্থী তাদের ভাগ্যের উন্নয়ন ঘটিয়েছে, কিন্তু ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটেনি ওই মানুষ গড়ার কারিগর শিক্ষকদের। মাদরাসাটিতে বর্তমানে প্রায় ৪৫০ জন শিক্ষার্থী পড়ালেখা করছে। এখানে ১২ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা ও দু’জন কর্মচারী রয়েছেন। প্রতিষ্ঠার পর ১৮ বছরেও এমপিওভুক্ত না হওয়ায় সরকারের নানা সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত রয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
অবহেলিত এলাকার ছেলে মেয়েদের লেখাপড়ার কথা বিবেচনা করে সরকারের কাছে মাদরাসাটি এমপিওভুক্ত করার দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী।
মাদরাসার সুপার মাওলানা আবু মুছা জানান, সরকার মাদরাসাটির স্বীকৃতি দিয়েছে। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে অনেক কষ্ট করে মাদরাসাটি চালিয়ে আসছি। শিক্ষক কর্মচারীরা যদি মাদরাসায় আসা বন্ধ করে দেয়, তাহলে শিক্ষক সঙ্কটের কারণে মাদরাসার শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যেতে পারে। যার প্রভাব পড়বে এলাকার শিক্ষার্থীদের উপর।
শিক্ষক মাওলানা শফিকুল ইসলাম জানান, প্রায় ১৮ বছর ধরে এ মাদরাসায় শিক্ষকতা করছি। কিন্তু এখনও পর্যন্ত মাদরাসাটি এমপিওভুক্ত না হওয়ায় মসজিদে ইমামতি করে জীবনযাপন করছি।
অপর শিক্ষক মাওলানা আশিকে এলাহী জানান, আমি গত ১৫ বছর যাবত এই মাদরাসায় পাঠদান করে আসছি। কিন্তু কোন বেতন না পাওয়ায় অবসর সময়ে ঔষধ বিক্রি করে কোন রকমে দিনাতিপাত করছি।
মাদরাসা পরিচালনা পরিষদের সভাপতি হাজী নোয়াজ আলী জানান, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে আমি মাদরাসাটির সাথে সম্পৃক্ত। কিন্তু শিক্ষকদের কোন টাকা পয়সা দিতে না পারায় তাদের সামনে যেতেও লজ্জা পাই। এমপি মহোদয়ের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে আসছি। আশা করি এ সরকারের আমলেই মাদরাসাটি এমপিওভুক্ত হবে। এমপিও চালু হলেই মাদরাসার শিক্ষক-কর্মচারীর দুঃখ দুর্দশা লাঘব হবে এবং মাদরাসাটি নতুন করে প্রাণ ফিরে পাবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।