পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টালিন সরকার : বাহের দ্যাশ রংপুরে লাঙ্গলের জোয়ারে ভাটার টান ধরেছে অনেক আগেই। তার ওপর ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের পর পুলিশি প্রহরায় সিএমএইচ থেকে অতি গোপনে এমপি হিসেবে শপথ গ্রহণ এবং পরবর্তীতে কিছু বিতর্কিত কথাবার্তার কারণে রংপুরের ভোটাররা কার্যত এরশাদের নাম ডিকশনারি থেকে মুছে ফেলে দেয়। রংপুরের স্থানীয় জাতীয় পার্টির নেতাদের কথাবার্তাও ছিল এমনÑ দেশের দূরের কথা রংপুরের রাজনীতিতে এরশাদ ‘নেই’ হয়ে গেছেন।
কিন্তু আওয়ামী লীগপন্থী জিয়াউদ্দিন বাবলুকে অব্যাহতি, জিএম কাদেরকে কো-চেয়ারম্যান এবং মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগসহ কিছু কথাবার্তার কারণে হালে রংপুরের সাধারণ মানুষের ‘মুখে মুখে এরশাদ’ নামটি আবার উচ্চারিত হচ্ছে। রংপুর শহরের সাতমাথা, তিনমাথা, কামালকাছনা, পায়রা চত্বর, জাহাজ কোম্পানি মোড়, শাপলা চত্বর, গ্রান্ড হোটেল মোড়, মডার্ন মোড, কোটকাছারী, ধাপসহ অর্ধশতাধিক স্পটে মানুষের মুখে মুখে (এসব স্পটে সব সময় মানুষের সমাগম) শোনা গেল এরশাদ নিয়ে আলোচনা-তর্ক-বিতর্ক। প্রায় মানুষের মুখে এরশাদ ও রওশন এরশাদের বিরোধ, জিএম কাদেরকে কো-চেয়ারম্যান এবং মন্ত্রিসভা থেকে জাতীয় পার্টির সরে আসার এরশাদের চিন্তা-ভাবনা নিয়ে পর্যালোচনা হচ্ছে। রিকশাওয়ালা, ব্যাটারির গাড়িচালক, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ সবার মুখে ‘এরশাদ’।
রংপুর শহরের বিভিন্ন স্পটে ৪ দিন ঘুরে এ চিত্রই দেখা গেল। ৫ জানুয়ারির বিতর্কিত নির্বাচনের পর এমপি হিসেবে শপথ নেয়ার পর যারা ক্ষোভে-দুঃখে এরশাদের ছবিতে ‘থু-থু’ দিয়েছেন; এরশাদের রাজনৈতিক দেউলিয়াপনা নিয়ে বির্তক করেছেন; তাদের মুখেও এরশাদের নাম শোনা গেল। তাদের ভাষা এমন যে এরশাদের স্ত্রী রওশন এরশাদ গৃহপালিত বিরোধী দলের নেতা পদের জন্যই জাতীয় পার্টিকে বিক্রি করে দিয়েছে আওয়ামী লীগের কাছে। সংসদে দলটি এখন সরকারের সব সিদ্ধান্তে ‘জি হুজুর জি হুজুর’ করতে অভ্যস্ত। মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ, জনমানুষের কাছে যাওয়ার ঘোষণা এবং ভাই জিএম কাদেরকে কো-চেয়ারম্যান করে দলকে আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনের ‘তকমা’ থেকে রক্ষা করার এরশাদীয় ঘোষণায় তারা জাতীয় পার্টির ‘ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল’ দেখতে পাচ্ছেন। পায়রা চত্বরের এক সুইপারের ভাষায় ‘আমার ছাওয়াল এরশাদ যদি দালালি ছাড়ি দিয়া দলকে রক্ষা করে হামলা তার সাথে আছি।’ শাপলা চত্বরের এক বাদাম বিক্রেতার ভাষায় ‘এরশাদ আওয়ামী লীগের দালালি ছেড়ে জনগণের রাজনীতি করলে আমরা তার সাথে থাকমো।’ এক হোটেল বয়ের ভাষায় ‘এরশাদ বউয়ের (স্ত্রী) ফাঁদে পড়ে হামাদের ভোট ছাড়াই এমপি হয়া প্রধানমন্ত্রীর দূত হইছে। নিজের ভুল ভুঝবার পায়া এখন যদি ভাল হয়া যায় তাহলে হামরা তার সাথে থাকমো।’ জাতীয় পার্টির এক নেতা ও রংপুরের স্থানীয় একাধিক সাংবাদিকের মতে ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে কোন পরিস্থিতিতে এরশাদকে পড়তে হয়েছিল তা দেশ-বিদেশের মানুষ জানেন। এখন তিনি যদি সেখান থেকে বের হয়ে জনগণের রাজনীতি করার চেষ্টা করেন তাহলে রংপুরের পাশাপাশি সারাদেশে তিনি জনসমর্থন পাবেন; তার দল শক্তিশালী হবে।’ লাঙ্গলের ঘাটিখ্যাত রংপুরের মানুষের মধ্যে যখন এই অবস্থা তখন কী সিদ্ধান্ত নেবেন এরশাদ?
স্বামী জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত এইচএম এরশাদ ও স্ত্রী জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদের বিরোধ ওপেন সিক্রেট। বক্তব্য পাল্টা বক্তব্য এবং বিবৃতি পাল্টা বিবৃতি নিয়ে গত এক সাপ্তাহ তারা দু’জনই মিডিয়ার শিরোনাম। জি এম কাদেরকে কো-চেয়ারম্যান, জিয়াউদ্দিন বাবলুকে বাদ দিয়ে রুহুল আমিন হাওলাদারকে মহাসচিব নিয়োগ, রওশন এরশাদকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ঘোষণা করা এবং মন্ত্রিসভায় জাতীয় পার্টির থাকা না থাকা নিয়ে বিতর্ক চলছে। অবশ্য এর আগেও এ বিতর্ক হয়েছে। এ অবস্থায় আজ (রোববার) আয়োজন করা হয়েছে জাতীয় পার্টির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম প্রেসিডিয়ামের সভা। বনানীর কার্যালয় ‘রজনীগন্ধায়’ এ সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভা নিয়ে দলের নেতাদের মধ্যে উত্তেজনা চলছে। জাতীয় সংসদে ৭বার নির্বাচিত এমপিসহ কর্মী লালমনির হাটের মুজিবুর রহমানের ইন্তেকালে প্রায় সকলেই বেদনাহত। (উল্লেখ জাতীয় সংসদে ৭ বার এমপি হওয়ার গৌরব অর্জন করেন মরহুম মুজিবুর রহমান। এ তালিকায় আরো আছেন বর্তমানের প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ, জাতীয় পার্টির তাজুল ইসলাম চৌধুরী) প্রেসিডিয়ামের সভায় এরশাদ কী সিদ্ধান্ত নেন সেটা দেখার জন্য দলের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি রাজনীতি সচেতন মানুষও অপেক্ষা করছেন (যদিও গতকাল প্রতিমন্ত্রী মুজবুল হক চুন্নু জানিয়েছেন মন্ত্রিসভা থেকে তারা পদত্যাগ করবেন না)। রওশনপন্থীরা গতকাল পৃথকভাবে বৈঠক করে এবং নিজেদের সঙ্গে যোগাযোগ করে নিজেদের অবস্থান শক্ত রাখার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। জিএম কাদেরকে কো-চেয়ারম্যান এবং রুহুল আমিন হাওলাদারকে মহাসচিব করার সিদ্ধান্ত প্রেসিডিয়ামের সভায় অনুমোদিত হবে সেটা নিশ্চিত বলে জানিয়েছেন দলটির প্রেসিডিয়ামের কয়েকজন সদস্য। তবে ওই সভায় রওশন এরশাদ উপস্থিত থাকবেন কি না জানা না গেলেও মন্ত্রিসভায় থাকা না থাকা নিয়ে পর্যালোচনা হবে বলে জানা গেছে। রওশন এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখাও করেছেন। দলের এক দায়িত্বশীল নেতা জানালেন, ম্যাডমের (রওশন এরশাদ) সর্বশেষ বিবৃতি স্যার (এরশাদ) স্বাভাবিকভাবে নিতে পারেননি। যদিও তাদের দাবি রওশন এরশাদকে এ বিবৃতি দিতে বাধ্য করা হয়েছে। পত্রিকায় খবর বের হয়েছে সংসদের সংরক্ষিত আসনে দু’বারের এক এমপির ছেলের বিয়েতে এরশাদ ও রওশন এরশাদ দু’জনই বিমানে গিয়েছিলেন চট্টগ্রাম। তবে তারা আলাদাভাবেই সেখানে যান। ওই বিয়ের অনুষ্ঠানে এরশাদের কাছে ঘেষার চেষ্টা করলেও জিয়াউদ্দিন বাবলুর সঙ্গে কথা বলেননি; এমনকি পাশে দাঁড়াতে দেয়নি এরশাদ। দলের একাধিক নেতা জানান, এরশাদের ওপর নানামুখী চাপ সত্ত্বেও তিনি হয়তো আজ কঠিন কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। কারণ রওশন এরশাদসহ দলের মন্ত্রী-এমপিদের কয়েকজন সরকারের ওপর মহলকে জাতীয় পার্টির অভ্যন্তরীণ বিবাদে হস্তক্ষেপ করার জন্য তদবির চালাচ্ছেন।
সংসদে দলের ভূমিকা নিয়ে এরশাদ আত্মোপলব্ধি হলো সংসদে বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করতে পারছে না। জাতীয় পার্টি কার্যত গণবিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। মন্ত্রিসভা থেকে বের হয়ে দলটি সংসদের খাঁটি(!) বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করতে চাচ্ছে। যদিও ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের মাধ্যমে খাঁটি বিরোধী দল হওয়া দূরহ। কারণ অধিকাংশ এমপি ভোট ছাড়াই ‘নির্বাচিত’ হন। অন্যদিকে বেগম রওশন এরশাদ দাবি করছেন জাতীয় পার্টির পিওর বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করছে। আসুন না একটু দেখি সংসদ অধিবেশনে বিরোধী দল হিসেবে জাতীয় পার্টির কর্মকা-! সংসদে আইন প্রণয়ন, মুলতবি প্রস্তাব আনা, জনগুরুত্বপূর্ণ ইস্যু, জাতীয় ইস্যুগুলোকে সামনে আনা, সংসদীয় কমিটিগুলোতে সক্রিয়তা, সরকারের সাধারণ সমালোচনা করা, বিদেশের সঙ্গে চুক্তির আগে তা নিয়ে সংসদে আলোচনা করতে বাধ্য করাসহ অসংখ্য দায়িত্ব বিরোধী দলের। কিন্তু কোনোটি করতে দেখা যায়নি বিরোধী খ্যাত জাতীয় পার্টিকে। বিদেশী রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানগণ ঢাকা সফরে এলে যাতে বেগম জিয়ার পাশাপাশি সংসদের বিরোধী দল হিসেবে রওশন এরশাদের সঙ্গে বৈঠক করেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করে এটা নিশ্চিত করা হয়েছে। অথচ সংসদে গঠনমূলক কোনো ভূমিকাই রাখতে পারেনি দলটি। গত দুই বছরে সংসদে ৪৮টি আইন প্রণয়ন হয়েছে। এর কোনোটিতেই সরকারকে পিওর (!) বিরোধী দলের মুখোমুখি হতে হয়নি। এই সময়ে জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে কোনো মুলতবি প্রস্তাবও উত্থাপন করা হয়নি। বরং প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রধানন্ত্রীকে তোষামোদ করা, জয় বাংলা বলে বক্তব্য শেষ করা ঘটনা ঘটেছে। এ জন্য এরশাদ ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেছেন, আমাদের শ্লোগান বাংলাদেশ জিন্দাবাদ জয় বাংলা নয়। বিরোধী দলের এই ভূমিকায় টিআইবির নির্বাহী পরিচালন ড. ইফতেখারুজ্জামান জাতীয় সংসদকে ‘পুতুল নাচের নাট্যশালা’ হিসেবে অবিহিত করেন। অথচ রওশন এরশাদের নেতৃত্বে ৪০ এমপির প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির এই অবস্থানের বিপরীতে হাজী সেলিমের নেতৃত্বে ১৬ জন স্বতন্ত্র এমপির মোর্চাকে সংসদে অনেক বেশি সক্রিয় থাকতে দেখা গেছে। এই জোটের হাজী সেলিম ও রুস্তম আলী ফরাজী সরকারের সমালোচনা করে সংসদ গরম করেছেন; সরকারের নীতিনির্ধারকদের কিছুটা হলেও ঘাম ঝড়িয়েছেন।
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি ১৫৩ এমপি বিনা ভোটে এবং অন্যান্যরা পাতানো ভোটে এমপি হওয়ার পর জাতীয় সংসদের যাত্রা শুরু হয় ২৯ জানুয়ারি। দু’দিন আগে সংসদের দুই বছর পূর্তি হয়েছে। দশম সংসদের নবম অধিবেশন পর্যন্ত ১৬৮ কার্যদিবসের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে উপস্থিত ছিলেন ১৪৩ দিন। বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ ছিলেন ৯৬ দিন। দলের চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদ মন্ত্রীর পদমর্যাদায় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত এবং ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ মন্ত্রী, মসিউর রহমান রাঙ্গা ও মুজিবুল হক চুন্নু প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করায় সংসদে বিরোধী দল হিসেবে তাদের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ। বিরোধী দল হিসেবে জাপা বিদ্যুৎ-গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে ২০১৫ সালের পহেলা সেপ্টেম্বর ওয়াকআউট করে। এ ছাড়াও তারা বিভিন্ন কারণে একাধিকবার ওয়াকআউট করে। এসব করা হয়েছে পর্দার আড়ালে আগে চিফ হুইপকে অবহিত করেই। সংসদের অষ্টম অধিবেশন পর্যন্ত ৪৮টি আইন পাস হয়েছে। এসব বিল পাস নিয়ে সরকারি দলকে কখনো বিরোধী দলের বাধার মুখে পড়তে হয়নি। ২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর সংসদে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধন বিল পাস হয়। জাতীয় পার্টি তাদের সংসদীয় দলের বৈঠকে সংবিধান সংশোধন বিলের বিরোধিতা করার সিদ্ধান্ত নেয়; অথচ অধিবেশনে এসে সমর্থন জানায়। বিল পাশের সময় সরকারকে বাধার মুখে পড়তে হয়েছে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যদের দিক থেকে। হাজী সেলিম ও রুস্তম আলী ফরাজী প্রতিটি বিলের ওপরই ধারাবাহিকভাবে নোটিশ দিয়েছেন। তাদের সমর্থনে কমবেশি নোটিশ দিয়েছেন অপর দুই স্বতন্ত্র এমপি আবদুল মতিন ও তাহজীব আলম সিদ্দিকী। যার জন্য সংসদে দু’চার মিনিটে বিল পাস হওয়ার ঘটনা ঘটেনি। দুই বছরে ৫০টি সংসদীয় কমিটির ৬৩৫টি ও উপকমিটির ১১০টি বৈঠক হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ৪০টি বৈঠক করেছে সরকারি হিসাব-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি। কোনোটিতেই ভূমিকা পালন করতে পারেনি দলটি। এ অবস্থায় আজ প্রেসিডিয়াম বৈঠক ডাকা হয়েছে। এ বৈঠকে এরশাদ কী সিদ্ধান্ত নেন সেটা দেখার জন্য মুখিয়ে আছে দলের নেতাকর্মীরা। তাদের সবার মুখে একই প্রশ্ন কী সিদ্ধান্ত নেবেন এরশাদ
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।