পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : ঠাঁই নেই দেশের কারাগারগুলোতে। আগে থেকেই কারাগার বন্দিতে ঠাসা। তার ওপর সারাদেশে চলমান পুলিশের বিশেষ অভিযানে অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে বন্দির সংখ্যা। তিনদিনে পুলিশের সাঁড়াশি অভিযানে সারাদেশে গ্রেফতার হয়েছে সাড়ে ৮ হাজারেরও বেশি মানুষ। আদালতের মাধ্যমে তাদের পাঠানো হয়েছে দেশের বিভিন্ন কারাগারে। গতকাল দেশের ৬৮টি কারাগারে বন্দির সংখ্যা ছিলো ৭৩ হাজারেরও বেশি। অথচ এসব কারাগারে বন্দির ধারণক্ষমতা রয়েছে ৩৪ হাজার ৭০৬ জনের। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ২৬শ’ ৫০ জনের বিপরীতে বন্দির সংখ্যা ছিলো ৭ হাজার ৫শ’ জন। তাদের নিত্যপ্রয়োজন মেটাতে বেগ পেতে হচ্ছে সংশ্লিষ্ট কারা কর্তৃপক্ষকে। প্রচ- গরমে গাদাগাদি করে থাকা এছাড়া পানি ও টয়লেট সমস্যায় অনেক বন্দি চর্মরোগসহ বিভিন্ন রোগে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। চিকিৎসাও মিলছে না যথাযথ। এ অভিযোগ বন্দিদের স্বজনদের। মানবাধিকার কর্মীরা এটিকে মানবিক বিপর্যয় বলে উল্লেখ করেছেন। তবে কারা কর্তৃপক্ষ বলছে, কারাগার অভ্যন্তরে কোথাও কোনো সঙ্কট নেই।
এদিকে অতিরিক্ত বন্দির কারণে বিভিন্ন কারাগারে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটারও আশঙ্কা রয়েছে। ইতিমধ্যে গতকাল কাশিমপুর কারাগারে বন্দিদের মধ্যে সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় একজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সূত্র মতে, বন্দির সংখ্যা বাড়ছেই। বাড়ছে না সুযোগ-সুবিধা। এ অবস্থায় দেশের বিভিন্ন কারাগারে দুর্বিষহ কষ্টে রয়েছে বন্দিরা। রাজনৈতিক সহিংসতা এবং পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেফতার হওয়া আসামিদের জামিন কম হওয়ায় বন্দির সংখ্যায় ভারসাম্য থাকছে না। বন্দির অতিরিক্ত চাপে বেশিরভাগ কারাগারে চলছে খাদ্য, চিকিৎসা, পানি, পয়ঃনিষ্কাশন ও শোয়ার জায়গার মহাসঙ্কট। একজনের শোয়ার জায়গায় আছেন ৫ থেকে ৭ জন। অনেকেই বাধ্য হয়েই পালা করে ঘণ্টা হিসাবে কোনোমতে ঘুমানোর চেষ্টা করছেন। আবার অনেক সেলে বন্দিরা রাতে নির্ঘুম রাত্রি যাপন করছেন। এছাড়া, মশার উপদ্রব চরম আকার ধারণ করেছে। অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ অবস্থা চলতে থাকায় মানবিক বিপর্যয় এবং কারাবন্দিদেও ক্ষোভ বাড়ছে। মাঝে মাঝে এক কারাগার থেকে আরেক কারাগারে বন্দিদের অদল-বদল করে ভারসাম্য রক্ষা করা হচ্ছে।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়া এক ব্যক্তি তার জেল জীবনের অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে বলেন, তারা ৪ জন বন্দি একটি সেলে থাকতেন। টাকা দিয়ে গোসলের পানির ব্যবস্থা করতেন। তার পরেও শরীরে যখন পানি ঢালতেন তখন পায়ের কাছে একটি পেয়ালা রাখা হতো। যাতে করে মগ দিয়ে শরীরে পানি ঢালার পর ছিটে পড়া পানির অংশ ওই পেয়ালায় পড়ে। সেই পানি দিয়ে কাপড় পরিষ্কার করা হতো। অল্প সময়ের বন্দি জীবনে তিনি চর্মরোগসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। কারাগারে তার একটু ভালো থাকার জন্য প্রতি সপ্তাহে পরিবারকে গুনতে হয়েছে ৫ হাজার টাকা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কারা কর্মকর্তা জানান, এমনতিইে সারা বছর ধারণ ক্ষমতার চেয়ে বেশি বন্দি থাকে কারাগারে। থানা পুলিশের নিয়মিত গ্রেফতার ও বিশেষ অভিযানের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন এলাকায় চলছে বিশেষ অভিযান। পুলিশ, র্যাব ও গোয়েন্দা পুলিশের অভিযানে বিপুলসংখ্যক আসামি গ্রেফতার হচ্ছে। আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে পাঠানো হচ্ছে কারাগারে। যে কারণে বন্দির সংখ্যা বাড়ছে।
পুলিশ সদর দপ্তরের সূত্র মতে, জঙ্গি দমনে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিশেষ সাঁড়াশি অভিযানে গ্রেপ্তারের সংখ্যা সাড়ে আট হাজার ছাড়িয়েছে। তাদের বিশেষ অভিযানে গত শুক্রবার থেকে গতকাল সকাল পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৮ হাজারের মতো ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে তারা। রোববার সকাল থেকে ২৪ ঘণ্টায় ৩,২৪৫ জনকে আটক করা হয়েছে। এর আগে গত শুক্রবার সকাল থেকে গত শনিবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সাঁড়াশি অভিযানে সারা দেশে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৩ হাজার ১৯২ জনকে। এরপর শনিবার সকাল থেকে গত রোববার সকাল পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে ২ হাজার ১৩২ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ জেলের অনলাইন পরিসংখ্যানের তথ্য মতে, দেশের ১৩টি কেন্দ্রীয় ও ৫৫টি জেলা কারগারসহ মোট ৬৮টি কারাগারে ৩৪ হাজার বন্দির ধারণ ক্ষমতার বিপরীতে বন্দি রয়েছে ৭৩ হাজার ৪১ জন। সবচেয়ে বেশি বন্দির চাপ সামলাতে হচ্ছে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারা কর্তৃপক্ষকে।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার নেসার আলম মুকুল গত রাতে ইনকিলাবকে জানান, এই কারাগারের ধারণক্ষমতা ২ হাজার ৬শ’ ৫০ জন। তার বিপরীতে গত রোববার রাতেও বন্দি ছিলেন সাড়ে ৭ হাজার। অতিরিক্ত চাপে বন্দিদের কোনো সমস্যা হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, কোনো ধরনের সঙ্কট কিংবা সমস্যা নেই। এখানে ১০ হাজারেরও বেশি বন্দি থাকার রেকর্ড রয়েছে। বন্দির সংখ্যা বাড়লেও জেলকোড অনুযায়ী নির্দিষ্ট পরিমাণ খাবার সরবরাহ করা হয়। এতে কোনো ধরনের সমস্যা হয় না। পুুলিশের বিশেষ অভিযান শুরু হলে ঢাকার বাইরে বিভাগীয় শহরের কারাগারগুলোতে ধারণক্ষমতার কয়েকগুণ বেশি বন্দি দিনাতিপাত করছে বলে জানা যায়।
এদিকে গত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে অনেক দর্শনার্থীর সঙ্গে কথা বললে তারা বখশিশের নামে অর্থ আদায়ের অভিযোগ করেছেন অসাধু কারা কর্মচারীদের বিরুদ্ধে। তারা জানান, আগে ১ হাজার টাকার বিনিময়ে দোতালায় বসে বন্দিদের সঙ্গে কথা বলা যেত। এখন দ্বিগুণেরও বেশি টাকা গুনতে হচ্ছে। বন্দির চাপে দর্শনার্র্থীও বেশি। তাই সাধারণ প্রক্রিয়ায় অনেক লোকের চেঁচামেচির কারণে কথা বলা যায়না। রোববার কেরানিগঞ্জ থেকে আসা এক ব্যক্তি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে থাকা তার স্বজনকে দেখতে আসেন। রমজান মাস বলে বেলা সাড়ে ৩টার পর তিনি স্বজনের সাক্ষাত পাননি।
কারাগারে বন্দিদের মানবেতর জীবন ও গণগ্রেফতার প্রসঙ্গে বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার সভাপতি এডভোকেট সিগমা হুদা বলেন, দেশের ক্ষতি না হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখে একটি গণতান্ত্রিক দেশে কথা বলার স্বাধীনতা সবার রয়েছে। এখন আইন অমান্য করে গণগ্রেফতার করা হচ্ছে। তার মতে, এটিকে গ্রেফতার বাণিজ্যই বলা চলে। গণহারে গ্রেফতার দুঃখজনক। মানবাধিকার দৃষ্টিকোণ থেকে তো বটেই ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকেও পবিত্র রমজান মাসে এটা চলতে পাওে না। ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তারের যেহেতু উচ্চ আদালতের কিছু বিধি-নিষেধ রয়েছে তাই চলমান সাঁড়াশি অভিযানের ক্ষেত্রে পুলিশ কিছু কৌশলের আশ্রয় নিয়েছে। ৫৪ ধারা যেভাবে ব্যবহার করতে নির্দেশনা রয়েছে তা মানা হচ্ছে না। আর জনগণের করের টাকায় তৈরি কেরানিগঞ্জে নির্মিত নতুন কারাগারে কেন বন্দিদের স্থানান্তর করা হচ্ছে না তা খতিয়ে দেখা দরকার। যেখানে দেশের প্রধানমন্ত্রী নতুন এ কারাগার উদ্বোধনও করেছেন। সেখানে এটার ব্যবহারে আর বিলম্ব কেন?
যশোরে দুই জঙ্গীসহ ৯২ জন আটক
যশোর ব্যুরো জানায়, অভয়নগরে ২ জঈী, চৌগাছায় ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী, বেনাপোলের পুটখালীতে ৩ সন্ত্রাসী, জামায়াতের ২০ ও ছাত্রশিবিরের ৮ নেতাকর্মীসহ যশোরের বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়ে মোট ৯২জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রোববার গভীর রাত থেকে সোমবার ভোর পর্যন্ত জেলার ৯টি থানায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়েছে। আটক দুই জঙ্গী সদস্য হলো- অভয়নগর উপজেলার সিদ্দিপাশা গ্রামের ইমান আলীর ছেলে এসএম উজ্জ্বল (৩২) ও মাহতাব মুন্সির ছেলে মোহাম্মদ আলী মুন্সি (২৫)।
সিলেটে গ্রেফতার ৪৬
সিলেট অফিস জানায়, সিলেটে সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে দুই মোটরসাইকেল চোর ও এক জঙ্গি সংগঠনের সদস্যসহ মোট ৪৬ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোবার সকাল থেকে সোমবার ভোর পর্যন্ত সিলেট মহানগরী ও জেলার বিভিন্ন উপজেলায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ জানান, রোববার দিবাগত রাত ২টার দিকে নগরীর টিলাগড় এলাকা থেকে রাশেদ আহমদ সাদ্দাম ও রুমন আহমদ নামের দুই মোটরসাইকেল চোরকে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়া একই রাতে সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার থেকে জুম্মান চৌধুরী নামের হিযবুত তাহরিরের সক্রিয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পাবনায় ৭১ জন আটক
পাবনা জেলা সংবাদদাতা জানান, পাবনার ১১ থানায় এক জেএমবি সদস্যসহ ৭১ জনকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতদের মধ্যে জেএমবি সদস্য ছাড়াও অধিকাংশই বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের কর্মি-সমর্থক। সোমবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাদের জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
পাবনার ডিআই-১ আহসানুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, ঈশ্বরদী থানার মিরকামারী গ্রামের মৃত নবীর উদ্দিনের পুত্র বাহার উদ্দিন (৫০) জামায়াতুল মুজাহেদীন বাংলাদেশ ‘জেএমবি’ নামের একটি নিষিদ্ধ জঙ্গী সংগঠনের সদস্য।
নীলফামারীতে আটক ১৮
নীলফামারী জেলা সংবাদদাতা জানান, নীলফামারীতে এক জেএমবি ও দুই জামায়াত কর্মীসহ ১৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গত তিনদিনে এনিয়ে ৬৫ জনকে গ্রেফতার করা হলো।
সাতক্ষীরায় আটক-৫২
সাতক্ষীরা জেলা সংবাদদাতা জানান, সাতক্ষীরায় অভিযানের চতুর্থ দিনে ৫২ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এর মধ্যে জামায়াত-শিবিরের আটজন কর্মী রয়েছেন।
এর মধ্যে, সাতক্ষীরা সদরে ১৫ জন, কলারোয়ায় ৬ জন, তালায় ৫ জন, কালিগঞ্জে ৪ জন, শ্যামনগরে ৫ জন, আশাশুনিতে ৭ জন, দেবহাটায় ৬ জন এবং পাটকেলঘাটায় ৪ জনকে আটক করা হয়।
পঞ্চগড়ে ৯৩ জন গ্রেফতার
পঞ্চগড় জেলা সংবাদাতা জানান, জেলা ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি মোঃ আবু বক্করকে সদর উপজেলার জগদলের খালপাড়া হতে আটক করেছে। এছাড়াও দেবীগঞ্জে নিষিদ্ধ সংগঠন জেএমবির সদস্য সন্দেহে দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ। এরা হলেন- আবু বকর সিদ্দিক (২৯) এবং আয়নাল হক (৩০)। অপরদিকে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে তিন শিবিরকর্মীসহ আরও ২১ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এ নিয়ে চারদিনে পঞ্চগড় জেলায় গ্রেফতারদের সংখ্যা ৯৩ জন বলে জানা গেছে।
নন্দীগ্রামে গ্রেফতার ৫
বগুড়া অফিস জানায়, বগুড়ার নন্দীগ্রামে সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে এক জেএমবি সদস্যসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এর মধ্যে পৌর শহরের স্থানীয় বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে রওশন আলীকে (৪০) গ্রেফতার করা হয়। পুলিশের দাবি রওশন জেএমবির সক্রিয় সদস্য। পৃথক অভিযান চালিয়ে উপজেলার থালতামাঝগ্রাম ইউনিয়ন শিবির নেতা সারোয়ার হোসেন সাগর (২২), শিবিরকর্মী আরিফুল ইসলাম (২০) ও কুখ্যাত ডাকাত কাওছারকে (৩০) গ্রেফতার করা হয়।
এছাড়াও সন্ত্রাসীমূলক কর্মকা-ে জড়িত ও মদদদাতা সন্দেহে পৌর জাতীয় পার্টি (এরশাদ) আহবায়ক প্রভাষক মাসুদ পারভেজ রানাকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ।
বাসাইলে জামায়াতের আমির গ্রেফতার
বাসাইল উপজেলা সংবাদদাতা জানান, টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলা জামায়াতের আমির আফজাল হোসেন (৩৮)কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার (১২ জুন) কাশিল বটতলা এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয় বলে পুলিশ জানায়। পরে সোমবার দুপুরে তাকে টাঙ্গাইল জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
বাসাইল থানার এস আই ফরিদ উদ্দিন বলেন, সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক গ্রেফতারের পর তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
নওগাঁয় ৭১ জন গ্রেফতার
নওগাঁ জেলা সংবাদদাতা জানান, নওগাঁয় পুলিশের তালিকাভূক্ত জেএমবি’র সদস্য হাতেম আলীসহ (৪৫) বিভিন্ন মামলার ৭১ জন আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। হাতেম আলীকে গ্রেফতারের সময় ৩টি ককটেল উদ্ধার করা হয়। এছাড়া শিবির ক্যাডার মো: ছালেকুর (২৩), জামায়াতের ইসলামীর আমির ফিরোজ হোসেন (৪০)কে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়াও জেলায় উগ্রবাদী, সন্ত্রাসী, জঙ্গি, জঙ্গি সংক্রান্ত মামলায় সাজাপ্রাপ্ত পলাতক চার্জশীটভূক্ত সন্ধিগ্ধ আসামি বিভিন্ন মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানাভূক্ত সর্বমোট ৭১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মাগুরায় চার দিনে গ্রেফতার ৭৭
মাগুরা জেলা সংবাদদাতা জানান, জেলার ৪ থানায় জামায়াতের ২ কর্মীসহ ১৮ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে গত চার দিনে মোট গ্রেফতারের সংখ্যা দাঁড়ালো ৭৭ জনে। আটককৃতদের মধ্যে রয়েছে জামায়াতের মাগুরা জেলা আমির আলমগীর হোসেনসহ জামায়াত- বিএনপির বেশ কয়েকজন কর্মী। বিভিন্ন মামলায় সংশ্লিষ্ট এ ৭৭ জন জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে বলে পুলিশের বক্তব্য। এর মধ্যে গত বৃহস্পতিবার রাতে জেলা জামায়াতের আমির আলমগীর হোসেনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ রাতে অন্যান্য মামলায় আরো ২৩ জনকে বিশেষ অভিযানের আওতায় গ্রেফতার করা হয়। গত শুক্রবার রাতে একই অভিযানের আওতায় বিএনপি জামায়াত কর্মীসহ ২১ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গত শনিবার রাতে অভিযানে বিএনপি জামায়াতের ৬ নেতাকর্মীসহ ১৪ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ জানায়, রোববার সকাল হতে গতকাল সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার অভিযানের আওতায় ২ জামায়াত কর্মীসহ ১৮ জনকে গ্রেফতার করেছে তারা।
রাজশাহীতে আটক ১০৩
রাজশাহী ব্যুরো জানায়, গত রোববার সন্ধ্যা থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত এক জেএমবি সদস্যসহ ১০৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মহানগরীর চার থানা এবং জেলার ৯টি থানার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেও গ্রেফতার করা হয়। রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র ইফতে খায়ের আলম জানান, অভিযানে মহানগরীতে ৪৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের মধ্যে ২৩ জন বিভিন্ন মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি রয়েছে। অন্যদিকে রাজশাহী জেলার থানার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এক জেএমবি সদস্যসহ ৫৪ জনকে আটকের কথা জানিয়েছে পুলিশ সুপার নিসারুল আরিফ।
হাটহাজারীতে ২০ জন গ্রেফতার
হাটহাজারী উপজেলা সংবাদদাতা জানান, গত চার দিনে হাটহাজারী উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে বিভিন্ন মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত, পলাতক, মাদক মামলার আসামিসহ মোট ২০ জন গ্রেফতার করা হয়েছে।
চৌগাছায় ৩ জন আটক
চৌগাছা উপজেলা সংবাদদাতা জানান, যশোরের চৌগাছায় স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতরা হলেন, উপজেলার রামকৃষ্ণপুর গ্রামের সামছুল ইসলামের পুত্র স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল আলীম (৪৫), সৈয়দপুর গ্রামের শরিফুল ইসলাম (৪৬) ও পুড়াহুদা গ্রামের আব্দুল লতিফ (৪০)।
মঠবাড়িয়ায় জেএমবি’র সক্রিয় সদস্য গ্রেফতার
মঠবাড়িয়া সংবাদদাতা জানান, পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া থানা পুলিশ নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জেএমবির সক্রিয় সদস্য আকরামুজ্জামানকে গত সোমবার রাতে মঠবাড়িয়া পৌর শহরের সবুজ নগর এলাকার সোনামুদ্দিন বাড়ির জামে মসজিদ থেকে গ্রেফতার করেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।