পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধু হত্যাকা-ের ক্ষেত্র তৈরির জন্য জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলকে (জাসদ) দায়ী করে এই দল থেকে মন্ত্রী করার জন্য আওয়ামী লীগকে আজীবন প্রায়শ্চিত্ত করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বিকৃত ও বিনষ্ট করতে চেয়েছিল জাসদ। এমনকি বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরিবেশও তৈরি করেছিল দলটি। যারা বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রের নামে অতিবিপ্লবী, তাদের হটকারী আখ্যা দিয়ে শতভাগ ভ- বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
গতকাল সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) অডিটোরিয়ামে ছাত্রলীগের দুই দিনব্যাপী বর্ধিতসভা ও কর্মশালার সমাপনী বক্তব্যে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সৈয়দ আশরাফ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ‘হঠকারী দল’ জাসদ থেকে সতর্ক থাকার পরামর্শও দেন।
জাসদকে ‘হঠকারী’ সংগঠন হিসেবে আখ্যায়িত করে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার ক্ষেত্র তৈরি এবং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অনগ্রসরতার জন্য দায়ী করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনুকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, এদের একজনকে আবার মন্ত্রিত্বও দেয়া হয়েছে। যার প্রায়শ্চিত্ত আওয়ামী লীগকে আজীবন করতে হবে।
স্বাধীনতা-পরবর্তী জাসদের নানা বিতর্কিত কর্মকা- তুলে ধরে ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রের কথা বলে ছাত্রলীগ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে তারা জাসদ গঠন করে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে জাসদ নামক বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রবাদীরা সম্পূর্ণ ভিন্ন দিকে পরিচালিত করে। মুক্তিযুদ্ধ আমাদের ইতিহাসের একটি অংশ। তারা এই সফল মুক্তিযুদ্ধকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছিল। বঙ্গবন্ধু দেশে ফেরার আগেই দেশকে ছিন্নভিন্ন করার চেষ্টা করেছিল।
তিনি বলেন, এ প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে তারা যদি বঙ্গবন্ধুকে হত্যার সমস্ত পরিবেশ সৃষ্টি না করতো, তবে বাংলাদেশ একটি ভিন্ন বাংলাদেশ হতে পারতো।
সৈয়দ আশরাফ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আস্তে আস্তে দলকে সংগঠিত করেছেন। নির্বাচনে জয়লাভ করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন। বঙ্গবন্ধু জীবিত থাকলে দেশ আগেই অর্থনৈতিক অগ্রসরতা অর্জন করতো। শুধু হটকারীদের কারণে তা সম্ভব হয়নি।
ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, পূর্বের ইতিহাস জেনে এই হঠকারীদের এড়িয়ে চলবেন। বিপ্লব বিপ্লব করলে বিপ্লব হয় না। কাজ করতে হবে। আপনাদের শিক্ষিত হতে হবে। আপনার মেধা জাতির জন্য কাজে লাগাতে হবে। তখন সোনার বাংলা এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ বাস্তবায়ন হবে।
একই অনুষ্ঠানে আওয়ামী যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন, ছাত্রলীগের এই কর্মশালায় আসতে পেরে আমি গর্বিত এবং আনন্দিত। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রাণপ্রিয় সংগঠন ছাত্রলীগ। ছাত্রলীগের মাধ্যমে তিনি বিকশিত হয়েছেন, মানব কল্যাণে ব্রত হয়েছেন, হয়েছেন বাঙালীর পথদ্রষ্টা, স্বাধীন বাংলাদেশের রূপকার। জাতির পিতা সব সময় বলতেন ‘বাঙালীর মুক্তির ইতিহাস আর ছাত্রলীগের ইতিহাস সমার্থক, সমান্তরাল।’
তিনি বলেন, একইভাবে রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার রাজনৈতিক জীবনের হাতেখড়ি ছাত্রলীগের মাধ্যমেই। ছাত্রলীগের মাধ্যমেই তিনি জাতির পিতার আদর্শকে হৃদয়ে ধারণ করেছেন। এই আদর্শের বীজকে মহীরূহ বৃক্ষে রূপ দিয়েছেন, যে বৃক্ষের নাম ‘জনগণের ক্ষমতায়ন’। রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার রাষ্ট্রদর্শন। যে রাষ্ট্র দর্শন আজ জাতিসংঘ সর্বসম্মতভাবে বিশ্বশান্তির মডেল হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
ওমর ফারুক আরও বলেন বাংলাদেশের দুই মহানায়ক এর প্রথম ঠিকানা ছাত্রলীগ। একজন বাংলাদেশের জন্মদাতা। বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছেন, তাকে বাস্তবে রূপায়িত করেছেন মহান মুক্তি সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে। তিনি আমাদের জাতির পিতা। অন্যজন, জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বির্নিমাণের সফল কারিগর। জনগণের ক্ষমতায়ন রাষ্ট্র দর্শনের মাধ্যমে যিনি আজ বাংলাদেশকে নিয়ে গেছেন এক অনন্য উচ্চতায়। বাংলাদেশ আজ বিশ্বের বিস্ময়। তিনি শেখ হাসিনা।
ছাত্রলীগ সভাপতি মো. সাইফুর রহমান সোহাগের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসেনের সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না, সাবেক সভাপতি লিয়াকত শিকদার, যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মো. হারুনুর রশীদ প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।