পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশেষ সংবাদদাতা : তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য আমাদের অন্য কোনো দেশ বা সরকারের সহায়তার প্রয়োজন নেই।
বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হস্তক্ষেপ কামনা করে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ইউনিট কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক ও মানবাধিকার কর্মী রানা দাসগুপ্ত এবং পীযূষ বন্দোপাধ্যায় ভারতীয় মিডিয়ায় যে বক্তব্য দিয়েছেন তারই জবাবে উপরোক্ত কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।
গতকাল (সোমবার) দুপুরে তথ্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি দেশের চলমান পরিস্থিতি তুলে ধরাসহ সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে চলমান চক্রান্তের অংশ হিসেবে সাধারণ নাগরিক ছাড়াও সংখ্যালঘুদের গায়ে হাত দেয়া হচ্ছে। সরকারকে বিব্রত করার জন্য এটা করা হচ্ছে। এতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট হয়নি এবং হবেও না।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, এ দেশে ২০ হাজারে বেশি মন্দির আছে। সেখানে সুন্দরভাবে ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পালন হচ্ছে। সরকারের অবস্থানও নীতিগতভাবে অসাম্প্রদায়িক। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, গত বছরে ব্লগার-প্রকাশক, শিক্ষক-ধর্মগুরু, সমাজকর্মী-চাকরিজীবীদের ওপর জঙ্গি আক্রমণ ও গুপ্তহত্যার ঘটনায় ৫০ জনের অধিক ব্যক্তি আটক হয়েছে, দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে একটি মামলায় অপরাধীদের মৃত্যুদ-সহ সাজা হয়েছে। এখানেই শেষ নয়, জঙ্গিবিরোধী বিশেষ অভিযানে পুলিশের হাতে গত দু’দিনে গ্রেফতার হয়েছে ৫ হাজার ৩২৪ জন, যাদের মধ্যে ৮৫ জনকে জঙ্গি বলে চিহ্নিত করছে পুলিশ।
হাসানুল হক ইনু বলেন, বেগম খালেদা জিয়া, বিএনপি ও জামায়াতের ছাতার নিচেই জঙ্গিবাদের উৎপাদন ও পুনঃউৎপাদনের ঘৃণ্য কারখানা। দেশ ও জনগণের মঙ্গল নয়, ক্ষমতায় যাওয়াই মূল লক্ষ্য নির্ধারণ করে জঙ্গি-সন্ত্রাসকে লেলিয়ে দিয়ে জনমনে আতঙ্ক ছড়ানোর অপচেষ্টাই খালেদা জিয়ার ষড়যন্ত্র।
মন্ত্রী বলেন, গুপ্তহত্যার সাথে বিএনপি-জামায়াতের অনেকের জড়িত থাকার প্রমাণ সরকারের হাতে রয়েছে। তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতেই কাজ করে সরকার; অহেতুক কাউকে দোষারোপ করে না, ব্লেম গেম খেলে না। বরং খালেদা জিয়াই নিজেদের অপকর্ম আড়াল করতে দোষারোপের রাজনীতি করছেন, ব্লেম গেম খেলছেন।
এ ব্যাপারে মন্ত্রী সরকারের অবস্থান ব্যাখ্যা করে বলেন, কোনো গুপ্তহত্যাকারী রেহাই পাবে না। প্রত্যেক হত্যাকারীর জন্য একটি করে ফাঁসির দড়ি প্রস্তুত রয়েছে। গুপ্তহত্যাকারী ধরতে ও জনগণের নিরাপত্তা বিধানে সরকার ২৪ ঘণ্টা জেগে রয়েছে অতন্দ্র প্রহরীর মতো। আর জেগে আছে বলেই আগুনযুদ্ধ, হেফাজতে ইসলামের অবরোধ, ৫ জানুয়ারির নির্বাচন পূর্বাপর সহিংসতা সাফল্যের সাথে দমন করেছে সরকার।
হাসানুল হক ইনু আরো বলেন, এখনকার গুপ্তহত্যা ধীরস্থিরভাবে বন্ধের চেষ্টা চলছে। সরকারের গায়ে হাত দিতে না পেরে তারা সাধারণ নাগরিকদের গায়ে হাত দিচ্ছে। এ জন্য সরকার দুঃখিত। কিন্তু কেউ পার পাবে না।
তথ্যমন্ত্রী নিজের নাম উল্লেখ করে বলেন, তাকেও যদি হত্যা করা হয়, তাহলেও কেউ পার পাবেন না। তাকে কাফনের কাপড় পাঠানো সম্পর্কে তিনি বলেন, জীবনে বহুবার মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েছি। মৃত্যুকে ভয় পাই না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।