পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাবেক ভিসি, জিয়া পরিষদের প্রধান উপদেষ্টা ও সাবেক রাষ্ট্রদূত প্রফেসর মনিরুজ্জামান মিঞা ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। গতকাল দুপুর পৌনে ১২টায় রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর।
মনিরুজ্জামান মিঞার মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। এক শোকবাণীতে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ ড. মনিরুজ্জামান মিঞার মৃত্যুতে আমি গভীরভাবে শোকাহত। দেশের এই ক্রান্তিকালে তার মতো একজন দৃঢ়চেতা গুণী মানুষের ইহজগৎ থেকে চলে যাওয়াতে এক চরম শূন্যতার সৃষ্টি হলো। অগ্রগণ্য এই শিক্ষাবিদ দেশ ও দশের প্রতি ছিলেন সহমর্মী। জ্ঞানদীপ্ত এই মানুষটি ছিলেন আদর্শ শিক্ষকের প্রতিচ্ছবি।
খালেদা জিয়া আরো বলেন, এই মানুষটি ছিলেন নীতি ও আদর্শে ঈর্ষণীয় উচ্চতায়। উদ্যম ও উদ্যোগ ছিল তার সাফল্যের চাবিকাঠি। ‘আমি তার রূহের মাগফিরাত কামনা করছি এবং শোকাহত পরিবার, গুণগ্রাহী, আত্মীয়স্বজন ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি জানাচ্ছি গভীর সমবেদনা’।
এদিকে প্রফেসর মনিরুজ্জামানের মৃত্যুতে আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছুটি ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। গতকাল এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ভিসি আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক শোক জানান। এছাড়া জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের পক্ষ থেকে শোক জানিয়ে সভাপতি রাজিব আহসান ও সাধারণ সম্পাদক মো: আকরামুল হাসান যৌথ বিবৃতি দেন। অন্যদিকে এ খবর লেখা পর্যন্ত বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন শোক জানান বলে জানা যায়। এক শোকবাণীতে মন্ত্রী মরহুমের রূহের মাগফিরাত কামনা করেন।
মনিরুজ্জামানের লাশ হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়েছে। আজ (মঙ্গলবার) তার লাশ বনানীর বাসভবনে নেয়া হবে। পরে বেলা ১১টার সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নেয়া হবে। এরপর ঢাবির কেন্দ্রীয় মসজিদে প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। বাদ আসর গুলশান আজাদ মসজিদে মরহুমের দ্বিতীয় নামাজে জানাজা শেষে বনানী কবরস্থানে মনিরুজ্জামান মিঞাকে দাফন করা হবে।
মনিরুজ্জামান মিঞা বিএনপিপন্থী অন্যতম বুদ্ধিজীবী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। ১৯৩৫ সালে জন্ম নেয়া মনিরুজ্জামান মিঞা লেখাপড়া করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখানে মাস্টার্স করার পর জগন্নাথ কলেজে তার শিক্ষকতা শুরু। ১৯৬১ সালে ফ্রান্সে গিয়ে উচ্চতর ডিগ্রি নেন মনিরুজ্জামান। ৫ বছর পর দেশে ফিরে যোগ দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগে। এইচ এম এরশাদ সরকারের শেষ বছর ১৯৯০ সালের মার্চে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির দায়িত্ব দেয়া হয় প্রফেসর মনিরুজ্জামানকে। ১৯৯২ সালের অক্টোবর পর্যন্ত তিনি ওই দায়িত্বে ছিলেন। পরে তখনকার প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া তাকে রাষ্ট্রদূত করে সেনেগালে পাঠান।
এরপর ২০০১ সালে বিএনপি আবারো ক্ষমতায় এলে মনিরুজ্জামান মিঞাকে জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়ন কমিটির চেয়ারম্যান করা হয়। পরে ইবাইস বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ব্যক্তিজীবনে চিরকুমার ছিলেন।
এদিকে মরহুমের জন্য বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এক শোকবার্তায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করে মরহুমের রূহের মাগফিরাত কামনা ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন। এছাড়া শোক জানিয়েছে খেলাফত মজলিস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।