পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আজিবুল হক পার্থ : বারবার তাগাদা, প্রকল্প এলাকায় পিডিদের অবস্থান নিশ্চিত, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা এবং পরিকল্পনামন্ত্রীর নানা পরিকল্পনা ও উদ্যোগেও গতি আসেনি বার্ষিক উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে। বছর অগ্রগতির লক্ষ্য শতভাগ পূরণ হচ্ছে। বিগত এগারো মাসে বাস্তবায়ন হয়েছে ৬১ দশমিক ৮৫ ভাগ। চলতি মাসে বাকি রইল ৩৮ দশমিক ১৫ ভাগ। বছরের শুরুতে বড় লক্ষ্য নিলেও মাসে কাটছাঁট করা হয়েছে। তবুও বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না। এ জন্য অবশ্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের টাকা ছাড়ে বিলম্ব ও রাজনৈতিক বিবেচনায় প্রকল্প গ্রহণকে দায়ী করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ এবং মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি) থেকে পাওয়া তথ্যে দেখা গেছে, একই সময়ে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ৬৭ শতাংশ, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ৬৬ শতাংশ, ২০১২-১৩ অর্থবছরে ৬৭ শতাংশ এবং ২০১১-১২ অর্থবছরে এডিপি বাস্তবায়নের হার ছিল ৭০ শতাংশ। অথচ চলতি অর্থবছরে এডিপি বাস্তবায়িত হয়েছে মাত্র ৬১ দশমিক ৮৫ শতাংশ।
সংশোধনীর পর চলতি অর্থবছরে মোট এডিপি বরাদ্দ ছিল ৯৩ হাজার ৮৯৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ৬১ হাজার ৮৪০ কোটি টাকা এবং প্রকল্প সাহায্য ২৯ হাজার ১৬০ কোটি টাকা। ১১ মাসে মোট বরাদ্দ থেকে এডিপি বাস্তবায়িত হয়েছে ৫৮ হাজার ৭৬ কোটি টাকা বা ৬১ দশমিক ৮৫ শতাংশ। এর মধ্যে জিওবি ৩৭ হাজার ৫৮৩ কোটি টাকা এবং প্রকল্প সাহায্য ১৭ হাজার ৭৩৪ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে ১ হাজার ১৫৫টি প্রকল্পের বিপরীতে এডিপি বাস্তবায়ন হয়েছে।
এডিপি বাস্তবায়নের গতি ভালো পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ৯৬ শতাংশ। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ৪১ পকাটি টাকার মধ্যে ৩৯ কোটি টাকা খরচ করেছে। ১১ মাসে একটি টাকাও খরচ করতে পারেনি দুর্নীতি দমন কমিশন বিভাগ। এ বিভাগে মোট বরাদ্দ ছিল ১০ লাখ টাকা।
আইএমইডির তথ্যে দেখা গেছে, এডিপিতে মোট বরাদ্দের মধ্যে ১১ মাসে স্থানীয় সরকার বিভাগ ৭৩ শতাংশ, বিদ্যুৎ বিভাগ ৭৩ শতাংশ, সেতু বিভাগ ৪৬ শতাংশ, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ ৭৫ শতাংশ, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ৬৪ শতাংশ, রেলপথ মন্ত্রণালয় ৬৭ শতাংশ, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ৪১ শতাংশ এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয় ৬০ শতাংশ এডিপি বাস্তবায়ন করেছে। সেতু বিভাগে মোট বরাদ্দ রয়েছে ৬ হাজার ৪০৯ কোটি ৭ লাখ টাকা। কিন্তু চলতি বছরের ১১ মাসে খরচ হয়েছে মাত্র ২ হাজার ৯৭৫ কোটি টাকা বা ২৮ শতাংশ। স্থানীয় সরকার বিভাগে মোট বরাদ্দ ১৬ হাজার ৭৮৪ কোটি টাকা, খরচ হয়েছে ১২ হাজার ২৪৫ কোটি টাকা। এডিপি বাস্তবায়নে ভালো অগ্রগতি হয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগের। এ বিভাগের মোট বরাদ্দ ১৫ হাজার ৫৫১ কোটি টাকার মধ্যে খরচ হয়েছে ১১ হাজার ৩২৭ কোটি টাকা।
২০১৫-১৬ অর্থবছরে আরএডিপিতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে পরিবহনে ১৯ হাজার ৬৭৪ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। এরপর বিদ্যুৎ বিভাগে ১৫ হাজার ২৯৫ কোটি টাকা, ভৌত পরিকল্পনা, পানি সরবরাহ ও গৃহায়নে ৯ হাজার ৫১১ কোটি টাকা, শিক্ষায় ৯ হাজার ৯০১ কোটি টাকা ও পল্লী উন্নয়নে ৮ হাজার ১২০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
রেল মন্ত্রণালয়ে মোট বরাদ্দ ৪ হাজার ৬২৯ কোটি টাকার মধ্যে খরচ হয়েছে ৩ হাজার ৯৮ কোটি টাকা। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে ৮৭টি উন্নয়ন প্রকল্পে বরাদ্দ ৪ হাজার ২৮০ কোটি টাকা, খরচ হয়েছে ২ হাজার ৫৫৮ কোটি টাকা। লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগে ১১ মাসে এডিপি বাস্তবায়নের হার মাত্র ৯ শতাংশ। এ বিভাগে মোট বরাদ্দ ছিল ৩ কোটি ২৪ লাখ টাকা, খরচ হয়েছে ২৮ লাখ টাকা।
এ প্রসঙ্গে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ১১ মাসে এডিপি বাস্তবায়নের হার ৬১ দশমিক ৮৫ শতাংশ। আমাদের সরকার ক্ষমতা গ্রহণের আগে কোনোদিনই এডিপি বাস্তবায়নের হার ৮০ শতাংশের ওপরে ছিল না। ২০০৮-০৯ অর্থবছরে আমাদের সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর এডিপি বাস্তবায়নের হার বেড়েছে। এডিপি যা বাস্তবায়ন হওয়ার হয়ে গেছে। এখন শুধুমাত্র বিল পরিশোধ বাকি। আমরা আশা করছি, বছর শেষে এডিপি বাস্তবায়নের হার ৯০ শতাংশ ছাড়িয়ে যাবে। আমাদের সময় একদিকে যেমন এডিপির আকার বেড়েছে তেমনিভাবে বাস্তবায়নের হারও ভালো’।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।