চট্টগ্রাম ব্যুরো : পশ্চিমা লঘুচাপ, লঘুচাপের একটি বর্ধিতাংশ (ট্রাফ) ও ক্রমশ এগিয়ে আসা দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুমালার ত্রিমুখী সক্রিয় প্রভাবে গ্রীষ্মের জ্যৈষ্ঠ মাস শেষ না হতেই সারাদেশে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। তবে কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারি বর্ষণ হচ্ছে। গতকালও (সোমবার) দেশের অধিকাংশ এলাকায় বৃষ্টিপাত হয়েছে। আজও (মঙ্গলবার) প্রায় সারাদেশে বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। এ অবস্থায় মাহে রমজানের রোজার শুরুর দিক থেকেই ভ্যাপসা গরম ও তাপদাহের পরিবর্তে সমগ্র দেশে শীতল, সহনীয় আবহাওয়া বিরাজ করছে। এদিকে গভীর সঞ্চালনশীল মেঘের কারণে সাগর উত্তাল থাকায় উপকূল ও সমুদ্র বন্দরসমূহকে ৩নং সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
গতকাল সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে কক্সবাজারে ৭৯ মিলিমিটার। এ সময় ঢাকায় ১২, চট্টগ্রামে ১৯, রাজশাহীতে ৬৯, খুলনায় ৪৬, বরিশালে ৩৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
আবহাওয়া বিভাগ জানায়, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু কক্সবাজার উপকূল পর্যন্ত অগ্রসর হয়েছে। এটি পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে চট্টগ্রাম উপকূল পর্যন্ত অগ্রসর হতে পারে।
আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়া পূর্বাভাসে জানা গেছে, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও ঢাকা বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ী দমকা থেকে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হতে পারে। সেই সাথে দেশের কোথাও কোথাও ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণ হতে পারে। সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের পূর্বাংশে আরও অগ্রসর হতে পারে। বর্ধিত ৫ দিনে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা তৈরি হওয়া অব্যাহত থাকার কারণে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরসমূহের উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৩নং স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।