Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ২২ কার্তিক ১৪৩১, ০৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

হালাল খাবার সঙ্কটে জাপানি মুসলমানরা

প্রকাশের সময় : ১৪ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : সূর্যোদয়ের দেশ জাপান। এ ছাড়াও জাপানে রয়েছে হাজারো দেখার, শেখার, উপলব্ধি ও উপভোগ করার মতো বিষয়। বিশ্ব শান্তিতে নাম্বার ওয়ান দেশটিতে শান্তির ধর্ম ইসলামের অবস্থা কী? জবাব খুবই সহজ, জাপানে মুসলমানের সংখ্যা মাত্র দুই শতাংশ। তবে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা প্রবাসীদের কল্যাণে মুসলমানদের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। একইভাবে বাড়ছে মসজিদের সংখ্যাও।
সমুদ্রবেষ্টিত প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি জাপানে এক সময় ইসলাম ও মুসলমানের অস্তিত্ব তেমন খুঁজে না পেলেও বর্তমানে বাড়ছে মুসলমানের সংখ্যা। জাপান সরকারের হিসাব মতে দেশটিতে ৬ লাখ মুসলমান রয়েছে। জাপানের সংখ্যগরিষ্ঠ মানুষের ধর্ম শিন্টো ও বৌদ্ধ। এ দু’টি ধর্মের কিছু চর্চা থাকলেও অন্যান্য ধর্মালম্বীর সংখ্যা নিতান্তই কম। এদেশে ইসলাম ধর্মের অনুসারী প্রায় সকলেই পৃথিবীর অন্যান্য দেশ থেকে আসা। তবে ভিন্নধর্মের অনুসারী হওয়ার ফলে ইসলাম চর্চার প্রচার এবং প্রসারে তেমন কোনো প্রশাসনিক বিধিনিষেধ নেই। জাপানের প্রধান প্রধান শহর যেমন- টোকিও, ওসাকা, সাপ্পোরো, কিয়োটো, নাগোয়াতে বেশকিছু মসজিদ রয়েছে।
১৯৫৬ থেকে ১৯৬০ সালের মধ্যে ভারত-পাকিস্তান থেকে একাধিক দাওয়াতী দল ও মুসলিম স্কলার জাপানে আসেন। আধ্যাত্মিক চিন্তা সঞ্চারকারী এই আন্দোলনে বহু জাপানী শান্তির লক্ষ্যে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত হন।
জাপানের অবস্থান অনেকটা উত্তর মেরুর দিকে হওয়াতে সূর্যোদয় বেশ আগে হয়ে থাকে এবং দিনের দৈর্ঘ্য বেশি। ফলে রমজানের রোজা এখানে বেশ দীর্ঘ হয়ে থাকে। বরাবরের মতো প্রায় আঠারো ঘণ্টা রোজা রাখতে হয়। দেশটিতে হালাল খাবারের সরবরাহ নিতান্তই অপ্রতুল। পর্যাপ্ত কোনো হালাল খাবারের দোকান না থাকাতে রাজধানী টোকিও থেকে হালাল খাবার কিনে আনতে হয়, যা বেশ ব্যয়সাধ্য। তবুও শত প্রতিকূলতা থাকা সত্ত্বেও জাপানের মুসলমানরা পবিত্র রমজানের মর্যাদা সমুন্নত রেখে বিধিনিষেধ মেনে চলার চেষ্টা করছেন।
আমাদের দেশে যে ভাবগাম্ভীর্য পরিবেশ বজায় রেখে পুরো মাস দান-খয়রাত, জিকির-আজকার, নফল ইবাদত বা তারাবির মাধ্যমে রমজান মাস পালিত হয়, তা জাপানে সম্ভব হয়ে ওঠে না। অত্যন্ত কর্মব্যস্ততার কারণে এবং স্থান সঙ্কুলানের অভাবে সাপ্তাহিক ছুটির দিন ছাড়া জামাতে নামাজ আদায়ও প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায় অনেকের পক্ষে।
তবে জাপানিরা অত্যন্ত অমায়িক ব্যবহারের অধিকারী, ফলে রমজানের সময় কর্মক্ষেত্র থেকে সহজেই ইফতারের জন্য সময় বের করা সম্ভব হয়। সব মিলিয়ে অনুকূল-প্রতিকূল তথা মিশ্র পরিবেশে জাপানে পালিত হয় সিয়াম সাধনার মাস পবিত্র মাহে মরজান। সূত্র : ওয়েবসাইট



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: হালাল খাবার সঙ্কটে জাপানি মুসলমানরা
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ