পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (৩৭ দশমিক ৭ বিলিয়ন দিরহাম) বা এক হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিনিয়োগকারীরা। এ বিষয়ে কাল রোববার দুবাইয়ের কনরাড হোটেলে বাংলাদেশ ইকোনমিক ফোরমের দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক সম্মেলনের অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশ ইকোনমিক ফোরাম সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে। জানা গেছে, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ধারকে আরো শক্তিশালী করার লক্ষ্যে তিন’শ এর বেশি সরকারী কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী নেতা, বিনিয়োগকারী এবং উদ্যোক্তারা দিনব্যাপী এ সম্মেলনে অংশ নিবেন।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের অর্থনীতিতে অধিকাংশ বিনিয়োগকারী বাংলাদেশী। সেখানে পঞ্চাশ হাজারেরও বেশি বাংলাদেশী ব্যবসায়ী সফলভাবে ব্যবসা পরিচালনা করছে। এছাড়াও সংযুক্ত আরব আমিরাতে প্রায় দেড় লাখের বেশি বাংলাদেশী কর্মরত রয়েছে। বাংলাদেশ ইকোনমিক ফোরামের দ্বিতীয় আয়োজনে মূল বক্তব্য রাখবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারী শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান। তিনি বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা), বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) এবং বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ’র (বিএইচটিপিএ) কর্মকর্তাদের নিয়ে গঠিত ২০ সদস্যের সরকারি প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিবেন।
বাংলাদেশ সরকারের তিনটি বিনিয়োগ এজেন্সি (আইপিএ) হলো-বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা), বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) এবং বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ’র (বিএইচটিপিএ)। প্রথমবারের মতো সংযুক্ত আরব আমিরাতে প্রবাসী বাংলাদেশী পেশাদার ও উদ্যোক্তা ভিত্তিক বেসরকারী খাতের উদ্যোগে বাংলাদেশ ইকোনমিক ফোরাম আয়োজিত উপসাগরীয় আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করবে।
প্রায় ২০টি নতুন বিনিয়োগ প্রকল্প বাংলাদেশ ইকোনমিক ফোরামে সামনে উপস্থাপন করা হবে। যেখানে বিনিয়োগকারীরা সালমান এফ রহমান ও সফররত বাংলাদেশের সরকারি প্রতিনিধি দলের সাথে তাদের প্রকল্প নিয়ে আলোচনা করবেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ অর্থবছরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ৯ শতাংশ। বাংলাদেশ প্রবৃদ্ধি অর্জনের পথে রয়েছে যা পরবর্তী কয়েক বছরে অর্থনীতিকে প্রবৃদ্ধি ৮ শতাংশের বেশি বৃদ্ধি পাবে। যা বাংলাদেশকে বিশ্বের দ্রæত বর্ধমান অর্থনীতিতে পরিণত করবে। ৮ শতাংশের বেশি জিডিপি প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে বাংলাদেশের প্রচুর দেশী ও বিদেশী বিনিয়োগ প্রয়োজন যা টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে।
সংযুক্ত আরব আমিরাত ও জিসিসি ভুক্ত দেশগুলো বাংলাদেশে বিনিয়োগের প্রধান উৎস হতে পারে। দেশের ভবিষ্যত অর্থনীতি গঠনে সহায়তা করতে এ বিনিয়োগের অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারী শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান বলেন, সরাসরি বিদেশী বিনিয়োগ (এফডিআই) গ্রহণে বাংলাদেশ সব সময়ের থেকে এখন আরও বেশি স্বাগত জানায়। গত বছরের যা ৬৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে তিন দশমিক ৬১ মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে।
তিনি বলেন, আমরা সব সময় চীন, জাপান ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে বড় ধরণের বিনিয়োগ দেখে আসছি। এখন আমরা বিশ্বাস করি জিসিসি ভুক্ত দেশগুলো বিশেষ করে সউদী আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ মাধ্যমে স্বল্প ব্যয়, অপারেশনস এবং উচ্চতর রিটার্নের সুবিধা নেয়া উচিত। যেহেতু বাংলাদেশে প্রায় ২০ মিলিয়ন মানুষ মধ্যআয়ে অন্তর্ভূক্ত হচ্ছে ফলে অভ্যন্তরীন খরচ ও ব্যয় বৃদ্ধি পাচ্ছে। যার কারণে বিনিয়োগের নতুন নতুন ক্ষেত্র তৈরী হচ্ছে। আমরা বাংলাদেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল ও ২৮টি হাই-টেক পার্ক উন্নয়ন করেছি। যাতে করে বিদেশী বিনিয়োগকারীরা সর্বনিম্ন শ্রম ব্যয় ও খুব কম অপারেশনাল ব্যয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারে। সংযুক্ত আরব আমিরাত ও উপসাগরীয় দেশ থেকে আসা বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান সুযোগসমূহ গ্রহণ করা উচিত।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।