পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : প্রস্তাবিত বাজেটে আরোপিত কর যথেষ্ট নয় বলে মনে করেন তথ্য মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। তিনি বলেছেন, তামাকমুক্ত দেশ গড়ার লক্ষ্যে তামাকজাত পণ্যের আরোপিত কর আরো বাড়ানো প্রয়োজন। এক্ষেত্রে বৈষম্যমূলক রাজস্ব নীতি পরিহার করে সমতা নিশ্চিত করা জরুরী। চ‚ড়ান্ত বাজেটে এ বিষয়গুলো গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। গতকাল রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে গবেষণা ও উন্নয়ন কালেকটিভ (আরডিসি) আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। ‘জাতীয় বাজেট ২০১৬-১৭, বিড়ি শ্রমিক ও বিড়ি শিল্প’ শীর্ষক সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উত্থাপন করেন আরডিসির চেয়ারপার্সন প্রফেসর ড. মেসবাহ কামাল। ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক ডা. ওয়াজেদুল ইসলামের সভাপতিত্বে সেমিনারে আলোচনায় অংশ নেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. মুহাম্মদ আব্দুস সবুর, বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এম কে বাঙ্গালী, কারিগর বিড়ি শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি প্রণব দেবনাথ, আকিজ বিড়ি ফ্যাক্টরীর এজিএম কাজী মো. আনোয়ারুল ইসলাম, বিড়ি শ্রমিক হেনা বেগম প্রমূখ। সেমিনার পরিচালনা করেন আরডিসির সাধারণ সম্পাদক জান্নাত-এ ফেরদৌসি।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার যে ঘোষণা দিয়েছেন প্রস্তাবিত বাজেটে তার প্রতিফলন ঘটেনি। কারণ ধুমপানকে নিরুৎসাহিত করতে আরো বেশী করারোপ প্রয়োজন। এজন্য সম্পুরক রাজস্বনীতি গ্রহণ করতে হবে। আর ধূমপানের বিরুদ্ধে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য বহুমূখী কর্মপন্থা গ্রহণ করা জরুরী। একইসঙ্গে আমাদের লাখ লাখ বিড়ি শ্রমিক যাতে বেকার না হয়, সেজন্য বিকল্প কর্মসংস্থানের পরিকল্পনা গ্রহণ করা প্রয়োজন। বিড়ি শ্রমিকদের বিকল্প সংস্থানের জন্য চ‚ড়ান্ত বাজেটে থোক বরাদ্দ রাখার আহŸান জানান তিনি। প্রস্তাবিত বাজেটে বিড়ি ও সিগারেটের মধ্যে কর বৈষম্য কমিয়ে আনতে সংসদ ও মন্ত্রীপরিষদের কথা বলার প্রতিশ্রæতি দেন তথ্যমন্ত্রী।
সেমিনারে উত্থাপিত মূল প্রবন্ধে বলা হয়, তামাকজাত পণ্য থেকে যে পরিমাণ রাজস্ব আদায় হচ্ছে তার থেকে বেশী অর্থ ধূমপান জনিত রোগের চিকিৎসায় ব্যয় হচ্ছে। তাই ধূমপান বন্ধ করা প্রয়োজন। এজন্য তামাকজাত পণ্যের উপর উচ্চহারে করারোপ জরুরী। কিন্তু প্রস্তাবিত বাজেটে তা হয়নি। দেশের ৯৮ শংতাংশ ধূমপায়ী সিগারেট পান করলেও সিগারেটের উপর তুলনামূলক কম করারোপ করা হয়েছে। বিড়িতে ৩০ শতাংশ করারোপ করা হলেও কমদামি সিগারেটে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে। এতে ধূমপায়ীদের সিগারেট পানের প্রতি আকর্ষণ বাড়াবে। বক্তারা বিড়ি শ্রমিকদের বিকল্প কর্মসংস্থানের দাবি জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।