পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানী যেন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। অসহনীয় যানজটে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন নগরবাসী। একই স্থানে ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে আটকে থাকতে হচ্ছে। পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে, পুরো শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। রোজা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যানজটের ভয়াবহতা আরো বাড়ছে। দুপুরের পর বিশেষ করে ইফতারির কয়েক ঘন্টা আগে থেকে ভয়াবহ যানজটে স্থবির হয়ে পড়ে ঢাকা। রিকশা থেকে সকল ধরনের যান-বাহনকে কার আগে যাবে এ প্রতিযোগিতায় যানজট আরো কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয়। ট্রাফিক পুলিশকে যানজট নিরসনের চেয়ে গাড়ির লাইসেন্স পরীক্ষায় থাকে বেশি ব্যস্থ থাকতে দেখা যায়। উল্টো পথে যানচলাচলে বিধিনিষেধের পর চাকা ফুটোর যন্ত্রও দেখা যাচ্ছেনা কোন রাস্তায়। আধা ঘন্টার পথ পাড়ি দিতে কয়েক ঘন্টাই গাড়িতে বসে থাকতে হচ্ছে কর্মজীবী মানুষকে। যানজট নিরসনে পুলিশের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কোন উদ্যোগই সফল হচ্ছে না।
গতকাল সকাল ১০টায় ধানমন্ডি থেকে উত্তরার অফিসে রওনা দেন ব্যবসায়ী শামীম রহমান। উত্তরার ৬ নম্বর সেক্টরে গিয়ে তিনি যখন পৌঁছেন তখন বেলা ২টা। পথে দীর্ঘ সময় তিনি আটকে থাকেন যানজটে। গতকাল রোববার ছিলো সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস। এ কারণে গতকাল যানজটের চিত্র ছিলো আরো ভয়াবহ।
ঈদকে সামনে রেখে ঢাকার সাড়ে তিনশ’ শপিংমল, বাণিজ্য বিতান ও রমজানকেন্দ্রিক পণ্যের বাজারে পণ্য আনা-নেয়ায় একটি চাপ তৈরি হয়েছে। ফলে পুরনো ঢাকার মৌলভীবাজার, শ্যামবাজার, শপিংমলকেন্দ্রিক নিউমার্কেট, মালিবাগ, রামপুরা, কাওরানবাজার, সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ী, মিরপুর ও উত্তরায় প্রতিদিন ভয়াবহ যানজট হচ্ছে। কিন্তু ভয়াবহ যানজট নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে কোন ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। গতকালও বিভিন্ন রাস্তায় উল্টোপথে যানবাহন চলতে দেখা গেছে। যাত্রাবাড়ি থেকে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে রিকশায় আসতে সময় লেগেছে ২ ঘন্টার মতো।
ভিআইপি সড়কসহ ব্যস্ততম মহাখালী, গুলশান, বনানী, ধানমন্ডি, শ্যামলী, গাবতলি, সাতরাস্তা মোড়, মগবাজার,গুলিস্তান, সায়েদাবাদ যাত্রাবাড়ি এলাকায় তীব্র যানজট দেখা গেছে। দিনে দিনে এ সমস্যা যেন অস্বাভাবিক হয়ে উঠেছে। দিনের প্রহর প্রহরে রাস্তাঘাট কিছুটা ফাঁকা থাকলেও সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যানজট তীব্র আকার ধারণ করে। দুপুরের পর থেকে ঢাকার অধিকাংশ সড়কেই বেড়ে যায় গাড়ির চাপ। যানজটে একই স্থানে গাড়ি আটকে থাকায় গণপরিবহনের সঙ্কটও দেখা দেয়। বিকেল ৪টার পর রোজাদার মানুষের ঘরে ফিরতে চরম ভোগানিন্তর শিকার হতে হচ্ছে। পরিবহন সঙ্কটে সাধারণ মানুষ অতি দুরত্বের পথও পাড়ি দিয়েছেন পায়ে হেঁটে।
মানুষের সীমাহীন দুর্ভোগের পরেও ট্রাফিক বিভাগ গতানুগতিক বলছে, যানজট নিয়ন্ত্রণে পুলিশ আন্তরিকভাবে তৎপর রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।