Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বৈদেশিক ঋণ কমানোর পরিকল্পনা নেই-অর্থমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ১৩ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, বৈদেশিক ঋণ সহায়তা কমানোর কোনো উদ্যোগই সরকারের নেই, বরং বড় হারে বৈদেশিক সহায়তা নিয়ে এখন কাঠামোতে বিবর্তনের লক্ষ্যে বড় বড় প্রকল্প হাতে নেব।
রোববার সকালে জাতীয় সংসদের একাদশতম অধিবেশনে টেবিলে উত্থাপিত আব্দুল মতিনের প্রশ্নোত্তরে মন্ত্রী এ তথ্য জানান।
অর্থমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার পর থেকেই বাংলাদেশ বৈদেশিক ঋণ সহায়তা গ্রহণ করে। আর সে সহায়তা বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় অবকাঠামো ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং দারিদ্র্য বিমোচন কর্মসূচিতে ব্যবহার করা হয়েছে। এ ব্যয় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা বা দেশসমূহের কাছ থেকে অফিসিয়াল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসিসট্যান্স (ওডিএ) গ্রহণ করে থাকে। যার প্রায় পুরোটাই নমনীয় ঋণ কিংবা অনুদান। এছাড়া উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলদেশ এ ধরনের বৈদেশিক সহায়তা পাওয়ার অধিকারী। কারণ উন্নত দেশসমূহ তাদের জাতীয় রাজস্ব আয়ের শতকরা শূন্য দশমিক ৭ ভাগ উন্নয়নশীল দেশসমূহকে সাহায্য হিসেবে প্রদানের জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ। বৈদেশিক ঋণ সহায়তা কমানোর কোনো উদ্যোগই আমাদের নেই। বরং আমরা চাই যে, বড় হাওে বৈদেশিক সহায়তা নিয়ে এখন আমরা আমাদের কাঠামোগত বিবর্তনের লক্ষ্যে বড় বড় প্রকল্প গ্রহণ করব। তবে এও ঠিক যে, আমরা বৈদেশিক সহায়তা ছাড়া আমাদের বাজেট বাড়ানো যেত না।
তিনি বলেন, এখনও বৈদেশিক সহায়তার হিসাব অতি নগণ্য, যা জিডিপির প্রায় ১৬ শতাংশ বাজেটে বৈদেশিক সহায়তা হলো মাত্র ১ দশমিক ৫ শতাংশ। স্বাধীনতার পর থেকে এখন পর্যন্ত বিভিন্ন উৎস হতে যে সব বৈদেশিক ঋণ গ্রহণ করা হয়েছে তার গড় সুদের হার প্রায় ১ দশমিক ০০ শতাংশ। এসব ঋণের গড় গ্রেস পিরিয়ড ৮ বছর এবং গড়ে ৩০ বছরে পরিশোধ যোগ্য। নমনীয় বৈদেশিক ঋণ গ্রহণের মাত্রা কমালে অভ্যন্তরীণ ঋণের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সকল সময়েই কঠিন শর্তেও বৈদেশিক ঋণ গ্রহণকে নিরুৎসাহিত করে এবং অধিক হাওে বৈদেশিক সহায়তা সংগ্রহের ক্ষেত্রে প্রথাগত নমনীয় ঋণ গ্রহণকেই প্রাধান্য দিয়ে থাকে। ঋণ গ্রহণ প্রক্রিয়াকরণের সময়ে ঋণের শর্ত সহজ করার প্রচেষ্টা নেয়া হয়।
তাছাড়া কেবল বিদ্যুৎ ও অবকাঠামোগত খাতের উন্নয়নে বিনিয়োগের জন্য যে সব প্রকল্প অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে প্রত্যক্ষ ভূমিকা রাখবে এবং যে সব প্রকল্প থেকে ক্যাশ রিটার্ন প্রাপ্তির সম্ভাবনা বেশি সে সব নীতির প্রকল্পে সীমিত আকারে নমনীয় ঋণও সংগ্রহ করা হয়েছে। তবে এ সব অনমনীয় ঋণ গ্রহণের ক্ষেত্রে অনমনীয় ঋণ সহায়ক বিষয়ক ঋণ স্থায়ী কমিটি এর অনুমোদন গ্রহণ করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে বলে জানান তিনি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বৈদেশিক ঋণ কমানোর পরিকল্পনা নেই-অর্থমন্ত্রী
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ