Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মোমের শোপিস শিখে বাড়তি আয়

প্রকাশের সময় : ৩১ জানুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

মাটি দিয়ে মৃতশিল্পীরা যেমন ইদানীংকালে সুনীপুণ হাতে বাচ্চাদের খেলনাসামগ্রী পুতুল, ঘর সাজানোর জন্য টেবিল ল্যাম্পবাতি, ফটো ফ্রেমের মতো রকমারি শোপিস সামগ্রি তৈরি করে বাংলাদেশের মানুষের হৃদয় হরণ করছে, তেমনিভাবে দক্ষ মোম শিল্পীরাও মোমের সাথে বিচিত্র ধরনের রংয়ের সমাবেশ ঘটিয়ে নানারকম ফল, পুতুল, ঘরবাড়িসহ রকমারি শোপিস সামগ্রি তৈরি করে থাকেন। এসব মোমের শোপিস বাস্তবের ফল, ফুল, পাখির চেয়ে অপূর্ব, আরও জীবন্ত, প্রাণময়। তাই ঘর সাজাতে আজকাল মোমের শোপিসের জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী।

মোমের শোপিস তৈরির উপকরণ
মোমের শোপিস তৈরির জন্য মোম, এসটিক এসিড, বিভিন্ন ধরনের রং, ডাইসের প্রয়োজন হয়।

প্রশিক্ষণের মেয়াদ
মোমের শোপিস প্রশিক্ষণের জন্য দুই থেকে ৩ মাস সময় লাগে।

প্রশিক্ষণের কোর্স ফি
মোমের শোপিস প্রশিক্ষণের জন্য ১৫০০ টাকা কোর্স ফি লাগবে। এজন্য মাসিক কোনো ফি দেয়ার প্রয়োজন নেই। এককালীন ভর্তি ফি দিতে হয়।

উৎপাদন খরচ
মোমের শোপিস শিখে যে কোনো নারী ঘর-গৃহস্থালীর কাজ করেও বাড়তি রোজগার করতে পারেন। এজন্য কিছু সময় ও অর্থ খরচ হবে। অবসরে মহিলারা মোমের শোপিস তৈরি করে বাণিজ্যিকভাবে বিভিন্ন শোপিসের দোকানে মাল সাপ্লাই দিতে পারেন। অথবা নিজেরাই শোরুম নিয়ে মোমের শোপিস আইটেম বিক্রি করতে পারেন। এক হাজার টাকার মোমের উপকরণ দিয়ে অনেক শোপিস তৈরি সম্ভব।

মোমের শোপিস শিখে স্বাবলম্বী হওয়ার যোগ্যতা
মোমের শোপিস শিখে স্বাবলম্বী হতে ইচ্ছুক নারীদের শোপিস তৈরিতে দক্ষ হয়ে ওঠার জন্য এবং মোমের শোপিস ব্যবসায় সাফল্য লাভের জন্য কিছু বিষয়ের ব্যাপারে খেয়াল রাখা জরুরি। এ প্রসঙ্গে পুরনো ঢাকার ওয়ারীর স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান সালামী ট্রেনিং সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজিয়া খান জানান, ‘মোমের শোপিস ব্যবসায় সফলতা লাভের জন্য সর্বপ্রথম ভালো কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশিক্ষণ নিতে হবে। এক্ষেত্রে আগ্রহ নিয়ে কাজ শিখতে হবে। কারণ প্রত্যেক বুদ্ধিসম্পন্ন মানুষই আগ্রহ থাকলে তার জীবনে উন্নতি করতে পারে। ধৈর্য সহকারে, মনোযোগ দিয়ে কাজ শিখে যে কোনো শিক্ষিত, স্বল্পশিক্ষিত অথবা অশিক্ষিত নারী মোমের শোপিস তৈরি করে বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে বাজারে বিক্রি করতে পারেন। নিজস্ব পুঁজি অথবা যে কোনো ব্যাংক থেকে ক্ষুদ্রঋণ নিয়ে যে কোনো নারী মোমের শোপিসের শোরুম দিয়ে ব্যবসা করে স্বাবলম্বী হতে পারেন। অথবা ঘরে বসে মোমের শোপিস তৈরি করে বিভিন্ন শোপিসের দোকানে অর্ডারি মাল সরবরাহের ব্যবসা করেও আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হতে পারেন।’

স্বনামধন্য প্রশিক্ষণ কেন্দ্র
মোমের শোপিস শেখানোর জন্য ইতোমধ্যে গৃহশিখন, সাকসেস, সালামী ট্রেনিং সেন্টারের মতো প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলো ইতোমধ্যে সুনাম অর্জন করেছে। ফার্মগেট, মিরপুর, ধানমন্ডি, পুরনো ঢাকার ওয়ারীসহ রাজধানী ঢাকায় এসব প্রতিষ্ঠানের শাখা আছে। এছাড়া বিসিকসহ স্বনামধন্য এনজিও প্রতিষ্ঠানের কিছু অঙ্গ-প্রতিষ্ঠান থেকে সারাদেশে স্বাবলম্বী হতে ইচ্ছুক নারীদের মোমের শোপিস শেখানোর জন্য প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।
১লাবিবা বেলা



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মোমের শোপিস শিখে বাড়তি আয়

৩১ জানুয়ারি, ২০১৬
আরও পড়ুন