পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : ইউরোপের মুসলমানদের মাঝে রমজানের রোজা পালনে ব্যাপক উৎসাহ লক্ষ্য করা যায়। দীর্ঘক্ষণ শারীরিক পরিশ্রম করেও রোজা পালন করছেন জার্মান অ্যাথলেটরাও।
জার্মান শীর্ষস্থানীয় মুসলমান অ্যাথলটদের কাছে রমজানের গুরুত্ব আলাদা। যদিও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, খাদ্য বা পানীয় ছাড়া খেলাধুলা বিপজ্জনক। গেলসেনকিয়ের্শেন মাঠে ফুটবল চর্চা করছেন সুলায়মান বায়সাল। সূর্যাস্তের আরো কিছু সময় বাকি তখনও। গত ১৫ ঘণ্টা ধরে কোনো ধরনের খাদ্য বা পানীয় গ্রহণ করেননি বায়সাল। রমজানের সময় ফুটবল চর্চা বন্ধ থাকে না।
আরো অনেক মুসলমানের মতো ২১ বছর বয়সি ইংরেজি এবং দর্শনের ছাত্র বায়সাল ইসলামের পবিত্র মাস রমজানে রোজা রাখছেন। সুলায়মান বায়সাল রোজা পালন করছেন, এ কারণেই সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত অবধি কোনো কিছু না খেয়ে থাকেন তিনি। ডয়েচে ভেলেকে বায়সাল বলেন, ‘‘(প্রাকটিসের সময়) প্রায়ই আমি একই ধরনের প্রশ্ন শুনি, তোমার কি কোনো পানীয়ের প্রয়োজন হয় না? তুমি কিভাবে না খেয়ে থাকো? আমার কাছে এ সব প্রশ্নের উত্তর একটাই, আমার এই মুহূর্তে কিছু পান করার দরকার নেই, সত্যিই নেই।’
জার্মানিতে মুসলমানের সংখ্যা প্রায় চার মিলিয়ন। এই দেশের মোট জনসংখ্যার পাঁচ শতাংশ মুসলমান। সেন্ট্রাল কাউন্সিল অফ মুসলিমস-এর দেয়া তথ্য অনুযায়ী, জার্মানিতে শারীরিকভাবে সক্ষম মুসলমানদের ৯৪ শতাংশই রোজা পালন করেন। বায়সাল গত দশ বছর ধরেই রোজা রাখছেন। বলা বাহুল্য, অ্যাথলেটদের রোজা রাখতে গেলে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়।
জার্মান সময় রাত নন্টার দিকে ইফতার করেন বায়সাল এবং তাঁর পরিবার। এরপর ভোর তিনটায় সেহরি করেন তাঁরা। এ সময় এক লিটারের মতো পানি পান করেন বায়সাল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।