পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কুটনৈতিক সংবাদদাতা : বড় পরিবর্তন এসেছে সউদী আরবে। তারা এখন বিনিয়োগে আগ্রহী। আর এ বিনিয়োগের অন্যতম স্থান হতে পারে বাংলাদেশ। বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজ আল সউদের আমন্ত্রণে সউদী আরবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাঁচ দিনের সরকারি সফরকে এ জন্যই খুবই গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে দেশটি। এ সফরের পর সউদী আরবের পক্ষ থেকে বাংলাদেশকে বিভিন্ন আশ্বাসের কথা বলা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সউদী বাদশাহ এবং বিভিন্ন মন্ত্রীর বৈঠকের আলোচ্য বিষয় এগিয়ে নিতে তাই আগামীতে বাংলাদেশে আসবে উচ্চ পর্যায়ের সউদী প্রতিনিধিদল। এ জন্য বাংলাদেশকেও সউদী নেতৃত্বাধীন সামরিক জোটে সক্রিয় অংশগ্রহণ, ইরানবিরোধী ভূমিকাসহ আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বিভিন্ন বিষয়ে দেশটিকে সক্রিয় সমর্থন দিতে হবে বলে বিশ্লেষকরা মনে করেন। সদ্য সমাপ্ত সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিভিন্ন পর্যায়ের বৈঠকে এই বার্তাই দিয়েছে দেশটি। ঢাকা ও রিয়াদের বিভিন্ন সূত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে। এখন এই সফরের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের অগ্রগতির ওপর নির্ভর করছে সম্পর্ক এগিয়ে নেয়ার বিষয়টি।
অবশ্য ইতোমধ্যেই সউদী আরবের আহবানে সাড়া দিতে শুরু করেছে বাংলাদেশ। জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুনের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজাররিক জানিয়েছেন, ইয়েমেনে শিশু হত্যার দায়ে সউদী আরবকে জাতিসংঘ কালো তালিকাভুক্ত করায় বাংলাদেশ উদ্বেগ প্রকাশ করে এবং দেশটিকে ওই তালিকা থেকে বাদ দিতে চাপ সৃষ্টি করে। এরই প্রেক্ষিতে সউদী আরবকে ওই তালিকা থেকে বাদ দেয়া হয়।
জানা গেছে, প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের ব্যয়বহুল অবকাঠামো প্রকল্পে বিনিয়োগ করতে সম্মত হয়েছে সউদী আরব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রিয়াদ সফরের সময় সউদী সরকারি তহবিল থেকে অবকাঠামো, যোগাযোগ, বিদ্যুৎ ও অন্যান্য খাতে বিনিয়োগ করার আহŸান জানানো হলে সউদী সরকার এতে সম্মত হয়। এ ব্যাপারে দেশটির বাংলাদেশ মিশনের উপ-প্রধান নজরুল ইসলাম বলেন, সউদী বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ তার সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীদের ঢাকা সফর করে এ বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।
তিনি বলেন, সউদী সরকার তার পেট্রোডলারের তহবিল (তেল বিক্রির টাকা) যা ইউরোপ এবং আমেরিকায় গচ্ছিত আছে তার একটি অংশ এশিয়ার দেশগুলো যেমন বাংলাদেশে বিনিয়োগ করার পরিকল্পনা নিয়েছে। এছাড়া তারা তেলনির্ভর অর্থনীতি থেকে সরে এসে উৎপাদনশীল ও অন্যান্য খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী, যাতে করে তেলের দাম কমে গেলেও তাদের অর্থনীতি সমস্যায় না পড়ে।
নজরুল ইসলাম বলেন, সউদী সরকার তার শ্রমবাজার সম্পূর্ণ উন্মুক্ত করে দিয়েছে। কিন্তু এটি বাজারের চাহিদার ওপর নির্ভর করবে। তিনি বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত বাংলাদেশ দক্ষ লোক সরবরাহ করতে পারবে ততক্ষণ সউদী আরব বাংলাদেশ থেকে লোক নেবে। উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, গত মাসে একটি সউদী সরকারি প্রতিনিধিদল চিকিৎসক নেয়ার উদ্দেশ্যে ঢাকা এসেছিলেন। এরই মধ্যে চিকিৎসক নেয়ার প্রক্রিয়া শুরুও হয়ে গেছে। পাঁচ থেকে ১০ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন চিকিৎসকদের অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বাদে শুধু মাসিক বেতন দেয়া হচ্ছে তিন লাখ টাকা বা তার বেশি।
উল্লেখ্য, বৃহৎ অর্থনীতির দেশ সউদী আরব অনেকাংশেই বিদেশী শ্রমিকদের ওপর নির্ভরশীল। যতদিন এই নির্ভরশীলতা থাকবে এবং বাংলাদেশ কম খরচে দক্ষ শ্রমিক পাঠাতে পারবে ততদিনই তা গ্রহণ করার ইঙ্গিত দিয়েছে সউদী আরব। দেশটিতে ইতোমধ্যে প্রায় ২০ লাখ বাংলাদেশী কর্মরত আছেন এবং কোটি কোটি ডলারের রেমিট্যান্স তারা বাংলাদেশে পাঠাচ্ছেন। তবে দুই দেশের সরকারের পক্ষ থেকে সম্পর্ক আরো ঘনিষ্ঠ হওয়ার কথা বলা হলেও বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান অগ্রাধিকার জনশক্তি রপ্তানির বাজার কতটা স¤প্রসারিত হচ্ছে, তা এখনো স্পষ্ট নয়।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এনাম আহমেদ চৌধুরী বলেন, আমি আশা করি প্রধানমন্ত্রীর সফরের ফলে কয়েক বছর ধরে জনশক্তি রফতানির বিষয়ে যে জটিলতা লক্ষ করা গেছে, তার উত্তরণ হবে। এ সফরকে সউদী আরব যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়েছে তা দেশটির বিভিন্ন পদক্ষেপে বোঝা যাচ্ছে।
তিনি বলেন, আমি ৬ বছর সউদী আরবে ছিলাম। সেখানে সাধারণত ঐ রাজ্যের গভর্নর দিয়ে এ ধরনের অতিথিদের স্বাগত জানানো হয়। সউদী ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন নায়েফ বিমানবন্দর ছাড়াও অন্য যেকোনো স্থানে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাচ্ছেন। অন্য দিকে স্বয়ং বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজ রাজধানী রিয়াদে নয়, জেদ্দায় আল সালাম প্রাসাদে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মিলিত হচ্ছেন। এ গুরুত্বের সদ্ব্যবহার করা হবে আশা করি।
সউদী আরব সন্ত্রাসবাদ ও উগ্রবাদ মোকাবেলার জন্য ৩৪-জাতি জোট গঠন করেছে এবং বাংলাদেশ এর প্রাথমিক সদস্য। প্রথমদিকে বাংলাদেশ শুধু বেসামরিক সহায়তা দিতে রাজি থাকলেও এখন সামরিক সহযোগিতা দিতেও আপত্তি নেই বলে জানিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সউদী আরব থেকে ফিরে এসে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, সউদী আরবের পবিত্র দুই মসজিদ (মক্কা ও মদিনায়) রক্ষার জন্য বাংলাদেশ সামরিক সহযোগিতা দেবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সরকারি কর্মকর্তা বলেন, গত মার্চে বাংলাদেশের সেনাপ্রধান সউদী আরব সফর করে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। সউদী নেতৃত্বাধীন জোটের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের একটি বৈঠক শিগগিরই রিয়াদে অনুষ্ঠিত হবে এবং বাংলাদেশ থেকে উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধিদল এতে অংশ নেবে। জাতিসংঘের অনুমোদন ছাড়া বাংলাদেশ কোথাও সামরিক সহযোগিতা না পাঠালেও সউদী আরবের ক্ষেত্রে এর ব্যতিক্রম ঘটবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস দমনের আহŸান জানিয়েছেন সউদী আরবের বাদশাহ। আমি তাদের আহŸানে সাড়া দিয়েছি। বাদশাহকে আমি জানিয়েছি, সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ দমনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহায়তা দেয়া হবে। প্রয়োজনে বাংলাদেশ সামরিক সহায়তা দেবে।
এদিকে জোটে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনার সাথে বৈঠকে সউদী বাদশাহ বলেন, এতে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ সউদী আরব খুবই গুরুত্ব দেয়। এর ফলে দুই দেশের মধ্যে একটা সুন্দর সম্পর্কও তৈরি হবে।
সাবেক আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ বলেন, আমাদের দেশের স্বার্থরক্ষার জন্য প্রয়োজনে সউদী সরকারের সঙ্গে এ ধরনের সামরিক জোট করলে আমি কোনো অসুবিধা দেখছি না। জনগণের স্বার্থ, রাষ্ট্রের স্বার্থ রক্ষা করে এ ধরনের জোট হতেই পারে। আমি কোনো সমস্যা দেখছি না। সরকার সবকিছু বিবেচনায় এনে এ ধরনের যৌথ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বলে আমি ধারণা করছি। এ ধরনের জোটে যুক্ত হতে সাংবিধানিক কোনো বাধ্যবাধকতা নেই বলে জানিয়েছেন সাবেক এ আইনমন্ত্রী।
তিনি বলেন, যদি বাংলাদেশ এ ক্ষেত্রে কোনো প্রকার চুক্তি করে, সংবিধানে উল্লেখ রয়েছে সংসদে এ বিষয়টি পাস করিয়ে নিয়ে আসার জন্য। কিন্তু দ্বিপক্ষীয় চুক্তি না করলে এ ধরনের সমঝোতা করতে কোনো প্রকার বাধা নেই।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এনাম আহমেদ চৌধুরী বলেন, যদি সউদী আরব আক্রান্ত হয়, সেখানে বাংলাদেশী প্রায় ২০ লাখ মানুষের নিরাপত্তা হুমকির মধ্যে পড়ে। পবিত্র দুই মসজিদ যদি রক্ষা করার প্রয়োজন পড়ে তখন অবস্থা বুঝে পদক্ষেপ নেয়া যেতে পারে। মসজিদে হারাম আক্রান্ত হলে সমস্ত বিশ্ব মুসলিমের পবিত্র দায়িত্ব হলো তা রক্ষা করা। এ বিষয়ে কোনো মতভেদ থাকবে না। যদি রাষ্ট্র সেনা না পাঠায় তাহলে সাধারণ মানুষ পাসপোর্ট ছাড়া এমনিতেই মক্কায় চলে যাবে। যদি সেখানকার বাংলাদেশীরা আক্রান্ত হয় তবে তাদের উদ্ধার করার জন্যও সেখানে যেতে হবে।
তিনি বলেন, যখন সেখানে আক্রমণ হবে তখন যে সরকারই ক্ষমতায় থাক, তারা বাধ্য হবে পদক্ষেপ নিতে। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিজেও ভালোমতো জানেন পরিস্থিতি অনুযায়ী কী পদক্ষেপ নিতে হবে।
অন্যদিকে সউদী সরকারের তেহরানবিরোধী অবস্থানের বিষয়ে বাংলাদেশ ধৈর্য ধরে রিয়াদের বক্তব্য শুনেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক সরকারি কর্মকর্তা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সউদী আরব সফরের সময় তেহরানবিরোধী অবস্থানের বিষয়টি সউদী কর্তৃপক্ষ অবতারণা করলে আমরা তাদের বক্তব্য ধৈর্য ধরে শুনেছি। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি হচ্ছে সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয় এবং ইরানের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক ভালো। তিনি বলেন, তেহরানে আমাদের দূতাবাস আছে এবং বাংলাদেশে ইরানের দূতাবাস আছে। প্রসঙ্গত, গত বছর হজের সময় কয়েক শ’ ইরানি হাজি নিহত হওয়ার পর এবং ইরানে সউদী দূতাবাসে বিক্ষুব্ধদের হামলার পর সউদী আরব ইরানের সাথে তার কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে। এ বিষয়ে সউদী আরব থেকে ফিরে গণভবনের সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিকের জিজ্ঞাসার জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্পষ্ট করেই বলেন, কোনো দেশের সঙ্গেই সম্পর্ক ছিন্ন করায় আমরা বিশ্বাসী নই।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানায়, বাংলাদেশ সউদী আরব ও ইরানের বিরোধে মধ্যস্থতা করতে পারে। তবে ইয়েমেনে সউদী সমর্থিত সরকারের সাথে ইরান সমর্থিত হুথি জোটের ওপর গত বছরের সংঘাতের সময় বাংলাদেশ ইয়েমেনের সরকারের প্রতি সমর্থন জানালেও এ সংঘাতে আরব জোটের পক্ষে লড়েনি বাংলাদেশ।
এছাড়া সা¤প্রতিক বছরগুলোতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে সউদী সরকারের সম্পর্কে বাঁক পরিবর্তনের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সউদী সফরের পরপরই শেখ হাসিনার সফরও তাই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। অতীতে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার সময় তেলসমৃদ্ধ দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক শীতল থাকলেও এবার তার ব্যতিক্রম ঘটছে। উইকিলিকসের নথিতে জানা যায়, একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার বন্ধে জামায়াতে ইসলামী এবং রাজনৈতিক সংকট মেটাতে বিএনপি সউদী আরবকে বাংলাদেশে হস্তক্ষেপের অনুরোধ জানালে তা আমলে নেয়নি সউদী কর্তৃপক্ষ।
রিয়াদে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসিহ বলেন, সউদী বাদশাহ সালমানের অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ইয়াসির আল-রামাযান সে দেশের বিশেষায়িত সরকারি বিনিয়োগ তহবিল থেকে বাংলাদেশে বিনিয়োগের ইচ্ছা প্রকাশ করেন। এরই অংশ হিসেবে তিনি সম্ভাব্য বিনিয়োগের ক্ষেত্রে একটি তালিকা চেয়েছেন। আর সউদী বাদশাহ সালমানের প্রতিরক্ষা উপদেষ্টার দুই দেশের প্রতিরক্ষা সহযোগিতা নিয়ে কথা বলেছেন।
এদিকে সউদী আরবের ব্যবসায়ীদের জন্য বাংলাদেশে একটি বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সউদী আরবের সরকারি-বেসরকারি যেকোনো ধরনের বিনিয়োগকে বাংলাদেশের প্রস্তাবিত অঞ্চলের জন্য প্রধানমন্ত্রী স্বাগত জানিয়েছেন। সৌদী আরবের মন্ত্রী পর্যায়ের একটি প্রতিনিধিদল আগামী নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে বাংলাদেশে সরেজমিন পরিস্থিতি দেখে বিনিয়োগের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।
সাবেক রাষ্ট্রদূত ওয়ালিউর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সউদী সফর বর্তমান সময়ে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর তিনি দ্বিপক্ষীয় সফরে সউদী আরব যান। এরপর ২০১৩ সালে ওমরাহ পালনের উদ্দেশ্যে ব্যক্তিগত সফরে মক্কায় যান।
তিনি বলেন, কিন্তু যুদ্ধাপরাধের বিচার কার্যকর এবং সন্ত্রাসবিরোধী সউদী জোটের সঙ্গে নাম লেখানোর পর প্রধানমন্ত্রীর এ সফর নতুন মাত্রা যোগ করেছে। তাই এ সফরকে খুবই গুরুত্ব দিচ্ছে সউদী আরব। যুদ্ধাপরাধের বিচার নিয়ে একটি শব্দও ব্যয় করেনি সউদী আরব। যদিও তথাকথিত দেশজ ইসলামপন্থীরা লবি কম করেনি। সউদী সামরিক জোটে বাংলাদেশের যোগদান সউদী আরব যে গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে তা প্রধানমন্ত্রীর সফরের প্রতিটি পদক্ষেপে দৃশ্যমান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।