পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির সভাপতি মাওলানা আবদুল লতিফ নেজামী বাংলাদেশে সুন্দরী প্রতিযোগিতা আয়োজনের খবরে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, এ ধরনের অনুষ্ঠান এদেশের সংস্কৃতির সাথে সামঞ্জস্যহীন, অবমাননাকর ও অশোভন। পাশ্চাত্যের বেলেল্লাপনাময় এই প্রতিযোগিতা আমাদের মূল্যবোধ ও সংস্কৃতির সম্পূর্ণ পরিপন্থী। বিশ্বায়নের অভিঘাতে এদেশের সংস্কৃতিকে বদলে দেয়ার প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। বিশ্ব সংস্কৃতির সার্বজনীনতা তত্তে¡র আড়ালে সুন্দরী প্রতিযোগিতার অনুশীলন এদেশের জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়।
তিনি এক বিবৃতিতে বলেন, পাশ্চাত্য থেকে তথাকথিত সুন্দরী প্রতিযোগিতা আমদানির মাধ্যমে বাংলাদেশকে সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে পাশ্চাত্যকরণের সূ² পন্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। দেশকে বিদেশি সংস্কৃতির আধার করে তোলাই এসব ষড়যন্ত্রের লক্ষ্য। এই অপসংস্কৃতিকে আমাদের চিন্তা-চেতনায় ক্রমশঃ গভীর ও ব্যাপকভাবে বিস্তারের অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে। এভাবে হাজার বছরের বাঙালি সংস্কৃতিকে ধ্বংস করে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে তথাকথিত বিশ্বায়নের কর্মনীতি ও কর্মসূচীকে ভীষণভাবে চাপিয়ে দেয়ার প্রাণপণ অপপ্রয়াস শুরু হয়েছে। এভাবে এদেশের সংস্কৃতি বিনষ্টের লক্ষ্যে কাজ করে চলেছে একটি সংগঠন। তিনি আরো বলেন, মহিলাদের সৌন্দর্য ফেরি করা এসমাজে প্রচলিত নয়। এদেশের মহিলারা ধর্মবোধ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। সবকিছুর ক্ষেত্রে নিজস্ব সংস্কৃতির অনুবর্তী হতে বাধ্যবাদকতা রয়েছে মহিলাদের। সামাজিক আচার-আচরণের ক্ষেত্রে নিজস্ব আচার-আচরণ, প্রথা-পদ্ধতি, নিয়ম-কানুন বা রীতি-রেওয়াজ রয়েছে। এদেশের মানুষ স্বীয় আদর্শ ও মূল্যবোধের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়ে থাকেন। এদেশের মহিলাদের রয়েছে চিত্ত সত্তার নিজস্ব মূল্যবোধ ও তার প্রকাশভঙ্গী। তাই এদেশের মানুষ নিজস্ব ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি সম্পর্কে অতি সচেতন। সবকিছুতেই সচেতনভাবে নিজস্ব স্ংাস্কৃতিক জীবনকে ধরে রাখতে স্বচেষ্ট । তিনি পরিশেষে বলেন, জাতীয় আদর্শ, ঐতিহ্য রীতি-নীতি ও স্বকীয়তা বিরোধী সংস্কৃতি সুন্দরী প্রতিযোগিতা লালন, র্চ্চা ও অনুশীলন থেকে বিরত থাকার ক্ষেত্রে প্রত্যেকের স্বচেষ্ট হওয়া উচিৎ। তথাকথিত সুন্দরী প্রতিযোগিতার মতো অপসাংস্কৃতিক আগ্রাসন থেকে তরুণীদের বাঁচাতে হবে।
তিনি বলেন, সকল ক্ষেত্রে জাতীয় আদর্শ, ঐতিহ্য রীতি-নীতি ও স্বকীয়তা বজায়ে রাখার ক্ষেত্রে স্বচেষ্ট হওয়া দরকার। জাতীয় স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট ও সংস্কৃতি বিস্মৃত হওয়া উচিৎ নয়। অন্য কোন স্স্কংৃতিতে বিলীন হয়ে যাওয়া থেকে বিরত থাকা ও জরুরী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।