Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিদ্রোহী প্রার্থী ও তাদের মদদদাতা ১৫০ জনকে শোকজ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ৩:০৭ পিএম

এমপি-মন্ত্রীসহ উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে আওয়ামী লিগের বিদ্রোহী প্রার্থী ও তাদের মদদদাতা ১৫০ জনকে শোকজ করা হচ্ছে। চলতি বছর অনুষ্ঠিত উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আগামীকাল রোববার থেকে এ চিঠি ইস্যু করা হবে।

আজ শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) ধানমণ্ডি আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের যুগ্ম সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকদের সঙ্গে সাধারণ সম্পাদকের বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে ব্রিফ করে এসব তথ্য জানান দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের

ওবায়দুল কাদের বলেন, উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে যারা বিদ্রোহী ছিলেন, তাদের শোকজ করার সিদ্ধান্ত আগে থেকেই ছিল। আজকে সেটা বাস্তবায়নের প্রসেস কীভাবে দ্রুত করা যায়, সেটা আলোচনা করেছি। আগামীকাল থেকে ১৫০ এর মতো শোকজ নোটিশ ইস্যু হবে। শোকজের জবাবের জন্য তিন সপ্তাহ সময় দেয়া হবে।মদদদাতাদের মধ্যে কেন্দ্রীয় নেতাও থাকতে পারে। যাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা ও মদদ দেয়ার অভিযোগ আছে, তারা সবাই শোকজ পাবেন।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমপি-মন্ত্রী যারা মদদদাতা তারাও শোকজ পাবেন বললেও তাদের নাম প্রকাশ করতে চাননি ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক নিজেই বলেছিলেন, বিএনপি না আসলে নির্বাচন উৎসবমুখর করার জন্য প্রার্থিতা উন্মুক্ত থাকবে। তার নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা মাঠে নেমেছি, কিন্তু এখন আবার কেনো শাস্তি দেবে? তৃনমূলের এমন বক্তব্যের বিষয়ে ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক একথা বলেছেন, কোনো রেকর্ড আছে? হাওয়া থেকে বললে তো হবে না।

পরে ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ তারিখে বলেছিলেন উল্লেখ করে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, এটা অনেক আগের কথা।

সভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বাহাউদ্দীন নাছিম, এনামুল হক শামীম, মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, বিএম মোজাম্মেল হক, উপদফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।



 

Show all comments
  • মোঃ দেলোয়ার হোসেন ৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ৪:২১ পিএম says : 0
    জনাব ওবায়দুল কাদের সাহেবই ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ তারিখে বি এন পি নির্বাচনে আসেনি বলে ঘোষণা দিয়ে প্রার্থীতা উন্মুক্ত করেছিলেন নির্বাচনকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ করার জন্য। এখন তিনিই নেতাকর্মীদের বহিষ্কারের কথা বলছেন। বাহ কি মজার কথা। মামার বাড়ীর আবদার। এখন তো ওবায়দুল কাদের সাহেবেরই আগে বহিষ্কার করা উচিত মিথ্যা ঘোষণা দেয়ার জন্য। এসব মিথ্যাবাদী লোকের বাংলাদেশের সবচেয়ে বৃহৎ রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে থাকার কোন অধিকার নেই। অনতিবিলম্বে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা উচিৎ।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: শোকজ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ