পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের কার্যকর ভূমিকা দেখা না গেলেও ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা কমতে শুরু করেছে। মানুষের মধ্যে সচেতনতাই মূলত এর প্রধান কারণ। চলতি বছর রাজধানীসহ সারা দেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে সরকারি-বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৭৫ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।
২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি থেকে গতকাল ৬ সেপ্টেম্বর শুক্রবার পর্যন্ত সর্বমোট ৭৫ হাজার ১৪৬ জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে ভর্তি হন। তবে সুখবর হলো ভর্তি রোগীদের মধ্যে ইতোমধ্যেই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৭১ হাজার ৬১৭ জন। বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৩ হাজার ৩৩৭ জন। তাদের মধ্যে রাজধানী ঢাকার হাসপাতালে ১ হাজার ৭০৪ জন এবং ঢাকার বাইরে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ১ হাজার ৬৩৩ জন। এদের চিকিৎসা চলছে। তবে লাখ লাখ মানুষ ডেঙ্গু রোগের পরীক্ষা করেছেন। স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার অ্যান্ড কন্ট্রোল রুম সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় ৫ সেপ্টেম্বর সকাল ৮টা থেকে ৬ সেপ্টেম্বর সকাল ৮টা পর্যন্ত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে রাজধানী ঢাকার ৪১টি হাসপাতালে ৩২৫ জন ও ঢাকার বাইরের হাসপাতালে ৪৬৮ জনসহ সর্বমোট ৭৯৩ জন হাসপাতলে ভর্তি হন। পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় রাজধানী ঢাকায় ৩৩১জন এবং ঢাকার বাইরের হাসপাতালে ৪৫৭ জনসহ মোট ৭৮৮ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে ভর্তি হন। এ হিসাবে গত বৃহস্পতিবারের তুলনায় সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত ও হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা পাঁচজন বেড়েছে।
এডিস মশাবাহিত রোগে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানীর বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালের মধ্যে ঢাকা মেডিক্যালে ৬১, মিটফোর্ডে ৫৭, ঢাকা শিশু হাসপাতালে ৭, শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ২৬, বিএসএমএমইউতে ১৪, পুলিশ হাসপাতাল রাজারবাগে ৩, মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ১৯, বিজিবি হাসপাতাল পিলখানা ঢাকায় ১, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ১১, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ৩৪ ও কুয়েত মৈত্রী সরকারি হাসপাতালে ২ জনসহ সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত হাসপাতালে ২৩৫ জন ভর্তি হন। বেসরকারি অন্যান্য হাসপাতাল-ক্লিনিকে ৯০ জনসহ ঢাকা শহরে সর্বমোট ৩২৫ জন এবং ঢাকার বাইরের বিভাগীয় শহরগুলোর হাসপাতালে ৪৬৮ জন রোগী ভর্তি হন।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার অ্যান্ড কন্ট্রোল রুমের দেয়া তথ্যে দেখা যায়, ঢাকা শহর ছাড়া ঢাকা বিভাগে ১০১, চট্টগ্রাম বিভাগে ৮৯, খুলনায় ১৪১, রংপুরে ৮, রাজশাহীতে ৪৬, বরিশালে ৫৭, সিলেটে ৯ এবং ময়মনসিংহ বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ১৭ জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগী চিকিৎসা নিতে ভর্তি হন।
জানতে চাইলে আইইডিসিআর-এর পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সাবরিনা ফ্লোরা জানান, ডেঙ্গু রোগীর বেশির ভাগই চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছেন। তবে এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে ১৯২টি সম্ভাব্য ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যুর খবর এসেছে। ডেঙ্গু জ্বরে মৃত্যুর পর্যালোচনা কমিটি তাদের মধ্যে ৯৬টি মৃত্যু পর্যালোচনা করে ৫৭ জনের ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।