পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নাগরিক সমাজের আলোচনা সভা
স্টাফ রিপোর্টার : জঙ্গিবাদের দানবীয় শক্তিকে নির্মূল করতে সরকারকে আরও কঠোর হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সম্মিলিত নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা। তাদের মতে, এই সমস্যা সমাধানে মুক্তিযুদ্ধেও চেতনায় বিশ্বাসী সব রাজনৈতিক দল ও সাধারণ মানুষকেও ঐক্যবদ্ধ হওয়া প্রয়োজন।
গতকাল শনিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘সন্ত্রাসবাদ, নৈতিকতা ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার: জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষিত’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এ আহ্বান জানানো হয়। এতে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। নাগরিক সমাজের চেয়ারম্যান অর্থনীতিবিদ কাজী খলীকুজ্জমান আহমেদের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন ব্যাংকার খোন্দকার ইব্রাহীম খালেদ, সাংবাদিক আবেদ খান, প্রাক্তন প্রধান তথ্য কমিশনার রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জমির, বাংলাদেশ টেলিভিশনের সাবেক মহাপরিচালক ম হামিদ, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি একেএম নূর-উন-নবী, ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ প্রমুখ। আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নিরাপত্তা বিশ্লেষক অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল আবদুর রশিদ।
খন্দকার ইব্রাহিম খালেদ বলেন, শক্তিকে শক্তি দিয়েই মোকাবিলা করতে হবে। জঙ্গিবাদকেও সেভাবেই শক্তভাবে মোকাবিলা করতে হবে। তবে শুধু অস্ত্রের নয়, মানুষেরও শক্তি আছে। সেটিকে কাজে লাগাতে হবে। জঙ্গিবাদ দমনে দেশের সব মাওলানাকে জমায়েত করে ইসলামের আলোকে তাঁদের জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে কথা বলার উদ্যোগ নেয়ার পরামর্শ দেন তিনি। সাংবাদিক আবেদ খান বলেন, জঙ্গিবাদেও যে ঘটনাগুলো ঘটছে, সেগুলোকে শুধু এখনকার ঘটনা হিসেবে দেখলে চলবে না। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের জয়ের পর থেকেই পরাজিতরা এসব ষড়যন্ত্র করে চলছে। আজকে তারাই সংখ্যালঘুসহ নিরীহ মানুষের ওপর আক্রমণ করছে। সেনাবাহিনীর সাবেক একজন মেজর, যিনি এই জঙ্গিবাদের সঙ্গে জড়িত, তাঁকে কেন এখনো খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না? আর পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোও কাজ করছে। যেসব জঙ্গি ঘটনা ঘটছে, সেগুলো আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে যুক্ত। কাজেই শুধু কথা না বলে যথাযথভাবে সমস্যার সমাধান করতে হবে।
সাবেক প্রধান তথ্য কমিশনার মোহাম্মদ জমির বলেন, ধর্মের নামে একের পর এক হত্যা চলছে। নাগরিক সমাজকে এখন ১৯৭১-এর মতোই জেগে উঠতে হবে। শুধু নাগরিক সমাজ নয়, বুদ্ধিজীবীদেরও এগিয়ে আসতে হবে।
ম হামিদ বলেন, উদ্বিগ্ন মানুষ ভাবছে সরকার ব্যবস্থা নেবে। সরকার ভাবছে, পুলিশ ব্যবস্থা নেবে। কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলো কেন ভাবছে না মাঠে নেমে সামাজিকভাবে জঙ্গিবাদকে প্রতিহত করা সম্ভব? বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি এ কে এম নূর-উন-নবী ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নওয়াজীশ আলী খান বলেন, জঙ্গিবাদ দমনে জনসাধারণকেও এখন দায়িত্ব নিতে হবে। সভাপতির বক্তব্যে কাজী খলীকুজ্জমান আহমেদ বলেন, বর্তমানে দেশে যে সংকট চলছে, সেটার সমাধানে সরকারকে আরও তৎপর হতে হবে। ঘটনার মূলে যেতে হবে। যে সাঁড়াশি অভিযান শুরু হয়েছে, সেটিকে জোরদার করতে হবে। তবে শুধু সরকার একা এই সমস্যার সমাধান করতে পারবে না। এ জন্য মুক্তিযুদ্ধেও চেতনায় যাঁরা বিশ্বাস করেন, তাঁদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। সামাজিক শক্তিগুলোকেও মাঠে নামতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।