পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আবারও পেছাল আ‘লীগের জাতীয় সম্মেলন
স্টাফ রিপোর্টার : আবারও পেছাল আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় সম্মেলনের নির্ধারিত তারিখ। নতুন করে সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ২২ ও ২৩ অক্টোবর। এর আগে আগামী ১০ ও ১১ জুলাই সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল।
গতকাল শনিবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে দলের জাতীয় সম্মেলনের নতুন দিনক্ষণ নির্ধারণ করা হয়। একই সঙ্গে চলতি জুন মাসেই কমিটির বর্ধিত মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা থাকায় গতকালের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে বর্তমান কমিটির মেয়াদ ছয় মাস বৃদ্ধি করা হয়। গত বছরের ডিসেম্বর মাসেও একবার কমিটির মেয়াদ ছয় মাস বৃদ্ধি করা হয়েছিল।
শনিবার দুপুরে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠক শেষে দলের সম্মেলনের নতুন তারিখ সাংবাদিকদের জানান সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। তিনি জানান, আগামী ২২ ও ২৩ অক্টোবরে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। শনিবার বেলা ১১টায় গণভবনে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। দলটির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ ও ২০তম জাতীয় সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্যরা এতে উপস্থিত ছিলেন।
এ ছাড়া আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতেও এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় সম্মেলন আগামী ১০ ও ১১ জুলাই নির্ধারিত ছিল। কিন্তু আজ (শনিবার) কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় ২০তম জাতীয় সম্মেলনের তারিখ পরিবর্তন করে আগামী ২২ ও ২৩ অক্টোবর নির্ধারণ করা হয়েছে।
বৈঠকে উপস্থিত একাধিক নেতা বলেন, সম্মেলনের তারিখ পরিবর্তনের পেছনে মূল কারণ হচ্ছে ঈদুল ফিতর ও বর্ষাকাল। জুলাই মাসে জাতীয় সম্মেলন হলে আকর্ষণ হারাবে বলে মনে করছেন দলটির নেতারা। অক্টোবরে নতুন তারিখ ঠিক করার পেছনে দুটি বিষয় কাজ করেছে। প্রথমত, শোকের মাস আগস্টে আওয়ামী লীগ শোকের কর্মসূচির বাইরে কিছু করবে না। আর সেপ্টেম্বর মাসে ঈদুল আজহা এবং পূজাও রয়েছে। এই জন্যই সম্মেলনের জন্য অক্টোবর মাসকে বেছে নেয়া হয়েছে।
সম্মেলন পেছানোর কারণ সম্পর্কে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য আমিনুল ইসলাম আমিন বলেন, সম্মেলনের তারিখ পরিবর্তনের মূল কারণ হলো ঈদুল ফিতর ও বর্ষাকাল। আর অক্টোবরে নতুন তারিখ ঠিক করার পেছনে দুটি বিষয় কাজ করেছে। প্রথমত শোকের মাস আগস্টে আওয়ামী লীগ শোকের কর্মসূচির বাইরে কিছু করবে না। আর সেপ্টেম্বর মাসে ঈদুল আজহা এবং পূজা। এই জন্যই অক্টোবর মাসকে বেছে নেয়া হয়েছে।
আওয়ামী লীগের সর্বশেষ কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১২ সালের ডিসেম্বরে। সে অনুযায়ী গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর বর্তমান কমিটির মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। এরপর তিন মাস বাড়িয়ে গত ৯ জানুয়ারি দলের কার্যনির্বাহী বৈঠকে কাউন্সিলের জন্য ২৮ মার্চ তারিখ নির্ধারণ করা হয়। এ সময় স্থানীয় সরকার (ইউপি) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সম্মেলনের তারিখ পিছিয়ে ১০ ও ১১ জুলাই নির্ধারণ করা হয়। শনিবার আরেক দফা পিছিয়ে সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করা হলো ২২ ও ২৩ অক্টোবর।
উল্লেখ্য, শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালে স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর থেকে দলীয় সভানেত্রীর দায়িত্ব পালন করে আসছেন। গত সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পদে কোনো পরিবর্তন হয়নি। সে সময় দ্বিতীয় মেয়াদে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।